top of page

নিউজলেটার | ভলিউম ১১ | আগস্ট-অক্টোবর ২০২১

Updated: Dec 14, 2022


আরটিআই দিবস উদযাপন: ১,০০০ টিরও বেশি অনলাইন ডিপিএফ আলোচনা

সংগঠন ও অবহিতকরণ প্রশিক্ষণের বেশ কয়েকমাস পর, পিফরডি‘র জেলা পলিসি ফোরাম (ডিপিএফ) সমূহ ১২টি প্রকল্প জেলায় কমিউনিটি আউটরিচ কর্মকাণ্ড শুরু করে। বাগেরহাট, বান্দরবান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, কুষ্টিয়া, মৌলভীবাজার, মুন্সীগঞ্জ, নাটোর, নীলফামারী, পঞ্চগড় এবং পটুয়াখালীতে অবস্থিত ডিপিএফগুলো চমৎকার গতিতে অগ্রসর হয়েছে, তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেইজ চালু করেছে এবং লাইভ-স্ট্রিম ইভেন্টগুলো হোস্ট করেছে। এই পেইজগুলো শুধুমাত্র নির্ধারিত সভাসমূহের বাইরে আলোচনাকে উৎসাহিতই করেনি, বরং জনসাধারণকে সংযুক্ত ও সম্পৃক্ত থাকতেও সহায়তা করেছে। ডিপিএফ-সমূহের একটি উদ্যোগ-তথ্য অধিকার দিবস ২০২১ এর উপর লাইভ-স্ট্রিম আলোচনা সম্প্রতি ১০০০-জনের বেশি দর্শকের নিকট পৌঁছেছে।


২৮শে সেপ্টেম্বর আরটিআই দিবস উপলক্ষ্যে, ১২টি ডিপিএফ-এর প্রত্যেকটি তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর উপর ভার্চুয়াল আলোচনা করেছিল। এই আলোচনা অনুষ্ঠানসমূহ ডিপিএফ সদস্যদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছিল যেগুলোতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলাসমূহের জেলা প্রশাসক (ডিসি), সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিশিষ্ট কমিউনিটি সদস্যবৃন্দ। বাংলাদেশে সামাজিক জবাবদিহিতা নীতিমালার বাস্তবায়ন ও প্রয়োজনীয়তার উপর আলোচনা অনুষ্ঠানসমূহে চিন্তা-প্রসূত তথ্যবহুল এবং অংশগ্রহণমূলক বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়।


এই উদ্যোগ-ডিপিএফ সদস্যদের ব্যাপক প্রতিশ্রুতি এবং স্পষ্ট মালিকানাকেই নির্দেশ করে। আলোচনার লাইভ-স্ট্রীমগুলো পিফরডি’র ফেসবুক পেইজেও পোস্ট করা হয়েছিল, যেগুলোর বর্তমানে ৫৬,000 জনেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে। আমরা আমাদের ডিপিএফ-দের ভাল কাজগুলো শেয়ার করতে থাকব এবং নিরাপদে ও কার্যকরীভাবে সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালাসমূকে আরও প্রচার করতে তাদের ধারণাগুলিকে উৎসাহিত করব।


