আমাদের
অংশীদারগণ
প্লাটফর্মস ফর ডায়ালগ প্রকল্প বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সুশীল সমাজ সংস্থা, এবং জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই অংশীদারদের সাথে একত্রে কাজ করা। যাতে নাগরিক ও সুশীল সমাজ নীতিনির্ধারণ ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ প্রকৃয়ায় প্রভাব রাখতে পারে।
আমাদের অংশীদারগণ.
বাস্তবায়নে সহযোগী যারা
পিফরডি এবং বাংলাদেশ মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের এ যৌথ উদ্যোগ বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গিসূচক পরিকল্পনার পাশাপাশি জনপ্রশাসন ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন– এর গুরুত্বারোপের প্রতিফলন।
ইইউ-এর বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে সিএসও এবং সরকারি কার্যালয় সহ সব সুবিধাভোগীর জন্য উপযুক্ত উন্নততর মানদণ্ড সৃষ্টি পিফোরডি প্রকল্পের মূল কৌশলগত কাঠামো। এছাড়াও এ প্রকল্প ২০১৪-২০২০ মেয়াদের জন্য ইইউ বহুবার্ষিক নির্ধারক কর্মসূচি (Multi-annual Indicative Programme)-এর অধীন ইইউ-বাংলাদেশ কৌশলগত লক্ষ্য ‘গণতান্ত্রিক প্রশাসন উন্নয়ন’ (Strengthening Democratic Governance) কাঠামোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
পিফোরডি প্রকল্পের কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সমন্বয় প্রচেষ্টা ও তত্ত্বাবধানের ভিত্তিতে সরকারের সব স্তরের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নাগরিক অধিকার ও চাহিদার প্রতি আরও বেশি দায়বদ্ধ ও সংবেদনশীল হতে বাংলাদেশ সরকারের নীতিতান্ত্রিক অঙ্গীকারের প্রেক্ষাপটে পিফোরডি প্রকল্পের সূচনা। গণতান্ত্রিক স্বত্ত্ব শক্তিশালী করায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, নাগরিক সমাজ সংস্থায় গুরুত্ব দিচ্ছে পিফোরডি – যা নির্দিষ্ট পর্যায়ে আইন প্রণয়ন, পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন নির্বাহী, প্রতিনিধি ও বিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে একই ধারাভুক্ত।
সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষমতায়নে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট, তথ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির সাথে সমঝোতা স্মারক চুক্তিবদ্ধ হয়েছে পিফরডি।
প্রকল্প ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
স্থানীয় পর্যায়ের অংশীদারগণ
ম্যাপ সদস্য হবেন যারা
নির্বাচিত ইউনিয়নের অধীন সব ওয়ার্ডের প্রতিনিধিরা
সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠী এবং আর্থ-সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন দলের প্রতিনিধি
অক্ষরজ্ঞান ও গণনা জ্ঞান সমৃদ্ধ
তরুণ (বয়স ২০-৩৫)
সিএসও ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি (ইউপি, ইউজেপ)
গোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য স্বেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ডে আগ্রহী
অপরাধের রেকর্ড বিহীন
স্থানীয় বাসিন্দা
স্থানীয় পর্যায়ে গণতান্ত্রিক স্বত্ত্বের বিকাশে এবং সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালার উপকরণসমূহ ও সরকারি সেবাকে সহজলভ্য করে তুলতে পিফরডি প্রকল্প কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টার এবং ম্যাপ প্রতিষ্ঠা করেছে।
প্রকল্পভুক্ত ২১ জেলার প্রতিটিতে একটি করে কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টার রয়েছে, যা নাগরিক সংশ্লিষ্টতার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে থাকে। নাগরিক সমাজের ক্ষমতার বিস্তার ছাড়াও সব সুবিধাভোগী – নাগরিক, সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী, স্থানীয় প্রশাসন এবং নির্বাচিত কর্মকর্তাদের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক পরিবেশের প্রচারণার লক্ষ্যে এটি বিশেষায়িত।
রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত এসব কার্যালয়ে স্থানীয় জনসাধারণ সভা ও কর্মশালা পরিচালনার পাশাপাশি স্থানীয় নানা জটিলতায় স্ব-স্ব পদক্ষেপ প্রদর্শন ও পর্যালোচনার সুযোগ পেয়ে থাকেন। সহজ একটি নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে কেউ বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সু্যোগ, প্রায়োগিক নীতিমালা বিষয়ক তথ্য সহায়তা এবং আরটিআই আইনের অধীনে যেকোনো তথ্যের জন্য আবেদন ও জিআরএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে অভিযোগ দাখিলে সহায়তা পেতে পারেন।
এই কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টারগুলো প্রকল্পের পূর্ণ কার্যমেয়াদ জুড়ে চালু থাকবে। পিফোরডি প্রকল্প সমাপ্তির পর যাতে এ কার্যালয়গুলো অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে, তা মাথায় রেখেই এদের পরিচালনা কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।
কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টারগুলোর মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় নীতিতান্ত্রিক সমস্যার সমাধানে মাল্টি অ্যাক্টর পার্টনারশিপ (ম্যাপ) – সিএসও-দের সংঘ, নাগরিক এবং অন্যান্য সুবিধাভোগীদের সমন্বয় ঘটানো। প্রতিটি সেন্টারে কমপক্ষে একজন তত্ত্বাবধায়ক তিনটি করে ম্যাপ-এ সহায়তা দিয়ে থাকেন।
-
ম্যাপ-এ অন্তর্ভুক্ত সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন নাগরিক সমাজ, স্থানীয় সরকার, স্থানীয় নেতৃত্ব, উদ্যোক্তা, সংবাদমাধ্যম, সমাজকর্মী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং যুব সমাজের প্রতিনিধিরা।
-
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সংঘ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, এনজিও সহ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা এর লক্ষ্য।
প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারগণ
নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করার জন্য আমরা জাতিয় পর্যায়ের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারত্বের চুক্তি করেছি। এই প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে এনআইএলজি, বিপিএটিসি, এনআইএমসি, এবং বিসিএসএএ। এদের সাথে আমরা গবেষণা, নীতি ও কৌশল প্রণয়ন, এবং সরকারি কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজ প্রতিনিধিগণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি।
পিফরডি প্রকল্প জাতীয় স্থানীয় সরকার ইন্সটিটিউট, তথ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির সাথে সরকারি কর্মকর্তাগণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে।