top of page

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করছে ম্যাপ দলগুলো

Updated: Dec 14, 2022



জলবায়ু সংকটের আন্তর্জাতিক কর্মপরিকল্পনাকে সামনে রেখে, পিফরডি এর প্রকল্প জেলার কমিউনিটিগুলো নিজ নিজ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত হচ্ছে। মাল্টি-অ্যাক্টর পার্টনারশিপ (ম্যাপ) দলগুলো ২০১৮ সাল থেকে পিফরডি -এর সাথে ২১ টি প্রকল্প জেলায় সামাজিক অ্যাকশন প্রকল্প (এসএপি) বাস্তবায়ন করছে। এসএপি গুলোর বিষয় বস্তুতে বৈচিত্র্য রয়েছে, তবে এগুলো সাধারণত মানবাধিকার, ন্যায়বিচারে অভিগম্যতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সমস্যাগুলিকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হয়।


বাংলাদেশে বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং বন উজাড় একটি প্রধান উদ্বেগ যা ইতিমধ্যেই সারাদেশের মানুষকে

প্রভাবিত করছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঝড়ের তীব্রতা এবং পরিবেশগত সহনশীলতার মতো বিষয়গুলো সমস্যার বিচারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ যার সমাধান প্রয়োজন। বৃহত্তর জলবায়ু নীতি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত, আমাদের ম্যাপ দল সহ কমিউনিটিগুলো তাদের মতো করে প্রয়োজনীয় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ বর্তমানে, ১০ টি পিফরডি প্রকল্প জেলায় ম্যাপ দল বনভূমি উজাড় কমাতে এবং বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশের উন্নতির জন্য এসএপি বাস্তবায়ন করছে। এই ম্যাপগুলো কমিউনিটির সদস্যদের জন্য চারা বিতরণ করছে এবং তারা ইতিমধ্যে এই বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে ১০০০ টিরও বেশি গাছ রোপণ করেছে৷ তাদের কার্যক্রম শুধুমাত্র বন উজাড়ের মাত্রা কমাতেই ভুমিকা রাখছেনা, বরং এটি এই সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াচ্ছে এবং কমিউনিটির সদস্যদের জন্য গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।


পটুয়াখালী জেলার মারিচবুনিয়া ইউনিয়নের ম্যাপ সদস্য নান্নু সিকদার তার ম্যাপ দল থেকে একটি আমের চারা পেয়ে তার জমিতে রোপণ করেন। তিনি বলেন, "গাছগুলি পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ তারা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বায়ুর গুণমান বাড়ায়। আমরা জানি পরিবেশে অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য গাছ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, তাই আমি গাছটি রোপণ করেছি। আমি মনে করছি আমি পরিবেশের উন্নতির জন্য কিছু করছি।”


পলাশ ইউনিয়ন, বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জের এসএপি নেতা মোজাম্মেল হোসেন, বলেছেন যে, “সারা বাংলাদেশের মতো আমরা আমার নিজ জেলা সুনামগঞ্জেও দেখছি বনভূমি উজাড় হয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের লাভের জন্য গাছ কাটছি। এই ব্যাপক বন উজাড় আমাদের পরিবেশের জন্য এবং সেইসাথে ভবিষ্যতে আমাদের জীবনের জন্য ক্ষতির কারণ হবে এই ব্যাপারটা আমরা খুব কমই বিবেচনা করি। যে সেজন্য আমি এসএপি -এর সাথে যুক্ত হয়েছি এবং আমাদের কমিউনিটির মধ্যে চারা বিতরণ করেছি।” হোসেন এসএপি-এর প্রচারের জন্য একটি ফেসবুক প্রচারণাও শুরু করেছিলেন, যা তার ইউনিয়নের কমিউনিটি সদস্যদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে।


পলাশ ইউনিয়ন, বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জের আরেক এমএপি সদস্য মো. আমিনা খাতুন বলেন, “ছোটবেলা থেকেই আমাদের শেখানো হয়েছে গাছ আমাদের ফল, কাঠ ও অক্সিজেন দেয়। কিন্তু আজকাল, আমরা এই পাঠটি ভুলে যেতে শুরু করেছি যা শেষ পর্যন্ত আমাদের জীবনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই এসএপি এর জন্য ধন্যবাদ, আমরা কমিউনিটির মধ্যে ১০০ টিরও বেশি চারা বিতরণ করেছি। যদিও এটি পরিমাণে সামান্য, আমি আশা করি এটি পরিবেশের পাশাপাশি আমাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।"

এই প্রকাশনাটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় তৈরি। প্রকাশনার বিষয়বস্তুর দায়িত্ব প্ল্যাটফর্মস ফর ডায়ালগ প্রকল্পের। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতামতকে প্রতিফলিত নাও করতে পারে।

27 views0 comments
bottom of page