top of page

প্রত্যাশা ছাড়ালো নারী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনলাইন ক্যাম্পেইনের ফলাফল

Updated: Aug 1, 2021



গত বছরের তুলনায় পিফরডি’র সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২০ সালে দুটি সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইনের সময় যখন আমাদের রিচ এবং এনগেজমেন্ট নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল, তখনও আমাদের অনুসরণকারীদের মধ্যে জেন্ডার প্রতিনিধিত্বে স্পষ্টতই পুরুষ প্রাধান্য দেখা গেছে।


এবছর, ২০২১ সালের ৮ ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই সপ্তাহের ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছি যেখানে নারীদের ওপর পিফরডি প্রকল্পের প্রভাব এবং সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালার ব্যবহার নারীর ক্ষমতায়নে কি ভুমিকা রাখছে তা তুলে ধরা হয়েছে।

আমাদের ক্যাম্পেইনে অন্তর্ভুক্ত ছিল #চুজটুচ্যালেঞ্জ প্রচারণায় যোগদানের জন্য একটি কল-টু-অ্যাকশন ভিডিও, সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালার ওপর ৪ টি ফটোগ্রাফিকস ও কীভাবে নীতিমালাগুলো নারীদের সাথে সংযুক্ত এবং পিফরডি'র সহায়তায় অংশীদারী প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে তাদের কমিউনিটিতে নারীর প্রগতিতে বাধা অপসারণ করে কাজ করছে তা নিয়ে একটি ব্লগ পোস্ট। এই ক্যাম্পেইনের সার্বিক লক্ষ্য ছিল নারী অধিকারের প্রচার এবং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে নারীদের উৎসাহ দেওয়া।


পাশাপাশি আমাদের অনুসারীদের মধ্যে সমান জেন্ডার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করাও ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য ছিল। পূর্ববর্তী প্রচারণার সাথে মিল রেখে আমরা যখন আমাদের মূল দলকে প্রচারনার অডিয়েন্স হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছি তখন আমাদের প্রকল্পের জেলাগুলো থেকে নির্দিষ্ট ভাবে নারীদের লক্ষ্য করে আরও একটি স্তর যুক্ত করা হয়েছে। যার ফলাফল ছিল লক্ষণীয়।


১৪ দিনব্যাপী প্রচারিত ক্যাম্পেইনে বুস্টেড পোস্টগুলি ১.৯৩ মিলিয়ন একক (ইউনিক) ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছেছে যা একটি বিস্ময়কর সংখ্যা। ২০২০ সালে পরিচালিত দীর্ঘ এবং আরও জটিল ক্যাম্পেইনের সঙ্গে তুলনা করলেও দেখা যায়, পিফরডি এখন পর্যন্ত মাত্র ১৪ দিনে এই পরিমাণ ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছাতে পারেনি। এছাড়াও ১৩৫,৭০৩ জন ব্যবহারকারী লাইক, কমেন্ট এবং ক্লিকের মাধ্যমে আমাদের প্রচারণায় সরাসরি সংযুক্ত হয়েছেন। এছাড়াও লক্ষণীয় যে এই প্রচারনার ফলস্বরূপ, পিফরডি’র ফেইসবুক পেইজে বর্তমানে প্রায় ২৪,০০০ এর মতো অনুসরণকারী রয়েছেন, যাদের প্রায় অর্ধেকই নারী। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী দিবস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে পেইজ অনুসরনে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। এটি একটি অনন্য অর্জন যা কেবলমাত্র ভবিষ্যৎ প্রচারণায় আরও বেশি নারীর কাছে পৌঁছানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে না বরং আমাদের প্রকল্পের কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করবে; সেটি অনলাইনে হলেও।

বাংলাদেশে সততা এবং জবাবদিহিতার বিস্তারে পলিসি সংলাপ এবং নাগরিক কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা সম্পর্কে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ এবং সকল নাগরিকের মধ্যে নীতিমালা ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে তা স্থানীয় সমস্যা আরও ভালভাবে সমাধান করতে কমিউনিটিদের সহায়তা করবে। এছাড়া সমদর্শিতামূলক বিকাশ এবং কমিউনিটির সকল সদস্যের সক্রিয় অংশগ্রহণকেও উৎসাহিত করবে।


29 views0 comments
bottom of page