সচেতনতা বৃদ্ধিতে ৪র্থ অনলাইন প্রচারনা শুরু


আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র এবং আন্তর্জাতিক সার্বজনীন তথ্য অভিগম্যতা -এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস পালনের মধ্য দিয়ে সেপ্টেম্বর মাসটি তাৎপর্যময় হয়ে উঠেছে। এই দুটি দিবস উদযাপন ছিল প্ল্যাটফর্মস ফর ডায়ালগের (পিফরডি) চতুর্থ সামাজিক মাধ্যম প্রচারণার একটি যথাযথ সূচনা; যা সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচী ১.১-এর আওতাভূক্ত। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের প্রচারণার প্রস্তুতির সময় পিফরডি সুশীল সমাজ অংশীদারিদের কাছে গণতন্ত্র কী অর্থ বহন করে সে বিষয়ে জানতে চেয়েছিল। আমরা তাদের উত্তরগুলির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি এবং মূল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলোকে হাইলাইট করে একটি ছোট ভিডিওতে সংকলন করেছি। এর মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, বাকস্বাধীনতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচারে অভিগম্যতা, ধর্মের স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার এবং তথ্যে অভিগম্যতার ক্ষেত্রে নাগরিকের সম্পৃক্ততা অন্তর্ভুক্ত ছিল। গণতন্ত্রের এসকল স্তম্ভগুলি সরাসরিভাবে চারটি মূল সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা (এসএটি)-র সাথে সম্পর্কিত যেগুলোর প্রচারণায় পিফরডি কাজ করছে: তথ্য অধিকার, নাগরিক সনদ, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা এবং জাতীয় শুদ্ধাচার নীতিমালা। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালনের পরপরই আন্তর্জাতিক সার্বজনীন তথ্য অভিগম্যতা দিবস উৎযাপন করা হয়; যা আমাদের সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সামাজিক মাধ্যম প্রচারণা শুরুর উপযুক্ত সময় ছিল।


প্রচারণাটি পূর্ববর্তী সময়ের মতোই চারটি মূল নীতিমালা এবং প্রতিটি নীতি কী, কীভাবে এবং কেন সে সম্পর্কে তথ্য প্রদান করবে। এই প্রচারনার গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হচ্ছে সামাজিক জবাবদিহি নিতিমালার সাথে জড়িত নাগরিকদের নাগরিক কর্তব্যের উপর জোরারোপ। প্রচারনার এই সংযোজনটির লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক সম্পৃক্ততা এবং জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সুশাসনকে শক্তিশালী করা এবং এই নীতিমালাগুলোর সাথে জনগণের জড়িত থাকার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করা। আমাদের কর্ম জেলাগুলিতে বাংলায় পোস্টগুলি চালানোর মাধ্যমে, আমরা প্রচারের সাথে জনসাধারণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির প্রত্যাশা করি এবং আমাদের নতুন বিষয়বস্তু থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়ার আশা করি। ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের পরপরই প্রচারটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।


ম্যাপ গ্রুপ সামাজিক অ্যাকশন প্রকল্প (এসএপি) বাস্তবায়ন শুরু করেছে


আমাদের অংশীদারি সিএসও সমূহ এবং তাদের মাল্টি অ্যাক্টর পার্টনারশিপ (ম্যাপ) কর্তৃক ২০১৯ সালে সামাজিক অ্যাকশন প্রকল্প (এসএপি) সমূহের সফল বাস্তবায়নের পর, পিফরডি ২১টি প্রকল্প জেলার ৬২টি ইউনিয়নে নতুন এসএপি বাস্তবায়ন শুরু করেছে। পিফরডি’র কর্মীদের সাথে পরামর্শমূলক আলোচনা প্রক্রিয়ার পর, ম্যাপ সদস্যরা তাদের কমিউনিটিতে ফোকাস করার জন্য নিম্নলিখিত সমস্যাগুলি নির্বাচন করেছে:

  • কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে অভিগম্যতা উন্নত করা

  • বন উজাড় হ্রাস করা

  • বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করা

  • সামাজিক জবাবদিহিতা নীতিমালা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা

  • ইউপি ওয়েবসাইটসমূহের হালনাগাদ করা

অনলাইন এবং সরাসরি এই প্রকল্পসমূহের অধীনে বেশ কয়েকটি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে কমিউনিটির সদস্যদের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ সভা, ফেইসবুকের মাধ্যমে অনলাইন সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা, ইউপি ওয়েবসাইট হালনাগাদকরণে প্রযুক্তিগত সহায়তার ব্যবস্থা, জিআরএস ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে ইচ্ছুক কমিউনিটি সদস্যদের সহায়তা প্রদান এবং গাছের চারা বিতরণ। আমাদের ম্যাপ সদস্যরা নতুন বছরে এই স্বেচ্ছাসেবক-নেতৃত্বাধীন উদ্যোগগুলো চালিয়ে যাবে এবং এই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো মোকাবেলায় তাদের কমিউনিটিকে অন্তর্ভুক্ত করবে।


