top of page

নিউজলেটার | ভলিউম ১০ | মে-জুলাই ২০২১


ডিপিএফ ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন এবং কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত

পিফরডি প্রকল্পের একটি অন্যতম মাইলফলক হচ্ছে- প্রকল্প কার্যক্রমকে উপজেলা হতে জেলা

পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। এই পর্বে আমরা জেলা ভিত্তিক এনজিও, পিফরডি’র সিএসও পার্টনার, মাল্টি-এ্যক্টর অংশীদার গ্রুপের প্রতিনিধি, এবং বিশিষ্ট নাগরিক সমাজের সদস্যদের নিয়ে ১২টি জেলা্য় সফলতার সাথে জেলা পলিসি ফোরাম গঠন করেছি। ২০২১ সালের মে-জুন মাসের মধ্যে প্রতিটি ডিপিএফ সদস্যের জন্য পৃথকভাবে অনলাইনে ১৫ দিন ব্যাপী দক্ষতা তৈরী ও ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। মোট ২৪০জন ডিপিএফ সদস্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছিলেন, এর মধ্যে ১৬৩ জন পুরুষ, ৭৬ জন নারী এবং ১ জন তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য ছিলেন।


পিফরডি প্রকল্পের বিবরণ, জেলা পলিসি ফোরামের দায়িত্ব ও কর্তব্য, নেতৃত্ব ও দল উন্নয়ন, এ্যাডভোকেসী, সামাজিক বিষয়াবলী, এবং সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরণসহ বিস্ত‍ৃত বিষয় নিয়ে ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণটি আয়োজন করা হয়। সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা বিষয়ের প্রশিক্ষণ ব্যতিরেকে প্রতিটি সেশন পিফরডি’র প্রকল্প কর্মকর্তারা পরিচালনা করেন। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা বিষয়ক সেশনটি পরিচালনা করেন। উদ্বোধনী সেশনে চেয়ারপার্সন হিসেবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রধান অতিথি হিসেবে পিফরডি প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. মো: গোলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ শেষে, সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা সমূহের প্রচার এবং সরকারী সিদ্ধান্ত প্রণয়ণ প্রক্রিয়া ও নীতি সংলাপে নাগরিক সমাজকে সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে ১২টি জেলা পলিসি ফোরামের প্রত্যেকে ছয় মাস মেয়াদি নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।


৬২টি মাল্টি-এ্যকশন পার্টনারশীপ গ্রুপের সামাজিক কর্ম প্রকল্প বাস্তবায়ন

সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা প্রচার ও স্থানীয় সমস্যাবলী মোকাবেলায় ২০১৯ সালে স্থানীয় পর্যায়ে পিফরডি’র প্রাথমিক পদক্ষেপ ছিল সামাজিক কর্ম প্রকল্পসমূহ। এই সামাজিক কর্ম প্রকল্পসমূহ বিভিন্ন জেলায় ভিন্ন ভিন্ন ছিল, এবং মাল্টি-এ্যক্টর পার্টনারশীপ দলগুলো এই কার্যক্রম বাস্তবায়নের মূল চাবিকাঠি ছিল। এই প্রকল্প পর্বে, সামাজিক কর্ম প্রকল্পসমূহের আরেকটি পর্যায় বাস্তবায়নে আমরা আবারও এই মাল্টি-এ্যক্টর পার্টনারশীপ দলের সাথে কাজ করছি ।



মাল্টি-এ্যক্টর পার্টনারশীপ দলগুলো ইউনিয়ন ভিত্তিক, যুবকেন্দ্রিক কমিউনিটি দল, যেগুলো পিফরডি’র ২য় বছরে ২১টি জেলায় গঠিত হয়েছিল। স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করা ও সরকারি পক্ষকে যুক্ত করারমাধ্যমে সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা প্রচার এবং সামাজিক কর্ম প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে এই দলগুলোকে পিফরডি প্রকল্প ফাউন্ডেশন ও রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। সামাজিক কর্ম প্রকল্পসমূহের উদ্দেশ্য শুধু স্থানীয় সমস্যা সমাধান করা নয় বরং প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে তাদের অধিকার অর্জন, সরকারী সিদ্ধান্ত প্রণয়ণ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্তকরণ, উৎকৃষ্ট পরিষেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি পরিষেবা প্রদানকারীদের জবাবদিহিতা উন্নয়নে সহায়তা করা। প্রকল্প-সময়ে, বিশেষ করে কোভিড অতিমারির সময়ে, সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরণ প্রচারে ম্যাপ সদস্যগণ আমাদের সামাজিক প্রচারণার মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যমে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন।


