পরিবর্তনের জন্য সংলাপ
প্লাটফর্ম ফর ডায়ালগ ত্রৈমাসিক হাইলাইটস
সিএসও সদস্যদের জন্য এডভোকেসী প্রশিক্ষণ: সিএসও-র সক্ষমতা উন্নয়ন
অ্যাডভোকেসি হ’ল সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন (সিএসও)-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতার মধ্যে একটি। এটি অন্যান্য, সমমনা, সিএসও এবং সরকারী সংস্থাগুলির সাথে কীভাবে সংযোগ স্থাপন করবে তা বোঝার মাধ্যমে সিএসওগুলিকে তাদের কাজের প্রভাব আরও বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে এবং যে কোনও সমাজে তারা সুশাসনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠছে-এটা নিশ্চিত করে। প্রকল্পের পুরো সময় ধরে, প্ল্যাটফর্ম ফর ডায়ালগ (পি4ডি) ২১টি জেলায় ৬৩ টি সিএসও-র সাথে স্থানীয় পর্যায়ে কারিগরী সহায়তা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে আসছে। সিএসও গুণগতমানের প্রচারের লক্ষ্যে আমাদের কাজের অংশ হিসাবে, আমরা সিএসওদেরকে স্থানীয় সমস্যাগুলি আরও ভালভাবে মোকাবেলার জন্য তাদের সংগঠনকে শক্তিশালীকরণ এবং অনুরূপ সংস্থার সাথে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা একটি অ্যাডভোকেসি কৌশল কোর্স প্রণয়ন এবং আয়োজন করেছি।
অ্যাডভোকেসি কৌশল ব্যবহার করে স্থানীয় সমস্যাগুলি মোকাবেলায় সিএসও নেতাদের সংবেদনশীলতা তৈরী, জ্ঞান সম্প্রসারণ, দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের পার্টনার সংস্থাগুলির স্থানীয় প্রেক্ষাপটের সাথে প্রাসঙ্গিক হওয়ার উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামটি ঘরোয়াভাবে তৈরি করা হয়েছিল। ২১ টিপ্রকল্প জেলার সকল প্রতিনিধিদের নিয়ে দু’টি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং সেখানে প্রতিটি সিএসও পার্টনার নেতা অংশ নিতে পেরেছিলেন। সব মিলিয়ে ৬৩ জন সিএসও পার্টনারনেতা, ২ জন ম্যাপ সদস্য এবং ১৯ জন জেলা ফ্যাসিলেটেটর এতে যোগ দেন।, ১৬-১৭ ফেব্রুয়ারি এবং ২৪-২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০-এই দু’সপ্তাহের মধ্যে প্রশিক্ষণ দু’টি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
ইউপি সচিবদের সাথে পার্টনারশীপ প্রশিক্ষণ
সুশীল সমাজ ও সরকারের মধ্যে সংলাপের উন্নয়নে, এবং সিএসও সদস্যদের জন্য আয়োজিত অ্যাডভোকেসি প্রশিক্ষণের পরিপূরক হিসাবে, পিফরডি প্রকল্প ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এবং সিএসও সদস্যদের জন্য পার্টনারশীপ প্রশিক্ষণ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করেছে। সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে সিএসও-দের গঠনমূলক কথোপকথনে সম্পৃক্ত হতে এবং স্থানীয় সংস্থার সাথে আরও দৃঢ় সম্পর্ক গড়তে সহায়তার উদ্দেশ্যে ‘ফলাফলের জন্য পার্টনারশীপ : সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী, এবং সরকারী দলসমূহের সাথে পার্টনারশীপের জন্য গাইড’, শীর্ষক পিফরডি গাইডটি প্রণয়ন করা হয়েছিল।
পার্টনারশীপ এ্যাপ্রোচ বলতে কি বোঝায়, পার্টনারশীপের মূল নীতি, পার্টনারশীপের ধরণ, এবং পার্টনারশীপের সুবিধা ও চ্যালেঞ্জগুলিসহ পার্টনারশীপ বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞান উন্নয়নে রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট কালেক্টিভ (আরডিসি) -এর সহযোগিতায় বাস্তবায়িত এই প্রশিক্ষণটি প্রণয়ন করা হয়েছিল। এই প্রশিক্ষণটি তিনটি খাত- সরকারী খাত, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারী খাতের বিস্তৃত দিকগুলির উপর একটি ধারণা তৈরীর পাশাপাশি বাংলাদেশে পার্টনারশীপ গঠনের পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়া বোঝার উপরও জোর দিয়েছিল।
