top of page

নিউজলেটার | ভলিউম ১২ | নভেম্বর ২০২১ - জানুয়ারি ২০২২

Updated: Dec 12, 2022


পরিবর্তনের জন্য সংলাপ

পিফরডি প্রকল্পের ত্রৈমাসিক নিউজলেটার



স্টিভি স্প্রিং-এর পিফরডি’র কার্যালয় পরিদর্শন

অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং জনগণের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে আসছে। বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ৭০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে, সদর দপ্তর ও ব্রিটিশ কাউন্সিল বাস্তবায়িত প্লাটফর্মস ফর ডায়ালগ (পিফরডি) -এর মতো প্রকল্পসমূহ পরিদর্শনে ব্রিটিশ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, স্টিভি স্প্রিং বাংলাদেশ সফর করেন। গত ২২শে নভেম্বর মিস স্প্রিং প্রকল্প অফিসে পিফরডি’র কর্মীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তাকে পিফরডি’র মিশন, ভিশন, কার্যক্রম এবং লক্ষ্য -এর উপর একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনার মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে।


টিম লিডার আর্সেন স্টেপানিয়ানের নেতৃত্বে উপস্থাপনা চলাকালীন সময়ে স্প্রিং প্রকল্পের অগ্রগতিতে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি পিফরডি’র প্রভাব এবং প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে চিন্তা-প্রসূত প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন । 'ব্রিটিশ কাউন্সিলের সামগ্রিক কৌশলে পিফরডি উপযুক্ততা?', ' পিফরডি এর মিশন এবং ভিশন কী?', 'পিফরডি কী কাজ করছে এবং কীভাবে করছে?', এবং 'কেন এই কার্যক্রম বাংলাদেশ এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?'-এ বিষয়গুলো আলোচনার সময় গুরুত্ব পায়।


স্প্রিং অত্যন্ত কৌতূহলী ছিলেন এবং পিফরডি-র মতো প্রকল্পগুলি কীভাবে অংশীদারিত্ব এবং উন্নয়নের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের সামগ্রিক বৈশ্বিক পদ্ধতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ তার অনেক আকর্ষণীয় দিক তুলে ধরেছেন। স্প্রিং প্রকল্পের কর্মকর্তা এবং মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্টাফদের সাথে পিফরডি-র প্রভাব সম্প্রর্কে তাদের মনোভাব ও বাংলাদেশে সামাজিক জবাবদিহি উপকরণসমূহের প্রচারে পিফরডি-র ভুমিকা সম্পর্কে কথা বলেছেন। একটি ফটোশুটের মাধ্যমে পিফরডি অফিসে তার সফর শেষ হয়।


জনাব মোখলেসুর রহমান ৭০তম বার্ষিকী উপযাপনে ব্রিটিশ কাউন্সিলের অনুষ্ঠানে যোগ দেন


বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ৭০তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল তাদের অংশীজনদের সাথে অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময়ের কার্যক্রম তুলে ধরতে ২১শে নভেম্বর ২০২১ তারিখে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ঢাকার ফুলার রোড কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে টিম লিড- আর্সেন স্টেপানিয়ান, ডেপুটি টিম লিড- নাজির আহমেদ খান এবং বিশেষ অতিথি পিফরডি’র ডিপিডি- জনাব মোখলেসুর রহমান, পিফরডি’র অংশীদারি সুশীল সমাজ সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিলের শিক্ষা, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা, শিল্পকলা, টিএমটিই, প্রকাশ,পরীক্ষা, শিক্ষাকেন্দ্র এবং পিফরডি বিষয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কার্যক্রম প্রদর্শন করা হয়।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ড. দীপু মনি, যুক্তরাজ্যের মাননীয় সংসদ সদস্য হার এক্সেলেন্সি হেলেন গ্রান্ট, বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, ব্রিটিশ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্টিভি স্প্রিং এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালক টম মিসিওশার বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি অলঙ্কৃত হয়। বক্ত‍ৃতার পর, অতিথিরা একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। পরে প্রকল্পের প্রদর্শনী হয়, যেখানে পিফরডি’র ব্যবস্থাপনা পরিষদসহ জনাব মোখলেসুর রহমান বিভিন্ন পরিদর্শনকারী অংশীজনদের কাছে প্রকল্পের মূল কার্যক্রম তুলে করেন।


ব্রিটিশ কাউন্সিল গ্লোবাল চেয়ারম্যানের সাথে ম্যাপ (এমএপি) সদস্যগণের জলবায়ু অনুষ্ঠানে যোগদান


জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করা ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। বিশ্বজুড়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগ এবং প্রকল্পগুলির মাধ্যমে জলবায়ু সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য সংলাপ তৈরি এবং পদক্ষেপ গ্রহণের একটি আহবান হল 'ক্লাইমেট কানেকশন' যা ২০২১ সালে শুরু হয়েছে।ক্লাইমেট কানেকশন ২১শে নভেম্বর ২০২১ তারিখেজলবায়ু পরিবর্তন এবং কোপ-২৬ এর উপর বাংলাদেশে একটি প্যানেল আলোচনার আয়োজন করেছে। প্যানেল আলোচনায়, পিফরডি’র যশোরস্থ সিএসও অংশীদার পল্লী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনেরএসএপি নেতাদের একজন, প্রকাশ চন্দ্র মহলদার পরিবেশ সংক্রান্ত কিছু কাজ উপস্থাপন করেছিলেন, যা আমাদের মাল্টি-অ্যাক্টর পার্টনার (এমএপি) গ্রুপের সদস্যদের নেতৃত্বে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রকাশ চন্দ্র তার কমিউনিটিতে বৃক্ষরোপণে এসএপি-এর নেতৃত্ব দিয়েছেন, কমিউনিটির সদস্যদের মধ্যে চারা বিতরণ করেছেন, গাছ লাগিয়েছেন, বন উজাড়ের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছেন এবং এসএপি-এর কার্যকরী বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা, স্থানীয় সুশীল সমাজ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। অনুষ্ঠানে স্টিভি স্প্রিং উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি এই কাজের প্রভাব সম্পর্কে খুব উৎসাহী ছিলেন এবং প্রকাশ চন্দ্র অনুষ্ঠানে এমএপি -এর সামাজিক অ্যাকশন প্রকল্প (এসএপি)-এর মাধ্যমে সম্পন্ন কাজটি উপস্থাপন করার সুযোগ পেয়ে কৃতার্থ ছিলেন।


‘আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী’ দিবস উদযাপন


২০২১ সালের আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস "আপনার অধিকার, আপনার আপনার দায়িত্ব: দুর্নীতিকে না বলুন" প্রতিপাদ্যে ব্যক্তি পর্যায়ে অধিকার এবং দায়িত্বকে গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদযাপন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে, কারণ সরকার সামাজিক জবাবদিহির উপকরণসমূহ প্রবর্তন ও কার্যকর করার মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমনে বদ্ধপরিকর। পিফরডি স্থানীয় এবং আঞ্চলিক সুশীল সমাজের সংগঠন, যুব গোষ্ঠী, মিডিয়া এবং সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে চারটি সামাজিক জবাবদিহি উপকরণ বাস্তবায়ন এবং এর ওপর সচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করার জন্য কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, তথ্য অধিকার আইন, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি এবং অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করছে।


ডিসেম্বরে, ১২ টি অংশীদার জেলা পলিসি ফোরাম (ডিপিএফ) আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস ২০২১ উদযাপনের জন্য আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, ডিপিএফ সদস্য, সুশীল সমাজ সংগঠনের প্রতিনিধি, কমিউনিটি প্রতিনিধিবর্গ, শিক্ষক, কলেজ ছাত্র, যুব সংগঠনের সদস্য, যুব উদ্যোক্তা, আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা এই আলোচনা সভাগুলোয় অংশগ্রহণ করেন। প্রায় ৮০০ জন অংশগ্রহণকারী সরাসরি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং অল্প সংখ্যক অংশগ্রহণকারী অনলাইনে যোগদান করেছেন। যথাযথ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা প্রোটোকল নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি ইভেন্টে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীরা উৎসাহের সাথে দুর্নীতি বিরোধী আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা কীভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় এবং আর্থ-সামাজিক ও সমাজ-সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সততার শক্তিশালী সংস্কৃতি উন্নত করা যায় সে সম্পর্কে তাদের মতামত প্রকাশ করেন।