ডিপিএফ সমূহ এসএটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে


জেলা পলিসি ফোরামের (ডিপিএফ) প্রাথমিক ভূমিকাগুলোর মধ্যে একটি হল তাদের স্ব-স্ব জেলায় সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালার(এসএটি) প্রচার করা। এই নীতিমালার মধ্যে রয়েছে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস), তথ্য অধিকার (আরটিআই), নাগরিক সনদ (সিসি) এবং অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস)। সম্প্রতি, ডিপিএফ সমূহ স্থানীয় সুশীল সমাজের সদস্যদের জন্য এসএটি’র উপর একটি অনলাইন প্রশিক্ষণের আয়োজন করে । প্রতিটি জেলায়, জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপ-পরিচালক-স্থানীয় সরকার (ডিডিএলজি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেন। সব মিলিয়ে, প্রশিক্ষণে ১২টিডিপিএফ এলাকায় ৬১০ জন অংশগ্রহণ করেছে। অংশগ্রহণকারীরা এই ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে, যা তাদেরকে তাদের অধিকার বুঝতে এবং প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞান এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে।


বান্দরবন জেলায় প্রথম অনলাইন গণশুনানি অনুষ্ঠিত


জেলা পলিসি ফোরাম (ডিপিএফ) হল নাগরিক প্ল্যাটফর্ম যা সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালার প্রচার, সরকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সিএসও-সমূহের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং জেলা পর্যায়ে নীতি উন্নয়ন ও বাস্তবায়নকে প্রভাবিত করতে কাজ করছে। গণশুনানি হল সামাজিক জবাবদিহিতার একটি পদ্ধতি যা বাংলাদেশ সরকার কয়েক বছর আগে চালু করেছিল, কিন্তু সারা দেশে এর অনুশীলন সীমিত রয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে, কোভিড অতিমারীর কারণে, এই নীতিমালার ব্যবহার প্রায় ছিলই না।


সম্প্রতি পিফরডি ডিপিএফ-এর সহায়তায় বান্দরবনে একটি অনলাইন গণশুনানি শুরু করেছে। ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে , বান্দরবন জেলা প্রশাসন এই গণশুনানির আয়োজন করে যেখানে বান্দরবনের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন পারভিন তিবরিজি অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন। এছাড়াও জেলার সরকারি কার্যালয়সমূহ যেমন ভূমি, পুলিশ, সমাজকল্যাণ, মহিলা বিষয়ক, এলজিইডি-এর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।


মোট ৮৭ জন স্থানীয় অধিবাসী এই অধিবেশনে অংশ নিয়েছিলেন যেখানে তারা প্রশ্নের মাধ্যমে সরকারী কর্মকর্তাদের কাছে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। জমির নিবন্ধন এবং সম্পত্তি বিক্রয়, সরকারি রেকর্ড রুম থেকে নথি প্রাপ্তিতে নাগরিকদের হয়রানি, পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম এবং আরও অনেক বিষয়ে সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়েছিল। জেলা প্রশাসক ও অন্যান্য উপস্থিত সরকারী মুখপাত্রবৃন্দ প্রশ্নের উত্তর দেন এবং আশ্বাস দেন যে, শুনানির সময় উত্থাপিত সমস্যা এবং উদ্বেগসমূহের সমাধানে তারা কাজ করবেন ।


এই গণশুনানিটি ছিল প্রথম গণশুনানি এবং আশা করা যায় ভবিষ্যতে আরও অনেক গণশুনানির আয়োজন করা হবে। অদ্যাবধি, শুধুমাত্র বান্দরবনে ডিপিএফ এই ধরনের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে, তবে, পিফরডি’র সাথে কর্মরত অন্য ১১টি ডিপিএফ এ বছর শেষ হবার পূর্বে তাদের নিজ নিজ জেলায় অনুরূপ শুনানির আয়োজন করবে।


পঞ্চগড়ে ডিপিএফ এর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন পিফরডি দলনেতা


জেলা পলিসি ফোরাম (ডিপিএফ)- এর সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং সচিবের সাথে সাক্ষাৎ করতে গত ৯-১০ অক্টোবর, টিম লিডার আর্সেন স্টেপ্যানিয়ান পঞ্চগড় ভ্রমণ করেন। স্টেপ্যানিয়ান ১০ নভেম্বর ২০২১ তারিখে পিফরডি‘র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী এবং জেলা ফ্যাসিলিটেটরের সাথে ডিপিএফ মাসিক সভায় যোগদান করেন এবং জেলার স্টেকহোল্ডারদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি পঞ্চগড় কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টার (সিআরসি) পরিদর্শন করে দেখেন, কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে সরাসরি কার্যক্রম সম্ভব না হলেও প্রাঙ্গণটি এখনও ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে।

স্টেপ্যানিয়ান পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডিসি, এডিসি জেনারেল এবং সিভিল সার্জন সহ কর্মকর্তাদের সাথেও বৈঠক করেন। এর আগে তিনি পঞ্চগড়ের সাংবাদিকদের জন্য জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট এর প্রশিক্ষণসহ পিফরডি’র অনলাইন প্রশিক্ষণে জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করলেও সরাসরিভাবে দেখা করার এটাই ছিল প্রথম সুযোগ। তিনি মন্তব্য করেন, "আমার বিশ্বাস ছিল যে, দেশে সুশাসনের উন্নয়নে পিফরডি এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অন্যান্য কার্যক্রমের সাথে ডিপিএফ যে কাজ করছে তাকে তিনি সত্যিই মূল্যায়ন করেন।"


ঢাকায় ফেরার সময় তিনি নীলফামারীতে সংক্ষিপ্ত সফর করেন এবং সেখানে ডিপিএফ সদস্যদের সাথেও দেখা করেন। পরিদর্শন শেষে, স্টেপ্যানিয়ান মন্তব্য করেন, "সশরীরে পরিদর্শন আমাকে স্থানীয়-পর্যায়ের ডিপিএফগুলোর কার্যক্রমকে আরও ভালভাবে বুঝতে এবং জেলা প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে ৷ আমি মনে করি আমার পরিদর্শন ডিপিএফ-এর অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করেছে। সম্ভবত এই ধরনের পরিদর্শন আরও প্রয়োজন।" একটি গুরুত্বপূর্ণ শিখণ তিনি তাঁর সংক্ষিপ্ত বিবরণে যোগ করেছেন, তা হল পিফরডি ডিপিএফ সমূহ জেলা পর্যায়ে বেশ কয়েকটি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে কিছু কার্যক্রম বাস্তবে মানবিক প্রভাব বিবেচনায় বিশাল সাফল্য পেয়েছে। আমরা আমাদের স্টেকহোল্ডার এবং দর্শকদের সাথে ভাগ করার জন্য এই গল্পগুলি সংগ্রহ করব৷



বিসিএসএএ চারটি সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালার ওপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করেছে


বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমি (বিসিএসএএ) ১৮-১৯ সেপ্টেম্বর এবং ২৫-২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে চতুর্থ এবং পঞ্চম ব্যাচের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য পরামর্শ, সঞ্চালন ও ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। এই প্রশিক্ষণগুলো অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যদিও এই ধরনের প্রশিক্ষণগুলিকে আরও কার্যকর করার জন্য সরাসরি প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে চাহিদা আসছিলো। প্রশিক্ষণে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে ২৩ জন মধ্য ও সিনিয়র-পর্যায়ের মহিলা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৯ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।


অক্টোবর মাসে, বিসিএসএএ মোট ৮০ জন অংশগ্রহণকারীর (৬ষ্ঠ এবং ৭ম ব্যাচ) জন্য আরও দুটি প্রশিক্ষণ প্রদান করে। অংশগ্রহণকারীদের মতামত সংগ্রহ করতে এবং প্রতিটি গ্রুপের সাথে চলমান কথোপকথনে সংযুক্ত থাকতে হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপগুলির উপর ফলোআপ সহ প্রশিক্ষণগুলি অনলাইনে পরিচালিত হয়েছিল।


মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ শুধুমাত্র জাতীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্তকরণের পন্থা পরিবর্তন করেছে এবং বিসিএসএএ প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য জেলা পর্যায়ের সিনিয়র কর্মকর্তাদের (সহকারী জেলা প্রশাসক এবং অনুরূপ কর্মকর্তাদের) মনোনীত করা শুরু করেছে। এই পন্থাটি প্রকল্পের জন্য সুবিধাজনক হয়েছে এবং ১.৮ কার্যক্রমভূক্ত জেলা পলিসি ফোরামের (ডিপিএফ) সাথে কার্যকর সংযোগ তৈরি করেছে যেখানে এই কর্মকর্তাবৃন্দ আঞ্চলিক-স্তরের নীতি সংলাপ আয়োজনে ডিপিএফ সদস্যদের সাথে সম্পৃক্ত।


প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন বিসিএসএএ-এর নতুন রেক্টর মমিনুর রশিদ আমিন। প্রশিক্ষণের জন্য বিসিএসএএ প্রাসঙ্গিক উপকরণসমূহ প্রদান করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব জনাব আছিয়া খাতুন কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জসমূহের উপর একটি নির্দেশিকা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. দেওয়ান এম হুমায়ুন কবির কর্তৃক প্রস্তুতকৃত জনসাধারণের সাথে পরামর্শ এবং পরামর্শের মানদণ্ডের উপর একটি নির্দেশিকা, এবং অতিরিক্ত সচিব ও বিসিএসএএ-এর পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম কর্তৃক প্রস্তুতকৃত সংঘাত ব্যবস্থাপনা ও সঞ্চালনা সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা।


বিসিএসএএ এবং বিপিএটিসি- এর নতুন নেতৃবৃন্দের সাথে পিফরডি দলের সাক্ষাৎ


পিফরডি দল নেতা এবং প্রোগ্রাম ম্যানেজার গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিসিএসএএ’রনতুন রেক্টর জনাব মমিনুর রশিদ আমিন এবং ১৬ সেপ্টেম্বর বিপিএটিসি’র নতুন রেক্টর মোঃ মনজুর হোসেইনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ পরিদর্শনের চারটি উদ্দেশ্য হল: এক, নতুন রেক্টরদের কাছে প্রকল্পটি পরিচিত করা; দুই, তাদেরকে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাথে পূর্বের সম্পৃক্ততা এবং অর্জন সম্পর্কে অবহিত করা; তিন, টেকসই’র জন্য প্রতিটি অংশীদারিত্বের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা; এবং চার, সম্পর্ক আরও জোরদার করা এবং সহযোগিতামূলক সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখা। আলোচনা শেষে বিসিএসএএ-এর রেক্টর প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর বাস্তবায়ন এবং ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত চারটি প্রশিক্ষণ ব্যাচ সম্পর্কে খোঁজ নেন। একইভাবে, বিপিএটিসি অক্টোবরে ২৫২ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে ছয়টি প্রশিক্ষণ ব্যাচের জন্য একটি ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণের আয়োজন করে এবং ২০২১ সালের নভেম্বরে আরও প্রশিক্ষণ আয়োজনের একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে।


পৌর কর্মকর্তাদের সাথে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ২১টি জেলায় এনআইএলজি- এর সাথে কাজ

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব লোকাল গভর্নমেন্ট (এনআইএলজি) -এর সাথে সম্পৃক্ত হতে বর্তমান বর্ধিত সময়ে (জুন ২০২২ পর্যন্ত) পিফরডি কাজের একটি নতুন সুযোগ চূড়ান্ত করেছে।

