top of page

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য.

OUR WORK AREAS

লক্ষ্য

প্লাটফর্মস ফর ডায়ালগ (পিফরডি) প্রকল্পটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-এর অর্থায়নে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ–এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে।

প্রকল্পটি নাগরিকের অধিকার সচেতনতা, নীতিনির্ধারণ ও কার্যক্রমের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক স্বত্ব  গঠনের পাশাপাশি দায়বদ্ধতা ও সাড়া প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান করে থাকে। ১৩ মিলিয়ন ইউরো ব্যয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল-এর মাধ্যমে পরিচালিত এ তিন বছর মেয়াদী প্রকল্পটি ব্যতিক্রমধর্মী একটি পদক্ষেপ। প্রকল্পটি উদ্দ্বিষ্ট কর্মক্ষেত্র পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে চাহিদা ও সরবরাহ দুটি ক্ষেত্রেই কাজ করে থাকে।

উদ্দেশ্য

প্রকল্পের মূল চালিকাশক্তি তৃণমূল পর্যায়ে কর্মরত কিছু নাগরিক সমাজ সংস্থা। পিফোরডি প্রকল্পের মূল কার্যক্রম স্থানীয় নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলো এবং স্থানীয় সরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের ক্ষমতা ও দক্ষতার উন্নয়ন কেন্দ্রিক।

এ প্রকল্পটি ২১টি জেলায় স্থানীয় নীতিমালা সংক্রান্ত সংলাপে সহায়তা প্রদান করছে। জাতীয় পর্যায়ে পিফোরডি প্রকল্প সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিবৃত লক্ষ্য এবং জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, তথ্য অধিকার আইন ২০০৯, নাগরিক সনদ ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা কেন্দ্রিক ফলপ্রসূ আচরণে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা প্রদান করে থাকে।

ফলাফলের

ক্ষেত্রসমূহ.

কার্যকর সুশীল সমাজ. সরকারি নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণ, সরকারের জবাবদিহি বৃদ্ধি, এবং নাগরিকের অধিকার সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরতে সুশীল সমাজ সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি 

সুশাসন. সুশীল সমাজ সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণ বাড়িয়ে এবং সরকারি কর্মকর্তাগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে সরকারের জবাবদিহি ও সংবেদনশীলতা নিশ্চিত করা।   

সংলাপের জন্য মেলবন্ধন. নতুন নতুন নীতিমালা ও সংলাপের ক্ষেত্র তৈরি করার মাধ্যমে নাগরিক ও বাংলাদেশের সরকারের মধ্যে সংলাপ বিনিময়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা।   

প্রকল্পের 

কর্মক্ষেত্র.

কমিউনিটি পর্যায়. আমরা ২১ টি জেলায় উপজেলা পর্যায়ের তৃণমূল সুশীল সমাজ সংগঠনের সাথে কাজ করেছি।আমাদের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে মাল্টি-অ্যাক্টর পার্টনারশিপ (MAP), সামাজিক অ্যাকশন প্রকল্প (SAP), স্থানীয় সরকার প্রশিক্ষণ, সুশীল সমাজ সংগঠনের সক্ষমতা বৃদ্ধি, এবং সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, তথ্য অধিকার (RTI), অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (GRS) এবং জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (NIS) এর মতো সামাজিক জবাবদিহি উপকরণসমূহ সম্পর্কেনাগরিকদের সচেতন করা। 

আঞ্চলিক পর্যায়. প্রকল্পের কার্যক্রম স্থানীয় পর্যায় থেকে জেলা পর্যায়ে উন্নীত করে ১২ টি জেলার আঞ্চলিক সুশীল সমাজ সংস্থা এবং সরকারি দপ্তরগুলোর সাথে কাজ করে আমরা ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরাম (DPF) গঠন ও সহায়তা প্রদান, মাল্টি-অ্যাক্টর পার্টনারশিপ, সচেতনতামূলক প্রচারণা, যুগপৎ অনুষ্ঠান আয়োজন, সুশীল সমাজ সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সরকারী প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি।

জাতীয় পর্যায়. প্রকল্পের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে জাতীয় সংলাপ। মন্ত্রণালয়-স্তরের সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ের সুশীল সমাজ সংস্থার নেতৃবর্গকে একত্রিত করে গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত বিষয় নিয়ে সংলাপ আয়োজন এই কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য। ২০২২ সালের শেষ দিকে পিফরডি বাল্যবিবাহ, কমিউনিটি ক্লিনিক, এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা বিষয়ে তিনটি জাতীয় নীতি সংলাপ আয়োজন করেছে। এছাড়াও বৃহৎ আকারে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। গণতান্ত্রিক মালিকানা এবং সরকারি জবাবদিহিতা প্রচারে কাজ করে পিফরডি। আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন।      

লক্ষ্যভুক্ত নীতিমালা.

right-to-information-min.jpg

সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি

সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি হলো নাগরিকের প্রাপ্য বিভিন্ন সেবার মানদণ্ডসূচক একটি সরকারি নথি। এর মাধ্যমে সরকারি কার্যালয়গুলোর কর্মকাণ্ডে পরিমাপযোগ্য ও দায়বদ্ধ ফলাফল প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়।

grievance-redress-sysytem-min.jpg

জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল

জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস) হলো দুর্নীতি ঠেকানো এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জাতীয় শুদ্ধাচার রক্ষায় সরকার প্রণীত ব্যাপক পরিসরের একটি সুশাসন কৌশল।

তথ্য অধিকার আইন

তথ্য অধিকার (আরটিআই) আইন (২০০৯) নাগরিকের অধিকার ও প্রাপ্য সেবা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা নিশ্চিত করে।

Citizen Charter.jpg

অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা

অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (২০০৮) হলো সরকারি কার্যালয় সংক্রান্ত অভিযোগ, অনুযোগ, বিবাদ ও দ্বন্দ্ব নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সমাধানের লক্ষ্যে, বিশেষায়িত ভূমিকা, নিয়ম ও কার্যপ্রণালীর সমন্বয়ে সৃষ্ট একটি প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি।

NIS 2.JPG
bottom of page