কুষ্টিয়া জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মোঃ জাকারিয়া বলেন, “যখন সেবা প্রদানকারী এবং সেবা গ্রহীতারা পারস্পরিক দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত হন, তখন তাদের আইনের আওতায় আনা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। সুতরাং, আমাদের অবশ্যই ব্যক্তি পর্যায়ে দুর্নীতিকে না বলতে হবে। প্রত্যেক মানুষকে অবশ্যই আইন জানতে ও বুঝতে হবে এবং সঠিক তথ্য জানতে হবে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন প্রণয়নের পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। শিশুরাই আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ। তাই শিশুদের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী চেতনা জাগ্রত করতে স্কুল-কলেজে দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক, আলোচনা সভা, সমাবেশের আয়োজন করতে হবে। এভাবেই আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারব”।


ডিপিএফ আয়োজিত আলোচনা সভাগুলোতে সমাজের বিশিষ্ট সদস্যদের বক্তব্য, জেলার কমিউনিটিগুলোকে সামাজিক জবাবদিহি এবং শুদ্ধাচার প্রচারের জন্য তাদের কাজ চালিয়ে যেতে উৎসাহ দিয়েছে। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে যে কমিউনিটিগুলো দুর্নীতিবিরোধী নীতিগুলিকে পাথেয় করেছে, তারা সুশাসনের অনুশীলনে জোরের সাথে এগিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।


ডিপিএফ গুলো বৃহত্তর শ্রোতা সাধারণের কাছে পৌঁছাতে অনলাইন সামাজিক মাধ্যমেও দুর্নীতিবিরোধী দিবসের প্রচারণা চালিয়েছে। ডিপিএফ আয়োজিত উদযাপন কার্যক্রম স্থানীয় এবং জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের নজরে আসে এবং বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং নিউজ পোর্টালে সংবাদ হিসেবে প্রকাশিত হয়।


বাগেরহাট জেলার সুশীল সমাজের একজন ট্রান্সজেন্ডার সদস্য রানী হালদার বলেন, "আমাদের উচিত নারী ও তরুণদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে, কমিউনিটির ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যৌথ প্রচেষ্টা চালানো।"

ডিপিএফ কার্যক্রম: গণশুনানি ও পরামর্শ


আমাদের ৫ বছর মেয়াদী কার্যক্রমের একটি মূল উপাদান ছিল স্থানীয় পর্যায় থেকে জেলা পর্যায়ে কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা। ডিপিএফ সমূহের গঠন পিফরডি’র অনেক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে গেছে, যা বিগত কোয়ার্টারে সম্পন্ন হয়েছে। মূল থিমেটিক বিষয়সমূহের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, তথ্য অধিকার ও দুর্নীতি বিরোধী দিবস উদযাপনসহ বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন, গণ পরামর্শ সভা, এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সমস্যাগুলি সমাধানের পন্থা নির্ধারণের জন্য গণশুনানির প্রস্তুতি নিয়ে তারা ব্যস্ত ছিলেন।

তাদের কর্ম পরিকল্পনার অংশ হিসাবে, ১০টি ডিপিএফ এই কোয়ার্টারে এবং ২টি ডিপিএফ পূর্ববর্তী কোয়ার্টারে গণশুনানির আয়োজন করেছিল, যেখানে জনগণ স্থানীয় সমস্যা বা প্রস্তাবিত সরকারী পদক্ষেপগুলো যাচাই করতে পেরেছে । বেশিরভাগ ইভেন্টগুলি সরাসরি পরিচালিত হয়েছে এবং সীমিত সংখ্যক অংশগ্রহণকারী অনলাইনে যোগদান করেছিল। কোভিড-১৯’ বিস্তার প্রতিরোধে আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে শুধুমাত্র একটি গণশুনানি সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে পরিচালিত হয়েছিল। সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ছাত্র, রাজনৈতিক নেতা, কমিউনিটি নের্তৃবৃন্দ, এনজিও ও সুশীল সমাজ প্রতিনিধি, কমিউনিটি-ভিত্তিক সংগঠন, যুব গোষ্ঠী এবং নারী কর্মীসহ স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি, ডিপিএফ সদস্য, এবং পিফরডি প্রতিনিধি সহ মোট ৫৯১ জন অংশগ্রহণকারী গণশুনানিতে যোগ দেন।


এই গণশুনানিগুলোতে সরকারী পরিষেবাগুলির উন্নতি, বিশেষ করে জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইত্যাদি প্রদান, জমির মালিকানা সম্পর্কিত আইনি বিষয়াবলী, কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর অধীনে ভাতা সংক্রান্ত বিষয়, এবং কৃষি চর্চা সম্পর্কিত সমস্যাবলী উঠে আসে। অংশগ্রহণকারী সরকারি কর্মকর্তারা উত্থাপিত বিষয়গুলো শোনেন এবং দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।


বাগেরহাট গণশুনানির প্রধান অতিথি বাগেরহাট জেলার ডিসি জনাব মুহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, “জনগণকে যথাযথ সেবা প্রদানের দায়িত্ব আমাদের। জনগণেরও দায়িত্ব রয়েছে পরিষেবা সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অবগত হওয়া। প্রতিটি বিভাগের দায়িত্ব তাদের নিজস্ব সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা এবং তা সমাধানের ব্যবস্থা করা।”

পিফরডি’র সহকারী প্রকল্প পরিচালক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জনাব মোখলেসুর রহমানের সাথে

পিফরডি দলনেতা, আর্সেন স্টেপানিয়ান, বাগেরহাটে গণশুনানিতে অংশ নেন। সুশীল সংলাপেরপরিবেশ তৈরি করার জন্য পিফরডি তাদের অংশীদার এবং অংশীজনদের মাধ্যমে এ ধরণের অনুষ্ঠান সমূহ আয়োজন করে যেখানে সরকারী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সাথে কমিউনিটি সদস্য, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন স্বার্থ গোষ্ঠী তাদের মতামত শেয়ার করতে পারে। এই প্ল্যাটফর্মটি সকলের একত্রিত হতে, চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলি চিহ্নিত করতে এবং সবার জন্য উন্নয়নেকাজ করার ক্ষেত্রে ব্যবধান কমাতে সহায়তা করছে।


চতুর্থ সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি প্রচারণার সমাপ্তি


গত দুই কোয়ার্টারে, পিফরডি মূল সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরণের (এসএটিসমূহ) সমূহের প্রচারের জন্য পিফরডি চতুর্থ সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি প্রচারণা (এসএআরসি) বাস্তবায়ন করেছে। চতুর্থ প্রচারাভিযানটি, ২৮শে সেপ্টেম্বর সার্বজনীন তথ্য প্রাপ্তি দিবসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে শুরু হয়েছিল এবং জাতীয় শুদ্ধাচার নীতিমালার সাথে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের কার্যক্রমের সাথে সমন্বয় করে ২৩শে ডিসেম্বর ২০২১ -এ শেষ হয়। প্রচারাভিযানের সময়, আমরা সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি এবং অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাকেও অন্তর্ভূক্ত করেছি। সব মিলিয়ে, আমরা ৫.৯ মিলিয়ন স্বতন্ত্র্য অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছি, যা ২০২১ সালে পরিচালিত তৃতীয় প্রচারণার তুলনায় প্রায় ১.৩ গুণ বেশি।