ফেব্রুয়ারির শেষে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণটি ইউপি সচিব এবং সিএসও সদস্যদের গণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে একে অপরকে আরও ভালভাবে যুক্ত করার জন্য সঠিক উপকরণ সরবরাহ করেছিল। সিএসও প্রতিনিধি, ইউপি সচিব এবং আঞ্চলিক পিফরডি স্টাফসহ মোট ১১০ জন অংশগ্রহণকারী দু’টি গ্রুপে প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছিলেন।
ময়মনসিংহ ও সিলেটে পিএএসএ
জানুয়ারীর শেষ নাগাদ আমাদের চলমান কাজের অংশ হিসেবে, প্ল্যাটফর্ম ফর ডায়ালগ (পিফরডি) সামাজিক জবাবদিহিতার জন্য পার্টনারশীপ (পিএএসএ) বিষয়ে দুটি চূড়ান্ত কর্মশালা সম্পন্ন করে। ময়মনসিংহে ৫-৬ ফেব্রুয়ারি এবং সিলেটে ১২-১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সিএসও, এনজিও এবং মাল্টি-অ্যাক্টর পার্টনারশিপ (ম্যাপ) সদস্যদের পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরণ, পার্টনারশীপ পদ্ধতি এবং মূল থিমেটিক বিষয় আলোচনা করার জন্য একত্রিত করা হয়।উভয় কর্মশালায়, অংশগ্রহণকারীদের তাদের কমিউনিটিকে প্রভাবিত করে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে শিখতে এবং আলোচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যেমন- মাদকাসক্তি, বাল্য বিবাহ, মানসম্পন্ন শিক্ষা, স্থানীয় সরকারে অংশগ্রহণ, গ্রামীণস্বাস্থ্যসেবা/কমিউনিটি ক্লিনিক, এবং সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরণ।
সকল পিএএসএ কর্মশালাসমূহে, পরিষেবা প্রদান, জবাবদিহিতা এবং অ্যাডভোকেসি উন্নয়নের জন্য সিএসও গুণগত মান উন্নয়ন বিষয়ে গঠনমূলক কথোপকথনের পাশাপাশি থিম্যাটিক বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত সমস্যাগুলি কাটিয়ে ওঠার উপায়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল যা স্থানীয় সংস্থাসমূহকে তাদের নিজস্বভাবে এই সমস্যাগুলি সমাধান করার সুস্পষ্ট উপায় বাতলে দিয়েছিল। এই কর্মশালাগুলি অভিজ্ঞতা, গল্প, চ্যালেঞ্জ এবং সাফল্যসমূহ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য সমন্বিত স্থান হিসাবে ব্যবহার করে, অংশগ্রহণকারীরা তাদের কমিউনিটিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য সুপারিশ, প্রাসঙ্গিক সমাধান এবং উপকরণসমূহ রেখে গেছে। আমাদের পিএএসএ- ইভেন্টগুলিতে আলোচনার অনেক বিষয়ই আমাদের ফলাফলের জন্য পার্টনারশীপ গাইড তৈরীতে সহায়তা করেছে, যাতে সিএসও-গুলি বড় হওয়ার সাথে সাথে এই পাঠগুলি উল্লেখ করতে পারে।
কোভিড-১৯ -এর সময় সিএসও পার্টনার এবং ম্যাপ কর্তৃক তাদের কমিউনিটিতে সহায়তা প্রদান
করোনাভাইরাস -১৯ -এর প্রতিরোধে আরোপিত বিধি-নিষেধের কারণে সারা বাংলাদেশের জনগণ অভাবনীয় কষ্টের মুখোমুখি হচ্ছে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে, আমাদের অনেক পার্টনার সিএসও এবং ম্যাপ তাদের সবচেয়ে দূর্বল কমিউনিটির মানুষদেরকে সহায়তার জন্য নিজস্ব উদ্যোগ চালু করেছে। মার্চ ও এপ্রিলের শেষের দিকে তারা তাদের কমিউনিটিতে কোভিড-১৯ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে, অনেক পরিবাবে স্বাস্থ্যসম্মত দ্রব্যাদি সরবরাহ করেছে, অভাবগ্রস্থদের জন্য খাদ্য প্রদানসহ আরও অনেক কিছু করেছে।পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে জনগণের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তারা সম্মিলিতভাবে দেশজুড়ে প্রায় ৫৫০,০০০ মানুষকে সহায়তা প্রদান করেছে। এমনকি যখন আমরা শারীরিকভাবে দূরেঅবস্থান করছি, তখনও আমরা সংযুক্ত রয়েছি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং আমাদের সিএসও পার্টনারদেরসাথে তিন বছর কাজ করার পর, সামাজিক জবাবদিহিতার উপকরণগুলির পূর্ণ সুবিধা নিতে প্ল্যাটফর্মস ফর ডায়লগ বাংলাদেশীদের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে। বিস্তৃত জনগণের কাছে এই উপকরণগুলি প্রদর্শন করতে, আমরা এপ্রিল মাসে সামাজিক গণমাধ্যমে সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরণ প্রচারণা শুরু করেছি। যদিও আমাদের অনেক পার্টনার এই উপকরণগুলি সম্পর্কে সচেতন, কিন্ত অনেক বাংলাদেশী এখনও জানেন না এগুলো কী, এগুলো কীভাবে কাজ করে, বা কেন এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এটি সমাধানের জন্য, আমরা আগামী কয়েক মাস ধরে নাগরিক সনদ, তথ্য অধিকার, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা এবং জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল সম্পর্কে আমাদের জনগণকে শিক্ষিত করার জন্য নতুনউপকরণসূচী বিনিময় করব।
প্রতিটি সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরণ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সহায়তায় ডিজাইন করা পাবলিক সার্ভিস ঘোষণা (পিএসএ) আমরা আমাদের ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে চালু করছি। আমাদের লক্ষ্য হ’ল, ভিডিও এবং প্রচারণার মাধ্যমে, আরও অধিক সংখ্যক নাগরিক এই সামাজিক জবাবদিহিতা উপরকরণগুলি সম্পর্কে শিখতে পারবেন এবং এই উপকরণগুলি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার মানকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারবেন এবং বাংলাদেশে সরকারী পরিষেবা প্রদানের উন্নতি ঘটবে। আরও বিস্তারিত দেখতে আমাদের ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
স্থানীয় সাংবাদিকদের জন্য সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরণ, স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং উৎকৃষ্ট পরিষেবা প্রদান বিষয়ক কৌশলগত যোগাযোগ প্রশিক্ষণ
জবাবদিহিমূলক এবং স্বচ্ছ সরকারের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা হচ্ছে একটি অপরিহার্য উপাদান। সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরণ বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরীতে স্থানীয় সাংবাদিকদের সক্ষম করে তুলতে দক্ষতা তৈরী কর্মশালা প্রণয়ন ও আয়োজনে, জানুয়ারী এবং ফেব্রুয়ারিতে, প্ল্যাটফর্ম ফর ডায়ালগ জাতীয় গণসংযোগ ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি)-এর সাথে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলে। এই সময়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে সরকারী জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কীভাবে সংবাদ প্রতিবেদনের মান উন্নয়ন করতে পারে সে বিষয়ে এনআইএমসি ২৫টি নিউজ মিডিয়া আউটলেটের ২২৫ জন সাংবাদিকের সাথে ৯ টি প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে।
এই প্রশিক্ষণটিতে নাগরিক সনদ(সিসি), তথ্য অধিকার (আরটিআই), জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস), এবং অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা(জিআরএস)-সহ উপকরণসমূহের সাথে সম্পর্কিত কলাম, নিবন্ধ এব কেস স্টোরিগুলি লেখার দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত ছিল। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কেন এবং কীভাবেপ্রতিটি উপকরণ সুশাসন অনুশীলনকে প্রভাবিত ও উন্নয়ন ঘটায় তা সকল অংশগ্রহণকারীরা শিখেছে।
সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরণ প্রচারে সরকারী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান
সরকারী কর্মকর্তাদের সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরণসমূহের প্রতি সংবেদনশীল করার জন্য ছয়টি কর্মশালা প্রণয়ন ও প্রদানের জন্য গত শরতে, প্ল্যাটফর্ম ফর ডায়ালগ (পিফরডি) জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি)-এর সাথে অংশীদারিত্ব গড়ে তো
লে। সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরণ ব্যবহার করে কীভাবে সরকারী পরিষেবা প্রদানের মান উন্নয়ন করতে পারে এবং তাদের সংস্থায় সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে-সে বিষয়ে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে, এনআইএলজি ঢাকা অঞ্চলের বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সরকারী সংস্থা থেকে ১০০০ সরকারী কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে।
প্রশিক্ষণটিতে নাগরিকের সনদ (সিসি), তথ্য অধিকার (আরটিআই), জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস), অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস), এবং বার্ষিক পারফরম্যান্স চুক্তি (এপিএ) অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রতিটি সেশনের সময়, অংশগ্রহণকারীরা প্রতিটি উপকরণ ব্যবহারের জন্য এর সংজ্ঞা, ধারণা এবং পটভূমি,সংশ্লিষ্ট পদ্ধতি, এবং সরকারী কর্মকর্তাদের ভূমিকা কি-তা শিখেছিল। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কেন এবং কীভাবে প্রতিটি উপকরণ সুশাসন অনুশীলনকে প্রভাবিত ও উন্নয়ন ঘটায় তা সকল অংশগ্রহণকারীরা শিখেছে। কর্মশালাগুলির নেতৃস্থানীয় সঞ্চালকবৃন্দ হলেন- ডঃ মোঃ মুশফিকুর রহমান, যুগ্ম-সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনাব মোঃ গোলাম ইয়াহিয়া (অতিরিক্ত সচিব), পরিচালক(প্রশিক্ষণ), এনআইএলজি।
উর্দ্ধতন সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য আলোচনা, সঞ্চালনা, এবং ব্যবস্থাপনা কৌশলসমূহ
২-দিনের প্রশিক্ষণ প্রণয়ন ও আয়োজনের জন্য প্ল্যাটফর্ম ফর ডায়ালগ (পি4ডি) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমির (বিসিএসএএ)-এর সাথে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলে। ২০১৯-এর নভেম্বরে একটি ৩-দিনের প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রদানের পর, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে ৮৩ জন উর্দ্ধতন সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য বিসিএসএএ দুটি কারিগরী কোর্স পরিচালনা করে।
দক্ষতা-ভিত্তিক প্রশিক্ষণটিতে আলোচনা, সঞ্চালনা, এবং ব্যবস্থাপনা কৌশলসমূহের অনুশীলন অন্তর্ভূক্ত ছিল-যা নাগরিকদের উন্নত পরিষেবা প্রদান নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সরকারী বিভাগে ব্যবহার করা যেতে পারে। তখন থেকে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের মানসিকতা ও আচরণে লক্ষণীয় পরিবর্তন এসেছে। এই কর্মকর্তারা তাদের নতুন দক্ষতা সক্রিয়ভাবে তাদের সহকর্মীদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন এবং আলোচনাভিত্তিক ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াগুলি যথাযথভাবে সম্পাদন করতে তাদের নিজ নিজ বিভাগগুলিকে সহায়তা করতে শুরু করেছেন।
সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য বার্ষিক পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট (এপিএম) প্রশিক্ষণ