প্রস্তাবিত কার্যক্রমের সাবির্ক লক্ষ্য হল পৌরসভা প্রতিনিধিদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, নাগরিক সনদের পাইলটিং এবং ইউপি-অনলাইন পরিষেবার একটি সম্ভাব্যতা স্টাডির মাধ্যমে বাংলাদেশে জবাবদিহিতা পদ্ধতি উন্নত করা। এই চুক্তির অংশ হিসাবে, এনআইএলজি ৩টি পাইলট জেলায় (বৃহৎ-স্কেল জেলা, মাঝারি-স্কেল জেলা এবং ছোট-স্কেল জেলা) সমস্ত সরকারি পরিদপ্তরের জন্য একটি মানসম্মত বিন্যাসে নাগরিক সনদ প্রস্তুত করবে এবং প্রায় ৩৯টি বিভাগ থেকে ১২০ জন ফোকাল কর্মকর্তাকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। তারা চাহিদা, শূন্যতা এবং সম্ভাব্য পরিষেবাগুলি সনাক্ত করার জন্য একটি মূল্যায়ন পরিচালনা করবে যা অনলাইনে বিতরণ করা যেতে পারে। এনআইএলজি স্টেকহোল্ডার আলোচনার জন্য একটি বিস্তারিত প্রতিবেদনও তৈরি করবে এবং পিফরডি’র ২১টি প্রকল্প জেলা জুড়ে ১১৫টি পৌরসভা থেকে ১৬৭৮ জন প্রতিনিধি এবং কর্মকর্তাদের সামাজিক জবাবদিহিতা প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।


জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু করেছে


গত ২৪শে সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় জেলার সাংবাদিকদের জন্য সুশাসন নিশ্চিত করণে কৌশলগত যোগাযোগ -এর উপর দুই দিনের কর্মশালার মধ্য দিয়ে জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট (এনআইএমসি) পিফরডি এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাথে অংশীদারী হয়ে, তাদের দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু করেছে। এনআইএমসি -এর সাথে এই অংশীদারিত্বের লক্ষ্য হল কৌশলগত যোগাযোগের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জেলা পর্যায়ে সরকারি কর্মচারী এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের কৌশলগত যোগাযোগকে সহায়তা প্রদান করা। এনআইএমসি‘র প্রথম পর্যায়ের কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য ছিল উপজেলা পর্যায়ের মাল্টি-অ্যাক্টর অংশীদারদের সাথে উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের সংযোগ নিশ্চিত করা।


দ্বিতীয় পর্যায়ে এনআইএমসি একটি বৈধকরণ কর্মশালার মাধ্যমে একটি প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি, একটি প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ পরিচালনা, সুশাসন নিশ্চিত করণে কৌশলগত যোগাযোগ -বিষয়ে জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের সাথে ২১টি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন এবং পাঁচটি সামাজিক জবাবদিহি নীতিমালার উপর মিডিয়া প্রকাশনা নিশ্চিত করতে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের জন্য একটি নিবন্ধন লেখা প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রত্যাশা রাখে। সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পাঁচটি প্রধান সামাজিক জবাবদিহিতা নীতিমালা - জাতীয় শুদ্ধাচার নীতিমালা (এনআইএস), তথ্য অধিকার (আরটিআই), নাগরিক সনদ (সিসি), অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস), এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ ) নিয়ে আলোচনার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে ।


পঞ্চগড়ের প্রথম প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এনডিসি ড. শাহনাজ আরেফিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জনাব জহুরুল আলম এবং পিফরডি’র টিম লিডার জনাব আর্সেন স্টেপ্যানিয়ান, এবং কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন এনআইএমসি-র ডিজি মিস শাহিন ইসলাম। গত ৯ই অক্টোবর ২০২১ তারিখে একটি বৈধকরণ কর্মশালার মাধ্যমে এনআইএমসি একটি প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করে,যার সভাপতিত্ব করেন এনআইএমসি-র ডিজি মিস শাহিন ইসলাম, এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মিজান উল আলম। এছাড়ুাও এনআইএমসি ১৪-১৬ অক্টোবর পর্যন্ত জেলা তথ্য কর্মকর্তাদের জন্য একটি অনলাইন প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণেরও আয়োজন করেছে। তিন দিনের অধিবেশনে মোট ৩৫ জন সরকারি কর্মকর্তা অংশ নেন।


এ পর্বে এনআইএমসি পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, মুন্সিগঞ্জ, রাজশাহী এবং নাটোর সহ পাঁচটি জেলায় ১২৫ জন জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন করেছে। স্থানীয় মিডিয়ার সাথে একটি ভাল নেটওয়ার্ক তৈরি করার জন্য পিফরডি’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী এবং জেলা ফ্যাসিলিটেটরগণও তাদের নিজ নিজ জেলার প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। বিপিএটিসি এবং বিসিএসএএ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকৃত সরকারি কর্মকর্তাদেরও উদ্বোধনী ও সমাপনী অধিবেশনে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।


আগামী মাসগুলোতে পিফরডি’র বিভিন্ন কর্ম জেলাসমূহে প্রশিক্ষণ কর্মশালাগুলো অনুষ্ঠিত হতে থাকবে এবং ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পিফরডি’র কৌশল হচ্ছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্বমূলক কার্যক্রমের ভিত্তিতে এনআইএমসি, বিপিএটিসি এবং বিসিএসএএ,এবং ডিপিএফ-এর মতো স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করে জেলা পর্যায়ে নীতি সংলাপ, গনশুনানি ও সামাজিক জবাবদিহিতা নীতিমালাসমূহের প্রয়োগে সম্পৃক্তকরণ। পরিশেষে, সরকারী পরিষেবাসমূহের উন্নতি, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং আচরণগত পরিবর্তনকে প্রভাবিত করতে এই প্রচেষ্টাগুলি জাতীয় নীতি সংলাপে ব্যবহার করা।


নতুন সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বিপিএটিসি ওরিয়েন্টেশন মডিউলের উপর প্রথম পলিসি টুল প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেছে


এই বছরের শুরুতে, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি), তাদের সিভিল সার্ভেন্ট ফাউন্ডেশন কোর্সে ‘সরকার উন্নয়ন এবং বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশল’ শিরোনাম মডিউলের অধীনে আনুষ্ঠানিকভাবে সামাজিক জবাবদিহিতা পদ্ধতি প্রশিক্ষণকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তারপর থেকে, ১৩-১৪ অক্টোবর২০২১ পর্যন্ত বিপিএটিসি ৬টি ব্যাচে ২৫২ জন নতুন সরকারি কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে, যার মধ্যে ২০০ জন পুরুষ এবং ৫২ জন নারী ছিলেন। বিপিএটিসি ৭-৮ এবং ১৪-১৫ নভেম্বর আরও দুটি অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ ব্যাচ নির্ধারণ করেছে। এই পদ্ধতিটি পিফরডি ‘র টেকসই কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই অন্তর্ভুক্তির ফলে যেসকল কর্মকর্তা ভবিষ্যতে বিপিএটিসি ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবেন তারাসিসি, জিআরএস এবং অন্যান্য জবাবদিহি পদ্ধতিগুলোর সাথে পরিচিত হতে পারবেন এবং পিফরডি প্রকল্প শেষ হবার পরেও তাদের জনগণকে আরও ভাল পরিষেবা প্রদান করতে পারবেন।


মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তাদের জন্য নাগরিক সনদের ওপর প্রশিক্ষণ


মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অংশীদারিত্বে (সুশাসন এবং অভিযোগ প্রতিকার শাখা) পিফরডি গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় শাখার ২৫ জন কর্মকর্তার জন্য সচেতনতামূলক একটি রিফ্রেশার কর্মশালার আয়োজন করে। এটি ছিল পিফরডি’র '৩.১: সরকারী এজেন্সীতে নাগরিক সনদ বাস্তবায়নে সহায়তা করা'- এ কার্যক্রমের অংশ । এই কার্যক্রমের অধীনে রয়েছে বিষয়ের আইনগত দিক, স্থানীয় এবং জাতীয় অনুশীলনের পাশাপাশি সাম্প্রতিকালের নীতিগত উন্নয়নসমূহ। অংশগ্রহনকারীদের সাথে পিফরডি সহায়তাপুষ্ট নেদারল্যান্ডস লার্নিং এক্সচেঞ্জসহ অন্যান্য দেশের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাসমূহ উপস্থাপন করা হয়েছিল। মূল প্রেজেন্টেশনের পর, অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্ন করার, উদ্বেগ প্রকাশ করার এবং নীতির কার্যকর বাস্তবায়নে সুপারিশ প্রদানের সুযোগ ছিল। প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগেরঅতিরিক্ত সচিব (সংস্কার), এনডিসি ড. শাহনাজ আরেফিন,প্রধান অতিথি ছিলেন সিএন্ডআর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব এন.ডি. কামাল হোসেন, মূল প্রেজেন্টেশনটি উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত সচিব ও পিফরডি প্রকল্পের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. গোলাম ফারুক, এবং মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অতিরিক্ত সচিব (সমন্বয়) মোঃ রাহাত আনোয়ার। বিশেষ অতিথি হিসেবে সেশনে উপস্থিত ছিলেন পিফরডি’র টিম লিডার আর্সেন স্টেপ্যানিয়ান।


