top of page

পরিবর্তনের জন্য সংলাপ | নিউজলেটার | ভলিউম ৯ | ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ২০২১




ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরাম (ডিপিএফ) ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা সম্পন্ন

স্থানীয় পর্যায়ের (উপজেলা/ইউনিয়ন) কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করার পর প্লাটফর্মস ফর ডায়ালগ বাগেরহাট, বান্দরবন, ব্রাম্মণবাড়িয়া, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, কুষ্টিয়া, নীলফামারী, নাটোর, পঞ্চগড়, পটুয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে জেলা পর্যায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে ।


মার্চ মাসে ডিপিএফ সদস্যদেরজন্য ১২টি জেলার প্রতিটিতে প্রকল্প থেকে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে মোট ২৪০ জন অংশগ্রহণ করেছেন। কর্মশালা শেষে, জেলা ভিত্তিক এনজিও, পিফরডি সিএসও পার্টনার, ম্যাপ গ্রুপের প্রতিনিধি, এবং নাগরিক সমাজের গণ্যমান্য প্রতিনিধির সমন্বয়ে প্রতিটি জেলায় ডিপিএফ গঠন করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা সকলেই স্থানীয় সমস্যাবলী নিয়ে কাজ করতে, সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালার প্রচারণায়, এবং নাগরিক সমাজ ও নীতি-নির্ধারকদের মধ্যে সংলাপ সঞ্চালনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।


সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা সত্তেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সকল স্তরের পর্যবেক্ষণে নাগরিক ও সুশীল সমাজের কার্যকর সম্পৃক্ততা ও অংশগ্রহণের জন্য পিফরডি আরও সহায়ক পরিবেশ প্রণয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্যে, নাগরিক স্বার্থের পক্ষে কথা বলা ও উপস্থাপন করা, প্রভাবক হিসেবে ভূমিকা রাখা, এবং নাগরিক সনদ (সিসি), তথ্য অধিকার (আরটিআই), অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস), এবং জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস) সহ সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালাসমূহের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে আগ্রহী সুশীল সমাজের নেতাদের একত্রিতকরণ ও তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি জরুরী।


আমাদের কার্যক্রমগুলো প্রাণবন্ত হয়েছে এবং নতুন কাজেরবিধি-নিষেধের সাথে মানিয়ে নিয়েই আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতিতে অটল।


কাজের অংশ হিসেবে, সুশীল সমাজের নেতাদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেআমরা ডিপিএফ সদস্যদের জন্য ২০২১ সালের মে-জুন মাসে অনলাইন বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের আয়োজন করছি, যাতে করে তারা আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন। প্রশিক্ষণ পরবর্তী সময়ে আমরা ডিপিএফগুলোকে এ্যাডভোকেসী, সংলাপ সঞ্চালনা, নাগরিক সম্পৃক্ততা, এবং সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা প্রসারণে কৌশলগত, লজিষ্টিক্যাল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবো।


ম্যাপ সদস্যদের সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা বিষয়ক প্রশিক্ষণ


পিফরডি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে মাল্টি-এ্যাক্টর পার্টনারশীপ (এমএপি) গ্রুপের সদস্যদেরজন্য সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালার উপর ৬টি প্রশিক্ষণ সেশনেরআয়োজন করেছে। আমাদের ২১টি প্রকল্প জেলাথেকে ১৮০ জন ম্যাপসদস্য (১৩৪ জন পুরুষও ৪৬ জন নারী) নিয়ে অনলাইনে প্রশিক্ষণ সেশনগুলো পরিচালিত হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১৩৬ জন ছিল ৩৫ বছরের কমবয়সী। তরুণদের জন্য প্রশিক্ষণগুলো অত্যন্তআকর্ষণীয় ছিলো। উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তাদের জন্যও প্রশিক্ষনটি খুবই শিক্ষণীয় ওউপকারী ছিলো। সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা; বিশেষকরে নাগরিক সনদ ও অভিযোগপ্রতিকার ব্যবস্থার উপর কমিউনিটি থেকেতারা সরাসরি মূল্যবান ফিডব্যাক পেয়েছেন।