পূর্ববর্তী প্রচারাভিযানে, আমাদের প্রাথমিক ফোকাস ছিল এসএটি সমূহের উপর সচেতনতা বৃদ্ধি করা। যেহেতু আমাদের বেশিরভাগ শ্রোতা ইতিমধ্যেই পূর্ববর্তী প্রচারাভিযানের মাধ্যমে আমাদের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জেনেছেন, তাই আমরা কৌশল পরিবর্তন করে 'কল টু অ্যাকশন'-এ রুপান্তরিত করেছি, আমাদের দর্শকদের জবাবদিহি উপকরণের সাথে যুক্ত হতে উৎসাহিত করেছি এবং তাদের কমিউনিটির মধ্যে শিখনসমূহ শেয়ার করার অনুরোধ করেছি। মূল কর্মক্ষমতা সূচক (কেপিআই) বৃদ্ধি থেকে সদস্যদের এই পরিবর্তনের প্রভাব সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায়। উপরন্তু, আমাদের পেইজ অনুসরণ করতে উৎসাহিত করার জন্য চলমান 'লাইক-বিজ্ঞাপন'-এর ফলে, ২০২১ সালের মধ্যে আমাদের ফেইসবুক অনুসরণকারী ৬০ হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুসরণের এই উচ্চাবস্থান আমাদের দর্শকের নিকট পৌঁছানো, সম্পৃক্ততা, রূপান্তর, এবং অ্যাডভোকেসি কেপিআই সমূহ বাড়াতে সাহায্য করেছে।


গুণগত শিক্ষা, বাল্য বিবাহ এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের উপর বিষয়ভিত্তিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত


পিফরডি ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ডিপিএফ -এর জন্য যথাক্রমে মানসম্মত শিক্ষা, বাল্যবিবাহ এবং কমিউনিটি ক্লিনিক পরিষেবার বিষয়ে সপ্তাহান্তে তিনটি বিষয়ভিত্তিক কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালাগুলি ঢাকায় সরাসরি এবং অনলাইন উভয় মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পিফরডি মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিতকরণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ এবং টিকা দেওয়ার প্রমাণপত্র যাচাই করার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার মান বজায় রাখতে সর্বাধিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে।


ডিপিএফ সদস্যরা যেন তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার এবং নীতি সংলাপ থেকে সুষ্পষ্ট শিখনসমূহ নথিভুক্ত করতে পারে সেজন্য পিফরডি এই বিষয়ভিত্তিক কর্মশালার আয়োজন করে। কার্যকর এবং যেখানে ভবিষ্যতে উন্নতির সুযোগ রয়েছে তা নির্ধারণের লক্ষ্যে বিষয়ভিত্তিক কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল (১) জেলা-স্তরের নীতি সংলাপ থেকে শেখা পাঠগুলি নথিভুক্ত করা, এবং (২) আলোচনা করা এবং (৩) নীতি সংলাপ আয়োজনের সর্বোত্তম অনুশীলন, চ্যালেঞ্জ এবং প্রশমনের ব্যবস্থাগুলি নির্ধারণ করা।


কর্মশালাটি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মিথষ্ক্রিয়াশীল আলোচনায় উৎসাহিত করতে সহায়ক ছিল। বেশিরভাগ আলোচনাই স্বতঃস্ফূর্ত ছিল এবং অংশগ্রহণকারীরা আলোচনা, দলগত কাজ এবং উপস্থাপনায় যোগদানের জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীদের তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য সেশন চলাকালীন বেশ কয়েকটি দলে বিভক্ত করা হয়েছিল, সেখানে তারা বিষয়ভিত্তিক সমস্যাগুলোর প্রতিফলন এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়নের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করেছে।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের দ্বারা চিহ্নিত উৎকৃষ্ট ও সেরা অনুশীলনগুলো ছিল (১) স্থানীয় প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে প্রমাণ তৈরি এবং অবস্থানপত্র প্রস্তুত করতে গবেষণা পরিচালনার গুরুত্ব, (২) সংলাপ আয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ এবং ফলোআপ, (৩) মিশ্র পদ্ধতি (অনলাইন এবং সরাসরি উভয় ক্ষেত্রে) আরও বেশি মানুষকে অংশগ্রহণ করতে সহায়তা করেছে, (4) সংলাপ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও আয়োজনে সহকর্মী ডিপিএফ সদস্যদের মতামত শোনা এবং মূল্যায়নের মতো গণতান্ত্রিক অনুশীলন -এর সাফল্য নিশ্চিত করেছে।