সাম্প্রতিককালে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থানীয় সমস্যা চিহ্নিতকরণের জন্য প্রকল্প থেকে দলগুলোর সাথে বেশ কয়েকটি অনলাইন পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়েছে। অংশগ্রহণমূলক আলোচনার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি স্থানীয় সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামী মাসগুলোতে নতুন সামাজিক কর্ম প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এই দলগুলোকে প্রকল্প থেকে সহায়তা প্রদান করা হবে। পিফরডি মূল যে বিষয়ে সহায়তা প্রদান করবে সেগুলো হচ্ছে-


  • কমিউনিটি ক্লিনিক পরিষেবার মান উন্নয়ন এবং এক্ষেত্রে জনগণের

অভিগম্যতা বৃদ্ধি

  • ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েব সাইট নিয়মিত হালনাগাদকরণ

  • সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা সমূহের প্রসার ঘটানো

  • বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন

  • বৃক্ষ রোপন


সামাজিক কর্ম প্রকল্পগুলো আগস্ট থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন

করা হবে।

৩য় সামাজিক মাধ্যম প্রচারণা সমাপ্ত: চূড়ান্ত ফলাফল ও পরবর্তী পদক্ষেপ

৩য় সামাজিক মাধ্যম প্রচারণা (এসএমসি)-র মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পিফরডি’র প্রচেস্টা, বিশেষ করে কোভিড-১৯ অতিমারির সময়, বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানোর একটি কার্যকরী উপায় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। জুন মাসে সুস্পষ্ট ফলাফলসহ আমাদের ৩য় সামাজিক মাধ্যম প্রচারণা সমাপ্ত হয়েছে। পূর্ববর্তী অন্যান্য প্রচারণার মত আমাদের কার্যক্রমের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল- সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা সমূহের প্রচার ও প্রসার ঘটানোর জন্য যতটা সম্ভব- বিশেষ করে আমাদের ২১টি জেলায় ব্যাপক অডিয়েন্সের নিকট পৌঁছানো ও তাদের সম্পৃক্ত করা।


এছাড়াও নারীদের কম সম্পৃক্ততার কারণে এবং পূর্ববর্তী প্রচারণায় প্রকল্প জেলাসমূহে পৌঁছানো কিছুটা কঠিন হওয়ায় আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি ব্যাপকভাবে স্বতন্ত্র ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছাতে এবং আমাদের অনুসরণকারীদের মধ্যে জেন্ডার অনুপাত বজায় রাখার জন্য (জুন ২০২১ অনুযায়ী আমাদের ৩৫.২৮% অনুসারী হচ্ছেন নারী)। পূর্ববর্তী প্রচারণা ছাড়াও, আমাদের প্রকল্প জেলাগুলোরসকল সাব-টার্গেট অডিয়েন্স (নারী ও কম সাড়া প্রদানকারী জেলা)-র অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেমনোনিবেশ করেছি। আমরা মানুষের কাছে পৌঁছানো, সম্পৃক্তকরণ, রূপান্তর এবং এ্যাডভোকেসী (আর.ই.সি.এ.)-র একটি উল্লেখযোগ্য মাত্রা অর্জন করেছি, এবং আমরা প্রকল্প এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। অনলাইনে লক্ষ্যিত জনগোষ্ঠির কাছে পৌঁছানোর এই প্রবৃদ্ধি একটি ভালো নির্দেশক যে, সুশাসন সম্পর্কে মানুষের মধ্যে বিশেষ করে নেটিজেনদের মধ্যে কথোপকথনও বাড়ছে। সমষ্টিগতভাবে আমরা প্রায় ১১.২৭ মিলিয়ন একাউন্টে (ওভারল্যাপিং রিচ সহ, অর্থাৎ প্রচারচলাকালীন সময়ের মধ্যে একের অধিকবার একাউন্টে পৌঁছেছে) পৌঁছেছি। প্রচারাভিযান চলাকালীন সময়ে (মার্চ ও জুনের মধ্যে) পৌঁছানো স্বতন্ত্র্য একাউন্টের সংখ্যা মোট ৪.৬২ মিলিয়ন ।