প্রশিক্ষণটিপ্রদান করেছেন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও পিফরডি প্রকল্প পরিচালক জনাব গোলাম ফারুক পিএইচডি, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব ও পিফরডিপ্রকল্প উপ-পরিচালক জনাব আয়েশা আকতার, এবং মন্ত্রী পরিষদবিভাগের উপ-সচিব ও পিফরডি প্রকল্প সহকারী পরিচালক মো: মোখলেসুর রহমান।



নারীদিবস প্রচারণা: পিফরডি এর অনলাইন কমিউনিটিতে নারী প্রতিনিধিত্বের উন্নয়ন


এবছর পিফরডি প্রকল্পের মাধ্যমে নারীদের প্রভাবগুলি প্রদর্শন করতে এবং সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালার ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করা যেতে পারে তা তুলে ধরার জন্য আমরা ২০২১ সালের ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনে দু’সপ্তাহ ব্যাপী প্রচারণা চালিয়েছি। প্রচারণার সার্বিক লক্ষ্য ছিল নারী অধিকারের প্রসার এবং নারীদেরকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হতে উৎসাহ প্রদানসহ আমাদের সামাজিক গণমাধ্যম অনুসারীদের মধ্যে জেন্ডার সমতার উন্নয়ন ঘটানো। পূর্ববর্তী প্রচারণার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমরা যখন আমাদের মূল জনমিতিকে লক্ষ্যবস্তু করেছি, তখন আমরা আমাদের প্রকল্প জেলা থেকে নির্দিষ্টকরে নারীদের লক্ষ্য করে আরও একটি স্তর যুক্ত করেছি। এটি আমাদেরকে উল্লেখযোগ্য ফলাফলের দিকে এগিয়ে নিয়েছে। ফেইসবুকে আমাদের প্রচারিত পোস্টগুলো প্রচারণা চলার ১৪ দিনের মধ্যে বিস্ময়করভাবে ১.৯৩ মিলিয়ন ইউনিক ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছেছে। ২০২০ সালের আরও দীর্ঘ ও জটিলতর প্রচারাভিযান পরিচালনা করেও এখন পর্যন্ত মাত্র ১৪ দিনে এ পরিমাণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। ১৩৫,৭০৪ জন ব্যক্তি লাইক, মন্তব্য এবং ক্লিকের মাধ্যমে আমাদের বিষয়াবলীতে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছেন। এছাড়াও লক্ষ্যনীয় যে, এই প্রচারের কারণে পিফরডি-এর ফেইসবুক পেইজে বর্তমানে প্রায় ২২,০০০ অনুসারী রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নারী, যা কি-না প্রচারণয় নারীদের প্রাধান্য দেয়ার সরাসরি ফলাফল। এটি একটি বড় সাফল্য যা কেবলমাত্র আমাদের আগত প্রচারণার মাধ্যমে আরও বেশি নারীর কাছে পৌঁছানোর প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে না; বরং আমাদের প্রকল্প কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে নারীদের অংশগ্রহণকে বৃদ্ধি করতে পারবে; সেটি অনলাইনে হলেও।




তৃতীয় সামাজিক মাধ্যম প্রচারণা (এসএমসি) শুরু


বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপনের পর, প্রধান প্রধান সামাজিক জবাবদিহিনীতি মালার (এসএটি) উপর আমরা আমাদের তৃতীয় সামাজিক গণমাধ্যম প্রচারণা (এসএমসি) শুরু করেছি। তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ দিয়ে শুরু করে সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা কী, কীভাবে নাগরিকগণ এগুলো ব্যবহার করবেন, এবং আমাদের গণতন্ত্রের জন্য এগুলো কেন গুরুত্বপূর্ণ তার ব্যাখ্যাসহ ৪টি মূল নীতিমালা বিষয়াবলী প্রচারের ক্ষেত্রে আমরা পরবর্তী ৩ মাস সময় ব্যয় করবো। ২০২০-এর হেমন্তকালীন প্রচারণার ধারাবাহিকতায় আমরা পলিসি চরিত্র সমূহের সাথে শিক্ষা-বিনোদন কেন্দ্রিক বিষয়াবলী তৈরি করেছি। বর্তমান প্রচারণার কিছু বিষয় পূর্বেই প্রকাশিত হওয়ায় আমাদের নতুন ও পুরাতন অনুসারীদেরকে বার্তাসমূহ এবং জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নীতিসমূহ দৃঢ়ভাবে বুঝতে সহায়তা করবে। নাগরিক সনদ, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা এবং জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের অংশগুলো নিয়ে এই প্রচারণা চলমান থাকবে। জুনের শুরুতে এই প্রচারণার শেষ হবে, তখন আমরা আমাদের কর্মসূচীতে বিরতি দিয়ে ২০২১-এর হেমন্তে আমাদের চতুর্থ প্রচারণার জন্য নতুন কর্মসূচি তৈরীতে সেগুলো ব্যবহার করবো।