কর্মশালাগুলোতে, ডিপিএফ গুলো তাদের কার্যক্রমের স্থায়িত্ব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ভবিষ্যতে ডিপিএফগুলোর জন্য আরও সক্ষমতা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে। পিফরডি’র পরবর্তী পদক্ষেপ হল জাতীয় নীতি সংলাপ তৈরি করা, এবং ডিপিএফগুলো আশাবাদী যে তারা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি, বাল্যবিবাহ বন্ধ এবং বাংলাদেশে কমিউনিটি স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে কাজ করার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ের পদক্ষেপকে প্রভাবিত করার সুযোগ পাবে।


পিফরডি কর্তৃক নতুন ভার্চুয়াল সিআরসি চালু

কয়েক মাস গবেষণা ও উন্নয়নের পর, পিফরডি ৫ জানুয়ারী ২০২২-এ প্রথম ভার্চুয়াল কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টার (ভিসিআরসি) চালু করে। ভিসিআরসি হল একটি মিথষ্ক্রিয়াশীল পরিসর যেখানে দর্শকরা বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় একটি প্রাণবন্ত কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টার ঘুরে দেখতে পারবেন এবং চারটি মূল সামাজিক জবাবদিহিতার উপকরণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। প্রতিটি রুমে, দর্শকরা মূল নীতির উপকরণসমূহ, লিফলেট, ফটোগ্রাফ, ইনফোগ্রাফিক এবং আরও অনেক কিছুর ভিডিও দেখতে পাবেন। ভিসিআরসি-তে আমাদের অ্যানিমেটেড চরিত্রগুলো তুলে ধরা হয়েছে, এবং যখন কোনও দর্শক তাদের নীতি কক্ষে প্রবেশ করে তখন প্রত্যেকের একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য থাকে। ভিসিআরসি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, তবে, ইংরেজি অনুবাদের প্রয়োজন- এমন দর্শকদের জন্য সাবটাইটেল রয়েছে। এই অনলাইন টুলটি ভবিষ্যতে কীভাবে ব্যবহার এবং উন্নত করা যেতে পারে তা আরও ভালভাবে বোঝার জন্য দর্শকদের ব্যবহার এবং মিথস্ক্রিয়া পথগুলো মনিটর করবে পিফরডি। ভিসিআরসি দেখার জন্য, www.p4dvirtualcrc.info -এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

জেলা-পর্যায়ে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ অব্যাহত রেখেছে এনআইএমসি


এই কোয়ার্টারে, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি) বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, নেত্রকোনা, জামালপুর, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, কুষ্টিয়া এবং পাবনা সহ ৮টি জেলায় এসএটি’র উপর প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেছে। দুই দিনের অনলাইন প্রশিক্ষণে মোট ২৩৯ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। জেলা পর্যায়ে এসব প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নারী সাংবাদিকদের অংশগ্রহণ খুবই কম। কুষ্টিয়া প্রশিক্ষণে যোগদানকারী একজন নারী সাংবাদিক, মিসেস জান্নাতুল ফেরদৌস, নারী সাংবাদিকদের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ আয়োজন করার সুপারিশ করেন।


সমাপনী অধিবেশনের প্রধান অতিথি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, পিএএ জনাব মোঃ মকবুল হোসেন এই সুপারিশ সমর্থন করেন। পিফরডি এবং এনআইএমসি এই সুপারিশের প্রশংসা করেছে এবং ভবিষ্যতের কার্যক্রমে এই উপাদানটি অন্তর্ভুক্ত করার উপায় অন্বেষণ করছে ৷ আগামী মাসগুলোতে অবশিষ্ট প্রকল্প জেলাগুলোতে এনআইএমসি তার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে ৷




