top of page

আইভিডি বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক পুরস্কার পেলেন ফাহিম শেখ


প্রতি বছর স্থানীয় পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের স্বীকৃতি দিতে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উদযাপন করা হয়। এ বছর করোনা মহামারিতে অবদান রাখবার জন্য সারা দেশ থেকে চারশোরও অধিক স্বেচ্ছাসেবকের নাম মনোনীত হয়। পুরষ্কার বিজয়িদের মাঝে আমাদের ম্যাপ সদস্য ফাহিম শেখ ছিলেন অন্যতম।


ফাহিম শেখ মুন্সিগঞ্জের সুশীল সমাজ সংস্থা জাগরণী সংসদ কুসুমপুরের একজন স্বেচ্ছাসেবক। তিনি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইভিডি বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক পুরস্কার ২০২০ এ তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন। সারাদেশ থেকে নির্বাচিত ১৫ জনকে এই পুরষ্কার দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে আছেন আমাদের ফাহিম শেখ। এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ইউএনভি বাংলাদেশ ও ওয়াটার এইড । গত ৫ ডিসেম্বর ২০২০ এ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটির মূল প্রতিপাদ্য ছিলো ‘বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা’।


ফাহিম এই পুরষ্কার পেয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজ এলাকার উন্নয়নে নতুন উদ্যোমে কাজ করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। মূলত মুন্সিগঞ্জের তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের উদবুদ্ধ করার মাধ্যমে কোভিড ১৯ প্রতিরোধে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। কোভিড ১৯ মোকাবিলায় সরকারি কাজে সহায়তা করার পাশাপাশি তিনি তার এলাকার অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকগণকে সাথে নিয়ে একযোগে কাজ করেছেন নিজেরাও। কোভিড ১৯ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে ও এলাকায় পোস্টারিং করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। নিজ এলাকাকে নিরাপদ রাখতে তিনি কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জরুরি তথ্য এবং স্বাস্থ্যবিধির প্রচার প্রচারণায় ব্যাপকভাবে কাজ করেছেন।


ফাহিম বর্তমানে একটি স্থানীয় সরকারি কলেজে (হরগংগা কলেজে) পড়াশোনা করছেন। তিনি ২০১৮ সালে পিফরডি আয়োজিত ‘স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণ’ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার করেন এবং তখন থেকেই বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হতে থাকেন।


কোভিড ১৯ নিয়ে কাজ শুরু করার আগে থেকেই নিজ এলাকার উন্নয়নে সামাজিক জবাবদিহির বিভিন্ন নীতিমালা, যেমনঃ সিটিজেন’স চার্টার, তথ্য অধিকার, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা এবং জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন।



সুশীল সমাজ সংস্থা জাগরণী সংসদ কুসুমপুর’ এবং নিজ এলাকার ম্যাপ সদস্যদের সাথে তিনি তথ্য অধিকার সংক্রান্ত স্যাপ প্রকল্পে কাজ করেছেন। ফাহিম শেখ বলেন,


’আমি তথ্য অধিকার বিষয়ে নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থাতে জানতে পারি। এখন আমি এর ব্যবহার সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানতে পেরেছি এবং মানুষকে জানাতেও পারছি। এতে আমার এলাকার লোকজন উপকৃত হচ্ছেন। নীতিমালা কেবল কাগজে কলমে থাকার বিষয় না। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনেও এদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।‘

ভবিষ্যতে বিদেশে গিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে ফাহিমের। কিন্তু যেখানেই থাকুন না কেনো, নিজ এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে তিনি সদা তৎপর থাকবেন বলে ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।

11 views0 comments
bottom of page