top of page

নিউজলেটার সংস্করণ ৪, নভেম্বর ২০১৯- জানুয়ারি ২০২০


অভিজ্ঞতামূলক পাইলট প্রশিক্ষণ: সরকারী প্রশিক্ষণে আমাদের পদ্ধতি-পন্থার পরিবর্তন

বাংলাদেশের জনপ্রশাসন-পেশাজীবিদের জন্য সাধারণত: নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি, অনুভূতি ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়। এর কাঠামো নির্দিস্ট এবং প্রশিক্ষনার্থীগণ একটি বিধিবদ্ধ ও কাঠামোগত কারিকুলাম অনুসরণ করে থাকেন। যাহোক,ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে, সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য আরও অভিনব ও সম্পৃক্তকরণ উপায়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের পন্থা উদ্ভাবনের জন্য প্লাটফর্মস ফর ডায়ালগ প্রকল্প একটি অভিজ্ঞতামূলক পাইলট  প্রশিক্ষণ আয়োজন করে।

আগষ্ট থেকে নভেম্বর ২০১৯ সময়ে, সরকারী কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা ও সাড়া প্রদান উন্নয়নে সরকারী প্রচেষ্টাকে কিভাবে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ কার্যকরী সহায়তা প্রদান করতে পারে; তা বিশ্লেষণের জন্য সরকারী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ফ্যাকাল্টি সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করে। এই যৌথ উদ্যোগ হতে, বাংলাদেশের জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ফ্যাকাল্টি সদস্যদেরা জন্য একটি অভিজ্ঞতামূলক পাইলট  প্রশিক্ষণ প্রণয়ন করা হয়। যাহোক,একটি গতানুগতিক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ এর চেয়ে এই প্রশিক্ষণের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কাজের মাধ্যমে শিখণ এবং আচরণ পরিবর্তনের সূচনা করা।

প্রচলিত পন্থার বাইরে এসে  ‘আমায়া’ একজন আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ , দলগত উন্নয়ন হিসেবে প্রশিক্ষণকে গ্রহণের মাধ্যমে প্রশিক্ষনার্থীদেরকে সম্পৃক্ত করেন। পাইলট  প্রশিক্ষণটি যা করতে চেয়েছিল তার সাথে তাল মিলিয়ে, একটি কঠোর কাঠামো বা সূচী ব্যাতিরেকে, অংশগ্রহনকারীদের চাহিদার সাথে মানানসই প্রশিক্ষণের সহ-নকশা করতে দলটি সক্ষম হয়েছিল। অংশগ্রহনকারীরা তাদের পছন্দের বিষয়ে বলতে সক্ষম হয়েছিল, এবং কোনটি তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা বাছাইয়ের মাধ্যমে সবচেয়ে বাস্তবমূখী প্রশিক্ষণ পদ্ধতিটি বেছে নিয়েছিল,  যেটাকে তারা তাদের কাজের পন্থা উন্নয়নের ক্ষেত্র হিসেবে ভেবেছিল।

জনাব সাঈদ মিজানুর রহমান, মেম্বার ডাইরেক্টিং স্টাফ (প্রকল্প) (যুগ্ম সচিব) বলেন যে, যদিও প্রশিক্ষণের অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীদের ১০-১৫ বছর বা তারও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে, তবুও প্রশিক্ষণের এই ধরণের অংশগ্রহণমূলক পন্থা থেকে তারা উপকৃতহবেন, ”তাদের জন্য (অংশগ্রহণকারীগণ), প্রকৃতপক্ষে, তারা কিছু আচরণগত ও মনোভাবগত বিষয়ের উপর কিছু নিয়ম-কানুন ও নীতিমালা অনুসরণ করছেন। এই ধরণের প্রশিক্ষণ তাদের আচরণ ও সেবা প্রদানের ধরণে কিছু পরিবর্তন আনবে, আর এ কারণেই আমি বিশ্বাস করি এ ধরণের প্রশিক্ষণ প্রশিক্ষকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কিছু অংশগ্রহণকারীর সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে  জনাব সাঈদ মিজানুর রহমান অনুধাবন করেন যে তিনি সঠিক; প্রশিক্ষণ অংশগ্রহণকারীদের আচরণে পরিবর্তন আনছে। একজন অংশগ্রহণকারী, বিপিএটিসি-তে জনপ্রশাসন-পরিচালক রোকেয়া ফাহলে বলেন, ”এই কোর্সটি থেকে আমি কিছু ব্যবহারিক পদ্ধতি শিখেছি। কেস স্টাডি পদ্ধতির মত আমি এগুলো আমারকাজে ব্যবহার করবো। বিশেষ করে জেন্ডার ইস্যুতে আমি এগুলো ব্যবহার করতে পারবো।” 