পরামর্শ, সঞ্চালন এবং ব্যবস্থাপনার উপর বিসিএসএএ প্রশিক্ষণ

বাংলাদেশ লোক প্রশাসন একাডেমি (বিসিএসএএ) ৬ থেকে ৭ নভেম্বর ২০২১ এ পরামর্শ, সঞ্চালন এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। প্রশিক্ষণে স্থানীয় সরকার বিভাগেরচল্লিশজন অংশগ্রহণকারী, বেশিরভাগই জেলা প্রশাসক, এবং তাদের সুশাসন ও স্বচ্ছতা উন্নত করার জন্য মূল প্রশাসনিক কৌশলের উপর প্রশিক্ষিত করা হয়। উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা দূর প্রশিক্ষণে যোগদান করেছিলেন এবং অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পিফরডি’র কর্মএলাকা ২১টি জেলার প্রতিনিধিত্ব ছিল। জেলা পর্যায়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি প্রক্রিয়া নিশ্চিতকরণে গনশুনানি ও পলিসি সংলাপ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন নেতৃত্বের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ সহায়তা করে।


এসএটি প্রশিক্ষণের উপর জোর দিচ্ছে বিপিএটিসি


নভেম্বর মাসে, নবনিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য সামাজিক জবাবদিহি উপকরণের (এসএটি) উপর দুটি প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি)। দুই সপ্তাহান্তে, ৭-৮ নভেম্বর এবং ১৪-১৫ নভেম্বর ২০২১ তারিখে, মোট ৩৭৩ জন তরুণ সরকারী কর্মচারীকে তাদের ফাউন্ডেশন কোর্সের অংশ হিসাবে এসএটি -এ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২৯৭ জন পুরুষ এবং ৭৬ জন মহিলা ছিলেন। তরুণ সরকারি কর্মচারীদের জন্য ফাউন্ডেশন কোর্সে পিফরডি'র সহায়তাপুষ্ট সামাজিক জবাবদিহি উপকরণ প্রশিক্ষণে একীভূতকরণ প্রকল্পের টেকসই ফলাফলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।


এছাড়াও, বিপিএটিসি ১৬ জানুয়ারী ২০২২-এ ২৪ জন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার সাথে জবাবদিহি উপকরণসমূহের উপর একটি পলিসি-কেন্দ্রিক কর্মশালার আয়োজন করে। আলোচনায় সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, তথ্য অধিকার আইন এবং অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার উপর জোর দেয়া হয়। কর্মশালাটি বিপিএটিসি প্রশিক্ষণ কক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১১ জন অতিরিক্ত সচিব এবং ১৩ জন সচিব (মোট ২৪ জন অংশগ্রহণকারী) নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।


জাতীয় জিআরএস-এ প্রকল্পের সহায়তা

গত কোয়ার্টারে, জাতীয় জিআরএস পদ্ধতিকে সহায়তা প্রদানে ও এর সহজ কার্যকারিতা নিশ্চিতকরণে এর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং সমস্যা সমাধানে পিফরডি তার সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে।সম্প্রতি, পিফরডি বর্তমান সরাসরি ক্লায়েন্ট-টু-ক্লায়েন্ট (ডিসিসি) সার্ভার থেকে আইসিটি বিভাগের অধীনে আরও সুরক্ষিত ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার (এনডিসি) সার্ভারে জিআরএস সিস্টেম স্থানান্তরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে সহায়তা করছে। এর মাধ্যমে, সিস্টেমটি জাতীয় আইসিটি পরিকল্পনার সাথে আরও একীভূত হবে এবং জিআরএস-এর মাধ্যমে সংগৃহীত এবং সংরক্ষিত তথ্য ও ডেটা সুরক্ষার জন্য আরও স্থান সংস্থান ও সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকবে।


এই প্রকাশনাটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় তৈরি। প্রকাশনার বিষয়বস্তুর দায়িত্ব প্ল্যাটফর্মস ফর ডায়ালগ প্রকল্পের। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতামতকে প্রতিফলিত নাও করতে পারে।




66 views0 comments
bottom of page