উদ্দেশ্য

অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা হচ্ছে সরকারি সেবা প্রদান বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের মাধ্যমে নাগরিকের অসন্তুষ্টি ও সংক্ষুব্ধতা প্রকাশ করবার একটি মাধ্যম। এর দ্বারা মূলত দ্রুত ও সহজে সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ এবং স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি সেবাদাতাদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।  

​

অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাঃ

১. এর দ্বারা নাগরিকগণ নিজের পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ দাখিল করতে পারে। ফলে কারও ওপর এর কোন নেতিবাচক প্রভাব পরবার সম্ভাবনা থাকে না।   

২. এছাড়াও জনগণ ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ায় উদ্ভুত অভিযোগ, অনুযোগ, বিবাদ ও দ্বন্দ্ব সমাধানে নিয়মাবলী, পদ্ধতি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভূমিকা নির্ধারিত রয়েছে এ ব্যবস্থায়।

​

বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ অনুযায়ী দুর্নীতি দূরীকরণ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যবস্থাগত উন্নয়ন ও প্রচারণায় জোর দেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারি মন্ত্রণালয় ও কর্মকর্তাদের আচরণ নিয়ন্ত্রক হিসেবে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ।

পিফরডি প্রকল্পের ফলাফল

আমরা সুশীল সমাজ সংস্থা এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ওপর প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছি যাতে স্থানীয় জনগণ ও সরকারি কর্মকর্তাগণ সফলভাবে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাটি ব্যবহার করতে করতে পারে।  

​

আমরা জনসাধারনকে 'সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা' ব্যবহার করতে উতসাহ দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছবি, তথ্যচিত্র এবং ভিডিওর মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছি। এর ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা ও নিজ এলাকার উন্নয়নে এর ভূমিকা সম্পর্কে জানতে পেরেছে।    

​

পিফরডি প্রকল্প মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাথে যৌথ উদ্যোগে পিএসএ ভিডিও তৈরি করেছে। এর দ্বারা মানুষ বুঝতে পেরেছে যে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা কী, কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, এবং কেন ব্যবহার করা প্রয়োজন। সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখতে নিচের লিংকটিতে ক্লিক করুন।