অক্টোবর পিআইসি এবং আসন্ন পিএসসির প্রস্তুতি


গত ১২ অক্টোবর পিফরডি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং প্রধান প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারদের সাথে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআিইসি)-র ৫ম সভা করেছে। পিফরডি-র ফলাফলের তিনটি ক্ষেত্রের অগ্রগতি (আরএ), আসন্ন কার্যক্রম, এবং ২০২৩-এ বিনা ব্যয়ে প্রকল্পের মেয়াদবৃদ্ধির সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও পিফরডি প্রকল্প পরিচালক ড. গোলাম ফারুক, সম্পাদিত কার্যক্রম, উপ-কার্যক্রমের বিস্তারিত সভা সদস্যদের নিকট উপস্থাপন করেন। অতিমারী পরিস্থিতির কারণে মন্থরতা সত্ত্বেও, পিফরডি আরএ-১ কার্যক্রমের (সুশীল সমাজের সক্ষমতা তৈরী) ৯১.৪%, আরএ-২ কার্যক্রমের (সরকারের সক্ষমতা তৈরী) ৯১% এবং আরএ-৩ কার্যক্রমের (অংশীদারিত্ব এবং নীতি সংলাপ) ৩১.৪% অর্জন করেছে। সামগ্রিকভাবে, পুরো প্রকল্পটি সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ৭৫.৩% কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে বলে প্রকল্প পরিচালক উল্লেখ করেন ।


এছাড়াও, প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কিত পাঁচটি মূল সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন পিআইসি সদস্যবৃন্দ। এগুলো হচ্ছে:

  • যখন প্রকল্পের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হবে তখন একটি নিরপেক্ষ মূল্যায়ন সমীক্ষা করা হবে, অর্থাৎ, প্রকল্পের মেয়াদের শেষ সময়ে।

  • পিআইসি সদস্যবৃন্দ কোভিড-১৯ অতিমারী সত্ত্বেও গত এক বছরে প্রকল্পের সন্তোষজনক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন এবং প্রকল্পের বারো মাসের একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন অনুমোদন করেছেন।

  • পিআইসি পরবর্তী বছরে (২০২১-২০২২) অর্জনের জন্য একটি র্কমপরিকল্পনা এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুমোদন দিয়েছে। ২০২১-২০২২ এর জন্য নির্দিষ্ট কাজের পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে লক্ষ্য এবং কর্মকান্ডসমূহ সম্পন্ন করা হবে।

  • টিএপিপি নির্দেশনা অনুযায়ী পিআইসি মিটিং-এর আয়োজন করা হবে (অর্থাৎ, প্রতি তিন মাস পর)।

  • মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইইউ প্রতিনিধিদলের কাছে প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য একটি প্রস্তাব পাঠাবে। ইইউ প্রতিনিধিদলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং পর্যালোচনার অপেক্ষায় রয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ কামাল হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং সহ-সভাপতিত্ব করেন ইইউ প্রতিনিধিদলের ভারপ্রাপ্ত গভর্ন্যান্স টিম লিডার মিঃ হ্যান্স ল্যামব্রেখট ।


এই প্রকাশনাটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় তৈরি। প্রকাশনার বিষয়বস্তুর দায়িত্ব প্ল্যাটফর্মস ফর ডায়ালগ প্রকল্পের। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতামতকে প্রতিফলিত নাও করতে পারে।

79 views0 comments
bottom of page