আরেক অংশগ্রহণকারী, গবেষণা কর্মকর্তা (গবেষণা ও উন্নয়ন), আফিয়া রহমান নাগরিকদের দক্ষতা তৈরীতে সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। ”এই প্রশিক্ষণটি মান উন্নয়ন করবে,” তিনি বলেন। ”এটা নতুন নয়, কিন্তু এর প্রয়োগ ভিন্ন এবং এই পন্থাটি আমাদেরকে সাহায্য করবে।” বিপিএটিসি-প্রধান ও সরকারের সচিব মো: রাকিব হোসেন এনডিসি, প্রশিক্ষণের ফলাফল সম্পর্কে আশাবাদী কারণ এখানে দলসমূহকে প্রথাগত কাঠামোর বাইরে চিন্তা করার প্রয়োজন হয়।

“আমরা প্রথাগত কাঠামোর বাইরে চিন্তা করতে শিখিনি, কিন্তু আমরা কাঠামোটি সম্প্রসারন করতে পারি, এমনকি এটাকে বৃত্তে পরিবর্তনও করতে পারি, এবং বৃত্তকে সম্প্রসারন করতে পারি। আমার নিজের ক্ষেত্রে পরিবর্তনশীল মনোভাব আছে। আমি যদি সরকারি কর্মকর্তার মত কথা বলি, এটা সব সময় কাজ করবে না। অভিষ্ট গোষ্ঠি যাতে বুঝতে পারে সেজন্য আমার পন্থার পরিবর্তন করতে হবে।”

এ ধরণের কার্যক্রমের ক্ষেত্রে মনোভাবগত পরিবর্তন একটি বড় লক্ষ্য। শুরুতে অনেক অংশগ্রহনকারী এপ্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অষ্পষ্ট ছিল, কিন্তু শেষে, তারা কাজের মধ্য দিয়ে শেখার মূল্য সম্পর্কে এবং প্রশিক্ষণে শেখা পদ্ধতিসমূহ তাদের কর্মক্ষেত্রে কিভাবে  প্রয়োগ করবে সে বিষয়ে বুঝতে পেরেছে।

মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো: মোখলেছুর রহমান বলেন, এই প্রশিক্ষণ অন্যদের  দৃষ্টিভঙ্গিসহ তাকে সমৃদ্ধ করেছে।   ”এখানে, আপনি সকলের কাছ থেকেই শিখবেন। শুধুমাত্র একজনের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ নয়। এটা প্রশিক্ষণের কোন বিধিবদ্ধ নিয়ম নয়-কোনও না কোন ভাবে সকলেই অংশগ্রহণ করছেন।”সমন্বিত শিখনের এই পদ্ধতি নতুন কোন ধারণা নয়, কিন্তু এখনও পর্যন্ত এটা বাংলাদেশে সরকারী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহে ব্যবহার করা হয়নি।

পাইলট প্রশিক্ষণের মাধ্যমে, আয়োজনকারীদের কেন্দ্রীয় দল ”কার্যকরী প্রশিক্ষণের জন্য অভিজ্ঞতামূলক গাইড ” শীর্ষক একটি সমন্বিত ম্যানুয়াল চূড়ান্ত করেছেন; যা অংশগ্রহণকারীগণ তাদের নিজেদের ভবিষ্যত প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। কিছু নির্দিষ্ট ধাপ তৈরীর চেয়ে, কোর্সের মত মডেল প্রদানের দিকে ম্যানুয়ালটি নজর দিয়েছে এবং ব্যবহারিক অনুশীলনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন ইনপুটসমূহকে বিবেচনা করেছে। এখানে প্রয়োজনীয় উপকরণাদির একটি সংযুক্তি দেয়া হয়েছে, যা প্রশিক্ষণার্থীগণ তাদের নিজের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে পারবেন।

কার্যকরী ও অর্থপূর্ণ ফলাফল প্রদানে কিভাবে সরকারকে সর্বোৎকৃষ্ট সহযোগিতা প্রদান করা যায় সে বিষয়ে প্রশিক্ষকদের উৎসাহিত করার জন্য ”কার্যকরী প্রশিক্ষণের জন্য অভিজ্ঞতামূলক গাইড ” টি প্রণয়ন করা হয়েছে।