শিক্ষনীয়বিষয়সমূহ: ২০২০ সাল থেকে সামাজিক মাধ্যম প্রচারণা থেকে পাওয়া শিক্ষা ও সামনে এগিয়ে যাবার ক্ষেত্রে পিফরডি’র অভিযোজন প্রক্রিয়া


২০২০ সালে পিফরডি ৪টি সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালার প্রসারে দু’টি অনলাইন সামাজিক মাধ্যম প্রচারণা (এসএমসি) চালিয়েছিল। প্রচারণাকালীন সময়ে আমরা প্রতিটি এসএটি তুলে ধরেছি, এবং প্রতিটি উপকরণ কি, এগুলোর ব্যবহার, এবং প্রতিটি উপকরণ গুরুত্বপূর্ণ কেন তা ফেইসবুকে পোষ্ট করার মাধ্যমে আমাদের অনুসারী ও টার্গেট জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করেছিলাম। ২০২১ ও ২০২২ সালে প্রচারের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার লক্ষ্যে এবং ভবিষ্যৎ প্রচারণার জন্য আমাদের কৌশলকে কিভাবে আরও কার্যকরভাবে সমন্বয় করতে পারি সে লক্ষ্যে আমরা ২০২০ সালের হেমন্তে ও বসন্তে প্রচারণার শিক্ষণীয় বিষয়গুলো একসাথে করে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিলাম। মূল শিক্ষণীয় বিষয়গুলো নীচে তুলে ধরা হল-

বসন্তের প্রচারণার মূল শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ:

  • অতিরিক্ত লিখিত বর্ণনাও আইকনের তুলনায় ব্যক্তি এবং দলগত ছবি পোষ্টিং অধিক কার্যকরী ও জন সস্পৃক্ততা বাড়ায়

  • ইনফোগ্রাফিকস্ এর মাধ্যমে টার্গেট জনগোষ্ঠীর কাছে তুলনামূলকভাবে বেশী পৌঁছানো যায় যেখানে পোস্টের মেসেজগুলো তাদের প্রোফাইলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। তবে নতুন দর্শকদের কাছে ইনফোগ্রাফিক্স তুলনামূলকভাবেকম কার্যকরী

  • আনুষ্ঠানিক ভিডিওগুলোর চেয়ে অনানুষ্ঠানিক ভিডিওগুলো দর্শকদের কম আকর্ষণ করে। সুনির্দিষ্ট বার্তাসহ সুবিন্যস্ত এবং সুনির্মিত ভিডিও দেখতে মানুষ পছন্দ করে। আনুষ্ঠানিক ভিডিওগুলো অধিক শিক্ষামূলক, তাই ভিডিওতে বর্ণিত পরিষেবা থেকে কীভাবে উপকৃত হবেন সে সম্পর্কে তথ্য পেতে দর্শকরা আরও বেশি আগ্রহী থাকতে পারেন

  • দীর্ঘ ভিডিওগুলো আমাদের দর্শক কর্তৃক পুরোপুরি দেখার সম্ভাবনা কম। যে-কোন ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে ৪৫ সেকেন্ড পরে দর্শক ধরে রাখা ব্যাপকহারে হ্রাস পায়। দর্শক ধরে রাখতে ভিডিওগুলোর দৈর্ঘ্য ২ মিনিটের মধ্যে থাকা উচিত।