বাংলাদেশ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টার (বিপিএটিসি)-এর অংশীদারিত্বে প্ল্যাটফর্মস ফর ডায়ালগ (পিফরডি), বার্ষিক পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট (এপিএম) উপকরণের উপর আইসিটি কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে ৭টি প্রশিক্ষণ কোর্স প্রণয়ন ও প্রদান করেছে । বার্ষিক পারফরম্যান্স চুক্তি (এপিএ) মূলত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্বকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং মন্ত্রীর প্রতিনিধিত্বকারী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়/বিভাগের সচিবের মধ্যে সমঝোতার একটি অপরিহার্য রেকর্ড। সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলিতে বৃহত্তর স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা ত্বরান্বিতকরণ, সম্পদসমূহের যথাযথভাবে ব্যবহার, এবং প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারী পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
এপিএম উপকরণ ব্যবহার করে কীভাবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারী বিভাগের পারফরম্যান্স ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়ন করা যায় সে লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে, ২দিনের প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের পর, বিপিএটিসি ৩৫০জন সরকারী কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল, যার মধ্যে ৯০জন নারী এবং ২৬০জন পুরুষ ছিলেন। প্রশিক্ষণটি একটি দক্ষতা-ভিত্তিক কোর্স ছিল,-যা বার্ষিক পারফরম্যান্স চুক্তিটি সঠিকভাবে প্রস্তুত করতে এবং পারফরম্যান্স মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা তৈরীর উদ্দেশ্যে ছিল। পিফরডি-এর অগ্রাধিকার হ’ল- সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টাকে সহায়তা করা এবং পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্টকে উন্নত করার লক্ষ্যে সকল সরকারি সংস্থার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দ্বারা প্রতি বছর সংজ্ঞায়িত “বাধ্যতামূলক প্রয়োজনীয়তা” গুলির উপর দক্ষতা তৈরি করা।
আরইভিই ব্যবস্থার সাথে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) সফটওয়্যায় প্রশিক্ষণ
সরকারি পরিষেবা সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে এবং সরকারী পরিষেবাগুলির ব্যর্থতা উন্নয়নে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা হ’ল একটি অপরিহার্য জবাবদিহিতা উপকরণ। ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে জিআরএস সফটওয়্যার অপারেশনের উপর দু’টি ২-দিনের প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করার জন্য আরইভিই ব্যবস্থার সাথে প্লাটফর্ম ফর ডায়ালগ (পফরডি) অংশীদারিত্ব গড়ে তোলে। একটি প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের পর, সরকারী বিভিন্ন বিভাগগুলিতে জিআরএসের মান নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় অপারেশনাল দক্ষতা সম্পর্কে প্রশিক্ষণের জন্য আরইভিই ব্যবস্থা ৪৩টি জিআরএস ফোকাল পার্সন এবং জিআরএস সিস্টেম এনালিষ্টদের সাথে কাজ করে। এই প্রশিক্ষণটি কীভাবে সিস্টেম পরিচালনা ও সমস্যা সমাধান করে তার কারিগরী দিকগুলিই নয়, বরং নাগরিকদের সরকারী পরিষেবাগুলি সঠিকভাবে পেতে এবং জনসেবা উন্নয়নে সরকারকে সহযোগিতা করা উভয় ক্ষেত্রে সহায়তা করার উপকরণ হিসেবে জিআরএসের সামাজিক প্রভাবগুলি বুঝতে সরকারী কর্মকর্তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়েছিল ।
Comments