top of page

নিউজলেটার সংস্করণ ২

Updated: Dec 23, 2020


কমিউনিটির সদস্যরা সামাজিক উদ্যোগ প্রকল্পের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে নেতৃত্ব, যোগাযোগ এবং সামাজিক জবাবদিহিতা প্রক্রিয়ার উপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ১৪টি জেলার কমিউনিটি সদস্যরা ইতিবাচক সামাজিক ও প্রশাসনিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে সামাজিক উদ্যোগ প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ১৪টি জেলার কমিউনিটি সদস্যরা তাদের প্রথম সামাজিক উদ্যোগ প্রকল্প প্রণয়নে এবং বহুমুখী কর্ম সম্পাদনকারী পার্টনারশিপের (ম্যাপ) মাধ্যমে তাদের সমাজে পরিবর্তন আনতে ভীষণ আগ্রহী। এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে তারা সামাজিক জবাবদিহিতা নীতি উপকরণ – নাগরিক সনদ, তথ্যে অধিকার, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা এবং জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের (ন্যাশনাল ইনটেগ্রিটি স্ট্র্যাটেজি) উপর ৫ দিনব্যাপী নেতৃত্ব ও যোগাযোগ বিষয়ে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। এই প্রশিক্ষণ তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে যা তাদেরকে সরকার এবং প্রশাসন যন্ত্রের সঙ্গে আরও বেশি জড়িত হতে এবং সামাজিক পরিবর্তনের জন্য প্রচারণা চালাতে সাহায্য করেছে। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে জিআরএস এবং সিসি প্রশিক্ষণের সূচনা ইইউ’র অর্থায়ন সহায়তা নিয়ে পরিচালিত প্ল্যাটফর্ম ফর ডায়ালগ প্রকল্প (পিফরডি) এবং মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ (সিডি) আধুনিক অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) এবং নাগরিক সনদের (সিসি) উপর একটি ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ শুরু করেছে। নাগরিক এবং সুশীল সমাজ থেকে উত্থাপিত বিভিন্ন নালিশ এবং অভিযোগে আরও ভালভাবে সাড়া দিতে জিআরএস প্রশিক্ষণ সরকারি কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের মাননীয় সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন, এম, জিয়াউল আলম প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ থেকে আনুমানিক ২৫০ জন সরকারি কর্মকর্তা এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছেন। নবনিযুক্ত সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) ড: শামসুল আরেফিন নাগরিক সনদ প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন। এই প্রশিক্ষণ আরও ১৫০ জন সরকারি কর্মকর্তাকে নাগরিক সনদের দ্বিতীয় প্রজন্ম বাস্তবায়নে শিক্ষিত করে তুলবে। পিফরডি ২১টি সিআরসি’র জন্য দ্বার উন্মোচন করেছে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে প্রকল্পের অধীন ২১টি জেলায় প্ল্যাটফর্ম ফর ডায়ালগ ২১টি কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টার প্রতিষ্ঠার কাজ সম্পন্ন করেছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে সুশীল সমাজকে আওতায় আনা এবং সকল স্টেকহোল্ডারের (নাগরিক, আগ্রহী জনগোষ্ঠী, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং নির্বাচিত কর্মকর্তাবৃন্দ) জন্য একটি অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নাগরিক সম্পৃক্তির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ইইউ’র আর্থিক সহায়তা প্রাপ্ত সিআরসিগুলোকে সংযুক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় জনগণ রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ একটি স্থান হিসেবে সভা আয়োজন এবং কর্মশালা পরিচালনার জন্য এগুলো ব্যবহার করতে পারেন এবং স্থানীয় বিষয়ে তাদের উদ্যোগগুলো প্রদর্শন করতে পারেন। একটি সহজ নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে কেউ বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন, নীতি উপকরণ সম্পর্কে তাদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিতে পারেন এবং তথ্য অধিকার আইনের (আরটিআই) অধীনে যে কোন তথ্যের জন্য আবেদন করতে সহায়তা নিতে পারেন এবং জিআরএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারেন। প্রকল্পের পুরো সময়কালে কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টারগুলোকে সহায়তা দেয়া হয়ে থাকে। পিফরডি’র প্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেন্টারগুলোর আর্থিক স্বয়ম্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে এগুলোকে কৌশলী করে তোলা হয়েছে। আরও দু’টি অঞ্চলে ২১টি সিএসও টিওটি (প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ) পেয়েছে পিফরডি’র উদ্যোগে দ্বিতীয় পর্বের প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী অঞ্চলে ভবিষ্যতের জন্য আরও সিএসও মাস্টার ট্রেইনার চিহ্নিত করা হয়েছে। প্ল্যাটফর্ম ফর ডায়ালগ প্রকল্প (পিফরডি) চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী অঞ্চলে দ্বিতীয় পর্বের প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রদান শুরু করেছে। বান্দরবান, ফেনী এবং মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে ৯টি সিএসও এবং পাবনা, কুষ্টিয়া, নাটোর এবং রাজশাহী জেলা থেকে আরও ১২টি সিএসও এই ৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছে। এই প্রশিক্ষণ সামাজিক জবাবদিহিতা নীতি উপকরণ, অধিপরামর্শ (এডভোকেসি), জে-ার, সামাজিক উদ্যোগ প্রকল্প এবং নেতৃত্বের দক্ষতার উপর ভবিষ্যতের মাস্টার টেইনারদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। পিফরডি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে ৩ বৎসর মেয়াদি একটি প্রকল্প যা মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক মালিকানাবোধ শক্তিশালী করা এবং জবাবদিহিতা প্রক্রিয়া উন্নত করা। রংপুর এবং দিনাজপুরে অর্জিত অভিজ্ঞতা (লেসনস লার্নড্্) কর্মশালা অনুষ্ঠিত সিএসও পার্টনার, বহুমুখী কর্ম সম্পাদনকারী পার্টনার এবং স্থানীয় সরকারের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে যেসব প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে এবং যেসব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো জানার লক্ষ্যে প্ল্যাটফর্ম ফর ডায়ালগ রংপুর এবং দিনাজপুরে দু’টি ’অর্জিত অভিজ্ঞতা’ কর্মশালা আয়োজন করে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি ২৮ এবং ৩১ তারিখে অনুষ্ঠিত কর্মশালাগুলো পিফরডি এবং মাঠ পর্যায়ে তাদের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে আলোচনার একটি ক্ষেত্র উন্মোচন করেছে। সিএসও প্রতিনিধিরা সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরণ নিয়ে ম্যাপ এবং স্থানীয় সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জায়গা করে নিতে গেলে তারা কি ধরনের প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে পারেন সে’ কথাগুলোও তুলে ধরেন। বহুমুখী কর্ম সম্পাদনকারী পার্টনাররা তাদের দক্ষতা তৈরি করে দেয়ার জন্য পিফরডিকে প্রশংসা জানায় এবং পাশাপাশি সামাজিক জবাবদিহিতাকে ঘিরে তাদেরকে নতুন জ্ঞান দিয়ে ক্ষমতায়িত করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। অংশগ্রহণকারীরা অনুভব করেন যে, পিফরডি কর্মকা-ের প্রধান সুযোগ হলো বর্তমান সরকারের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার প্রতি গুরুত্ব প্রদানের সঙ্গে পিফরডি’র কর্মকা-ের প্রাসঙ্গিকতা। দু’টি কর্মশালা থেকে সাধারণ যে ভাবনাটি উঠে আসে তা হলো সামাজিক উদ্যোগ প্রকল্পের অংশ হিসেবে তারা কিভাবে সমাজের বিভিন্ন সংবেদনশীল বিষয়কে মোকাবেলা করবেন, যেমন: মাদক পাচার বা জে-ারভিত্তিক নির্যাতন।

22 views0 comments
bottom of page