আমরা বসন্ত থেকে আমাদের প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার আলোকে হেমন্ত প্রচারণায় কিছু বিষয়বস্তু সমন্বয় করেছি এবং দেখেছি যে সামগ্রিকভাবে প্রচারণা আরও ভালোভাবে কাজ করেছে। এটি আমাদের ইনফোগ্রাফিক এবং ভিডিওগুলোতে নতুন এসএটি চরিত্রের প্রবর্তন ও আমাদের বিষয়সূচীর পরিকল্পনায় পরিবর্তনের ফলে হয়েছে। আমরা পড়তে কঠিন এমন গ্রাফিকস্ বাদ দিয়েছি এবং অ্যানিমেটেড চরিত্র, মানুষের ছবি এবং ভিডিও ব্যবহারে জোর দিয়েছি। সুনির্দিষ্ট শিক্ষণগুলো নীচে তুলে ধরা হল।


হেমন্তের প্রচারণার মূল শিক্ষণীয় বিষয় সমূহ:

  • ছবি বা আলোকচিত্র অরগ্যানিক ও স্পন্সরড উভয়ক্ষেত্রে জন সস্পৃক্ততা বাড়াতে অধিক কার্যকরী

  • আ্যানিমেটেড চরিত্রসহ ইনফোগ্রাফিকস ও বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভিডিও চিত্র অনুসারীদের ব্যাপক হারে সম্পৃক্ত করে এবং একটি বড় সংখ্যার দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারে

  • আমাদের ভিডিওগুলো চমৎকারভাবে রিচ, এঙ্গেজমেন্ট, কনভার্সন এবং এ্যাডকোকেসী (আর,ই,সি.এ) লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করছে। মানুষ এখন এ্যনিমেটেড চরিত্রগুলো থেকে নীতিমালা সম্পর্কে শিখছে এবং ভিডিওগুলো সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালার জন্য একটি ধারাবাহিক ব্র্যান্ডমান তৈরি করছে

  • এখন ফেসবুক সম্পৃক্ততার অনেকগুলো উপকরণ যেমন; ভিডিওতে একটি পোল অপশন, প্রোফাইল পিকচার ফ্রেম, হ্যাশট্যাগ এবং আরও অনেক কিছু সরবরাহ করছে। এই প্রচারণার সময় আমরা কেবলমাত্র আমাদের শ্রোতাদের সম্পৃক্ত করার জন্য প্রাসঙ্গিক উপকরণ ব্যবহার করছি। তবে কিছু উপকরণ এখনও বেটা টেস্টিং-এ এবং কিছু উপকরণের কারিগরি সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে 


অনলাইন এসএমসির সাফল্য আমাদের শ্রোতারা যে ধরণের বিষয় উপভোগ করে ও সম্পৃক্ত হয় সে সম্পর্কে আমাদের পরিস্কার ধারণা দিয়েছে। ক্যাম্পেইনগুলোর ফলাফল আরও বাড়াতে ভবিষ্যতে আমরা সেই উপকরণগুলোতে জোর দেবো যেগুলো সর্বোচ্চ মেট্রিকস প্রদান করবে। ভিডিওগুলো, বিশেষ করে ছোট ভিডিওগুলো অনলাইনে মনোযোগ ধরে রাখার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। রঙিন, শিক্ষা-বিনোদন গ্রাফিকস্ (যেমন আলোকচিত্র বা গ্রাফিক ফোকাসড ইনফোগ্রাফিকস) গুলো অত্যন্ত আকর্ষণীয়। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর জন্য, সামগ্রিকভাবে আর.ই.সি.এ. বৃদ্ধি এবং অভিগম্যতা বাড়ানোর জন্য আমাদের বিজ্ঞাপনের মত পেজ চালানো দরকার। ২০২১ এ আমরা আমাদের তৃতীয় এসএমসি -এর ১ম টির কাজ শুরু করেছি, যেখানে ২০২০ এর প্রচারণা থেকে পাওয়া শিক্ষা অনুসরণ করা হচ্ছে এবং আর.ই.সি.এ. আরও বৃদ্ধির আশা রাখছি।



