top of page

আপনার অধিকার, আপনার দায়িত্ব: দুর্নীতিকে না বলুন

Updated: Dec 14, 2022


পিফরডি এবং এর অংশীদারী জেলা পলিসি ফোরামগুলোর আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০২১ উদযাপন


২০০৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলি আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালন করে আসছে। এই দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ ও এর বিরুদ্ধে লড়াই গতি পায় এবং সমাজের সকল স্তরে সহনশীলতা এবং শুদ্ধাচারের বিকাশ নিশ্চিত করে। ২০২১ সালের আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস "আপনার অধিকার, আপনার আপনার দায়িত্ব: দুর্নীতিকে না বলুন" প্রতিপাদ্যে ব্যক্তি পর্যায়ে অধিকার এবং দায়িত্বকে গুরুত্ব দিয়েছে। জাতিসংঘ ২০০৩ এর ডিসেম্বর মাসে দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশন (UNCAC) পাস করার মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তাদের প্রথম পদক্ষেপ নেয় । এটি পরবর্তীতে ১৪ ডিসেম্বর ২০০৫ তারিখে কার্যকর হয়। বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদযাপন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে, কারণ সরকার সামাজিক জবাবদিহির উপকরণসমূহ প্রবর্তন ও কার্যকর করার মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমনে বদ্ধপরিকর।

২০০৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলি আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালন করে আসছে। এই দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ ও এর বিরুদ্ধে লড়াই গতি পায় এবং সমাজের সকল স্তরে সহনশীলতা এবং শুদ্ধাচারের বিকাশ নিশ্চিত করে। ২০২১ সালের আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস "আপনার অধিকার, আপনার আপনার দায়িত্ব: দুর্নীতিকে না বলুন" প্রতিপাদ্যে ব্যক্তি পর্যায়ে অধিকার এবং দায়িত্বকে গুরুত্ব দিয়েছে। জাতিসংঘ ২০০৩ এর ডিসেম্বর মাসে দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশন (UNCAC) পাস করার মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তাদের প্রথম পদক্ষেপ নেয় । এটি পরবর্তীতে ১৪ ডিসেম্বর ২০০৫ তারিখে কার্যকর হয়। বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদযাপন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে, কারণ সরকার সামাজিক জবাবদিহির উপকরণসমূহ প্রবর্তন ও কার্যকর করার মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমনে বদ্ধপরিকর।


ডিসেম্বরে, ১২ টি অংশীদার জেলা পলিসি ফোরাম (ডিপিএফ) আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস ২০২১ উদযাপনের জন্য আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, ডিপিএফ সদস্য, সুশীল সমাজ সংগঠনের প্রতিনিধি, কমিউনিটি প্রতিনিধিবর্গ, শিক্ষক, কলেজ ছাত্র, যুব সংগঠনের সদস্য, যুব উদ্যোক্তা, আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা এই আলোচনা সভাগুলোয় অংশগ্রহণ করেন। প্রায় ৮০০ জন অংশগ্রহণকারী সরাসরি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং অল্প সংখ্যক অংশগ্রহণকারী অনলাইনে যোগদান করেছেন। যথাযথ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা প্রোটোকল নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি ইভেন্টে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীরা উৎসাহের সাথে দুর্নীতি বিরোধী আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং কীভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় এবং

আর্থ-সামাজিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সততার শক্তিশালী সংস্কৃতি উন্নত করা যায় সে সম্পর্কে তাদের মতামত প্রকাশ করেন।জামালপুর জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিস মোর্শেদা জামান বলেন, “আমাদের নিজেদের নৈতিক চরিত্র পরিবর্তনের মাধ্যমে আগে নিজেদের পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ বা পরিবেশ গড়ার কোনো বিকল্প নেই”। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি জনাব হায়াত-উদ-দৌলা খান, সরকারের বিভিন্ন বিভাগের পরিষেবা গ্রহীতা, নাগরিক এবং পরিষেবা প্রদানকারীদের মধ্যে ব্যবধান কমানোর গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি বলেন, “দুর্নীতি প্রতিরোধে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে”।


কুষ্টিয়া জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মোঃ জাকারিয়া বলেন, “যখন সেবা প্রদানকারী এবং সেবা গ্রহীতারা পারস্পরিক দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত হন, তখন তাদের আইনের আওতায় আনা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। সুতরাং, আমাদের অবশ্যই ব্যক্তি পর্যায়ে দুর্নীতিকে না বলতে হবে। প্রত্যেক মানুষকে অবশ্যই আইন জানতে ও বুঝতে হবে এবং সঠিক তথ্য জানতে হবে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন প্রণয়নের পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। শিশুরাই আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ। তাই শিশুদের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী চেতনা জাগ্রত করতে স্কুল-কলেজে দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক, আলোচনা সভা, সমাবেশের আয়োজন করতে হবে। এভাবেই আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারব”।


১২ টি ডিপিএফ আয়োজিত আলোচনা সভাগুলোতে সমাজের বিশিষ্ট সদস্যদের বক্তব্য জেলার কমিউনিটিগুলোকে সামাজিক জবাবদিহি এবং শুদ্ধাচার প্রচারের জন্য তাদের কাজ চালিয়ে যেতে উৎসাহ দিয়েছে। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে যে কমিউনিতিগুলো দুর্নীতিবিরোধী নীতিগুলিকে পাথেয় করেছে তারা সুশাসনের অনুশীলনে জোরের সাথে এগিয়ে যাবে।


ডিপিএফ গুলো বৃহত্তর শ্রোতা সাধারণের কাছে পৌঁছাতে অনলাইন সামাজিক মাধ্যমেও দুর্নীতিবিরোধী দিবসের প্রচারণা চালিয়েছে। ডিপিএফ আয়োজিত উদযাপন কার্যক্রম স্থানীয় এবং জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের নজরে আসে এবং বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং নিউজ পোর্টালে সংবাদ হিসেবে প্রকাশিত হয়।



এই প্রকাশনাটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় তৈরি। প্রকাশনার বিষয়বস্তুর দায়িত্ব প্ল্যাটফর্মস ফর ডায়ালগ প্রকল্পের। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতামতকে প্রতিফলিত নাও করতে পারে।

bottom of page