একইসাথে, অনুসরণকারী বাড়াতে আমরা ফেসবুকে লাইক-অ্যাড এর মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েছি। জুলাই মাসের শেষে আমাদের ফেসবুক পেইজে ৪০ হাজারেরও বেশি অনুসরণকারী ছিল। এই ব্যাপক অনুসরণকারীদের সাথে নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রচারণা বৃহৎ জনগোষ্ঠির কাছেসরাসরি পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আরও কার্যকর হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রচারণাআরও শক্তিশালী করার জন্য আমরা নতুন গ্রাফিকস উপকরণ তৈরী করার পাশাপাশি আমাদের অনলাইন এসএমসি সমূহকে মূলধারার মিডিয়াতে সম্প্রসারিত করবো। সেপ্টেম্বরে তথ্য অধিকার দিবস এবং ডিসেম্বরে দূর্নীতি-দমন দিবসের মধ্যবর্তী সময়ে পরবর্তী ফোকাসড্ প্রচারণা চালানো হবে।






অনলাইন প্রশিক্ষণ: নাগরিক সনদ ও জিআরএস-এর উপর বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের সক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য আন্তর্জাতিকশিখণকার্যক্রম সমাপ্ত

জুন মাসে, পিফরডি ’নাগরিক সনদ ও জিআরএস-এর উপর বাংলাদেশের সরকারি

কর্মকর্তাদেরসক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য আন্তর্জাতিক শিখণ’ শীর্ষক নেদারল্যান্ডস্ ভিত্তিক একটি অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মসূচী সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করেছে। সাম্প্রতিক লকডাউন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে পিফরডি ও মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ নেদারল্যান্ডে আমাদের অংশীদারিদের সাথে শিক্ষা সফরের মূল পরিকল্পনা থেকে সরেভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ প্রদানে সম্মত হয়। পিফরডি, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ এবং পিফরডি’র প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারিদের মধ্যে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সংলাপের ফলশ্রুতিতে এটি সম্ভব হয়েছে।


প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যা নেদারল্যান্ডের হেগে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, তা ৩১শে মে থেকে ১৪ই জুনের মধ্যে ডিজিলারেন ও ইউট্রেক্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনলাইনে ৭টি সেশনে পরিচালিত হয়েছে। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, বিভাগীয় কমিশনার অফিস, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, ঢাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি লি: (ডেসকো), এবং প্রাণিসম্পদ সেবা বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারী সংস্থার ১২ জন অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণটি সম্পন্ন করেন। ভার্চুয়াল সেশনসমূহ ইউট্রেক্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবনী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম-বার্কো কর্তৃক আয়োজন করা হয়েছে এবং অভিগম্যতা, ডিজিটাল সরকার, মানসম্মত পরিষেবা প্রদান, এবং নাগরিকদের সাথে কার্যকরী যোগাযোগের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে (ডানে সম্পূর্ণ সূচীপত্র )।


অংশগ্রহণকারীদের অর্জিত নতুন দক্ষতা ও জ্ঞান ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের পরিচালন নির্দেশিকা ও দ্বিতীয় প্রজন্মের নাগরিক সনদ উন্নয়নের লক্ষ্যে পিফরডি এবং মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ অংশগ্রহণকারীদের সাথে ফলোআপ কার্যক্রম আয়োজনের পরিকল্পনা করে।


বিপিএটিসি নতুন সরকারি কর্মকর্তা প্রশিক্ষণের অবহিতকরণ মডিউলে নীতি উপকরণসমূহ আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করেছে


বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নতুন সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য তাদের বুনিয়াদী কোর্সে

সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা প্রশিক্ষণ আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। জনপ্রশাসনের বিষয়ভিত্তিক মডিউলটিতে এখন জনপ্রশাসন ও শাসন বিষয়ক একটি সুনির্দিষ্ট মডিউল অন্তর্ভুক্ত থাকবে যেখানে "সরকার উন্নয়ন এবং বিভিন্ন নীতিমালা ও কৌশল" বিষয়ে আলোচনা করা হবে। নাগরিক সনদ, তথ্য অধিকার আইন, অভিযোগ প্রতিকার প্রক্রিয়া, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি এবং জাতীয় শুদ্ধাচার নীতিমালা সবই অন্তর্ভুক্ত করা হবে।


সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য পরামর্শ, সঞ্চালন, এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তৃতীয় বিসিএসএএ প্রশিক্ষণ


গত ১৯ ও ২০শে জুন তারিখে বিসিএসএএ, সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য পরামর্শ, সঞ্চালন, এবং

ব্যবস্থাপনা শীর্ষক একটি অনলাইন প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। ৪০ জন সরকারি কর্মকর্তা (১১ জন মহিলা এবং ২ জন পুরুষ) অনলাইন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যা এই প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাদের তৃতীয় গ্রুপ। পূর্ববর্তী দুটি প্রশিক্ষণ দল অবশ্য সরাসরি প্রশিক্ষণের আওতায় ছিল। আমাদের সুপারিশ অনুযায়ী, বিসিএসএএ প্রথমবারের মতো এই অনলাইন প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে এবং ৩০শে এপ্রিল ২০২২ সালের মধ্যে অবশিষ্ট সব প্রশিক্ষণ অনলাইনে পরিচালিত করতে সম্মত হয়েছে।



এনআইএমসি এবং বিপিএটিসি-র জন্য হালনাগাদ কর্মপরিকল্পনা

জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট (এনআইএমসি) এবং বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি)-র জন্য অতিরিক্ত কার্যক্রম চূড়ান্ত করতে এবং এ বিষয়ে সম্মত হওয়ার জন্য গত জুলাই মাসে পিফরডি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাথে কাজ করে। নতুন চুক্তি অনুযায়ী, বিপিএটিসি এবং এনআইএমসি উভয়ই ২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে নতুন প্রদত্ত সূচকসমূহ বাস্তবায়ন করবে।


সকল স্তরে সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা সমূহ প্রচারের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের দ্বারা পরিষেবা প্রদানকে উৎসাহিত করার জন্য বিপিএটিসি তার ম্যান্ডেটকে আরও বিস্ত‍ৃত করবে। এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে:


  • পিফরডি’র ১২টি কর্ম জেলা থেকে ৬০০ জন জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাকে সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান (সময় সাপেক্ষে জেলার সংখ্যা বাড়তে পারে)

  • ৬০০ জন নতুন সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বিপিএটিসি‘র বুনিয়াদী কোর্সের অংশ হিসেবে সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান

  • শীর্ষ ও মধ্য-স্তরের ১০০ জন সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠান

  • সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা বাস্তবায়নের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করা। প্রাপ্ত ফলাফলসমূহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে নীতি আলোচনায় তুলে ধরা;


সুশাসন ত্বরান্বিতকরণে কৌশলগত যোগাযোগের গুরুত্ব বুঝতে জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের সাহায্য করার জন্য এনআইএমসি-তার কাজের পরিধি সম্প্রসারিত করবে। প্রদত্ত সুনির্দিষ্ট সূচকসমূহ হচ্ছে:


  • কৌশলগত যোগাযোগ এবং সুশাসন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানে দক্ষ ৩৫ জন রিসোর্স পার্সনের একটি পুল তৈরি করা। এতে তথ্য মন্ত্রণালয়, জেলা তথ্য অফিস এবং এনআইএমসির কর্মকর্তারা জড়িত থাকবেন

  • পিফরডি’র কর্ম জেলার ৩৬০ জন সাংবাদিককে কৌশলগত যোগাযোগ এবং সুশাসন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া

  • প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের মধ্যে প্রকাশনাবা সম্প্রচারের জন্য উপকরণ তৈরির প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। নিবন্ধগুলি সুশাসন সম্পর্কিত বিষয়সমূহের উপর আলোকপাত করবে এবং একটি পর্যালোচনা কমিটি মূল্যায়ন করবে এবং বিজয়িকে একটি ছোট পুরস্কার প্রদান করবে। এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হল সাংবাদিকদেরকে তাদের লেখার মানের প্রতি আরও বেশি মনোযোগী হতে উৎসাহিত করা।


পিফরডি’র ঘনিষ্ট সহযোগিতায় উভয় অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন কর্মপরিকল্পনা অবিলম্বে শুরু হবে।

44 views0 comments
bottom of page