পিফরডি মাস্ক: কীভাবে আমরা নিরাপদ মুখোমুখি কার্যক্রম পরিচালনা করছি


এ বছরের শুরুতে কিছু মুখোমুখি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবার সাথে সাথে সকল নিরাপত্তা সতর্কতা যাতে যত্ন সহকারে বাস্তবায়িত হয় তা নিশ্চিতকরণে আমাদের দল কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে। ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং সতর্কতার সঙ্গে ভেন্যু নির্বাচন দিয়ে শুরু করে, আমরা নিজস্ব তত্ত্বাবধানে যে কোনও ইভেন্টের আগে স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে এক নম্বর অগ্রাধিকার দিয়েছে। আমাদের রিজিওনাল কোঅরডিনেটর, ডিসট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর এবং সিএসও অংশীদাররা সুরক্ষা প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিল এবং যথাযথ সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেছিল। তদুপরি, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কাজ করার সময় মনোবল ফিরিয়ে আনার জন্য, আমরা আমাদের মাঠকর্মীদের এবং স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য মানসম্পন্ন ফেস মাস্ক ডিজাইন, তৈরি এবং বিতরণ করেছি। আমাদের স্থানীয় অংশীদাররা আমাদের মাস্ক ব্যবহার করায় ও প্রচারে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল এবং কয়েকজন অংশগ্রহণকারীদের সচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করার জন্য জেলা স্তরের সার্জনদেরও জড়িত করেছেন।


স্বাস্থ্য নীতি ও গাইডলাইনের পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে পিফরডি তার পার্টনার ও অংশগ্রহণকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। যদিও আমাদের প্রত্যক্ষ কর্মকান্ডসমূহ স্থগিত করা হয়েছে, পরিস্থিতি পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরা চুড়ান্ত সতর্কতার সাথে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা এবং নীতিমালা অনুসরণ করবো।


ভার্চুয়াল আইজিএসএ : চট্টগ্রাম ও রাজশাহী


এপ্রিলের শেষে, পিফরডি প্রথম দু’টি ভার্চুয়াল অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনপদ্ধতি ও সামাজিক জবাবদিহিতা (ভি-আইজিএসএ) কর্মশালা সফলভাবে আয়োজন করেছে। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সাথে যৌথ উদ্যোগে অনলাইনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ৬৫ জন অংশগ্রহণকারী নিয়ে প্রথম ভি-আইজিএসএ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় ২০২১ সালের ২২শে এপ্রিল। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জনাব এ বিএম আজাদ, এনডিসি, বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম, এবং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব, সমন্বয় ও সংস্কার (সিএন্ডআর), জনাব মো: কামাল হোসেইন।


৬৩ জন অংশগ্রহণকারী নিয়ে দ্বিতীয় ভি-আইজিএসএ কর্মশালাটি রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয় ২০২১ সালের ২৮শে এপ্রিল । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন গণপ্রজাতন্ত্রী বালাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব, সমন্বয় ও সংস্কার (সিএন্ডআর), জনাব মো: কামাল হোসেইনএবং কর্মশালাটিতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার জনাব মো: হুমায়ুনকবির। উভয় কর্মশালাতেই মূলত সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা বিশেষ করে নাগরিক সনদও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। সম্মিলিতভাবে ১২৮ জন অংশগ্রহণকারী ভার্চুয়াল কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন, যা মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালক, কার্যক্রম, জেসিকা ম্যাগসন উভয়ের কাছ থেকে ইতিবাচক মূল্যায়ন পেয়েছে। এ দু’টি ভি-আইজিএসএ কর্মশালার সাফল্যের ভিত্তিতে, আমরা এখনও আইজিএসএ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়নি এমন পিফরডি প্রকল্প জেলায় এ ধরনের অনুষ্ঠানের প্রস্তাবনার জন্য পরিকল্পনা করছি।





এনআইএমসি চুড়ান্ত কৌশলগত সাংবাদিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে


এনআইএমসি বান্দরবন জেলায় সাংবাদিকদের জন্য ‘সুশাসন নিশ্চিতকরণে কৌশলগত যোগাযোগ’ শীর্ষক চুড়ান্ত প্রশিক্ষণটি সম্পন্ন করেছে। ২৫-২৬ জানুয়ারী, ২০২১ তারিখে দু‘দিন ব্যাপী এই ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণটি ২৫ জন সাংবাদিক নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। পিফরডি এর সাথে যৌথ উদ্যোগে, ২১ টি জেলায় মোট ৫০০ স্থানীয় সাংবাদিক ‘সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা ও কৌশলগত যোগাযোগ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সুশাসনের লক্ষ্যে সামাজিক জবাবদিহিতা বিষয়ক সংবাদ উপাদান তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের সচেতন ও দক্ষ করে তোলার প্রত্যাশা নিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

24 views0 comments
bottom of page