খুলনায় অন্তভর্ক্তিমূলক শাসনব্যবস্থা ও সামাজিক জবাবদিহিতা বিষয়ক কর্মশালা

পিফরডি প্রকল্প গত ডিসেম্বর মাসে খুলনায় সরকারী কর্মকর্তা, সিএসও পার্টনার, এবং ম্যাপ সদস্যদের জন্য অন্তর্ভূক্তিমূলক শাসনব্যবস্থা ও সামাজিক জবাবদিহিতা বিষয়ক একটি কর্মশালার আয়োজন করে। উত্তম শাসন ব্যবস্থার জন্য সামাজিক জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে অন্য এক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে পিফরডি সরকারী পরিষেবায় জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের প্রয়াসে মন্ত্রী পরিষদ সদস্য ও অন্যান্য অংশীদারদেরকে আমন্ত্রণ জানায়।

সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরণ, সরকারী সেবা  প্রদানে দায়িত্বশীলকরণে কর্মকর্তাদেরকে শিক্ষিতকরণ, এবং সুশাসন চর্চা অনুশীলনের উপর আলোচনার বিষয়বস্তু কেদ্রীভূত ছিল। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও পিফরডি’র  প্রকল্প পরিচালক সুলতান আহমেদ সূচনা বক্তব্যে বলেন,”বাংলাদেশের মত একটি দেশেরজন্য শাসনব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। আমাদের সংবিধানের মূলনীতি হচ্ছে: মানবাধিকার, শাসনব্যবস্থা, আইনের চোখে সকল মানুষ সমান…জাতীয় জীবনে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণে সংবিধান আমাদেরকে বাধ্য করে। সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরণের ফলাফল উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং সফলতার সাথে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে অংশগ্রহণকারীদেরকে অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে তিনি যৌথভাবে কাজ করার প্রতি উৎসাহ প্রদান অব্যাহত রাখেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব শেখ মুজিবুর রহমান, এনডিসি, সচিব, সমন্বয় ও পুণর্গঠন, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ এবং বিশেষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড: এম, আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা। খুলনার জেলা প্রশাসক এবং জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট  জনাব মোহাম্মদ হেলাল হোসেইন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক সচিব জনাব এ,এল,এম, আব্দুর রহমান।

পিফরডি এর অংশীদারিত্ব ও সামাজিক জবাবদিহিতার জন্য কর্মশালা

জানুয়ারী মাসের শেষের দিকে প্লাটফরম ফর ডায়ালগর প্রকল্প ’সামাজিক জবাবদিহিতা বিষয়ক অংশিদারিত্ব শীর্ষক বেশ কিছু ধারাবাহিক কর্মশালার আয়োজন শুরু করে।  এই কর্মশালাসমূহ স্থানীয় বিষয়সমূহে পারষ্পারিক সমঝোতা তৈরীতে সহায়তা করে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যেমন; সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরণ, পার্টনারশীপ মডালিটিস, এবং মৌলিক থিমেটিক ইস্যু নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করে। প্রতিটি কর্মশালায়, সিএসও, ম্যাপ সদস্য, কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টারের প্রধান এবং স্থানীয় এনজিও সদস্যদের অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। পার্শ্ববর্তী অংশগ্রহণকারীগন সুশীল সমাজের সকল স্তরের বক্তব্য সংযুক্ত করে সারা দেশের কমিউনিটিকে প্রভাবিত করে এমন বিষয়সমূহের সাধারণ ক্ষেত্রটি বের করতে সমর্থ হন।

চারটি প্রধান অঞ্চলে কমিউনিটির উপর অধিকহারে প্রভাব বিস্তারকারি থিমেটিক ইস্যু হিসেবে যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- মাদকাসক্তি, বাল্য বিবাহ, গুণগত শিক্ষা, স্থানীয় সরকারে অংশগ্রহণ,  গ্রামীন স্বাস্থ্যসেবা/কমিউনিটি ক্লিনিক এবং সামাজিক জবাবদিহিউপকরণ । পিএএসএ কর্মশালা সমূহ খুলনা (জানুয়ারী ২২-২৩), রংপুরে (জানুয়ারী ২৯-৩০) অনুষ্ঠিত হয়েছে, এবং আরও কর্মশালাসমূহ ময়মনসিংহ ও সিলেটে ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিত হবে।

সামাজিক জবাবদিহিতায় নাগরিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধি: দূর্নীতি বিরোধী রচনা প্রতিযোগিতা

৯ই ডিসেম্বর, দূর্নীতি -বিরোধী দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে প্লাট্ফর্মস ফর ডায়ালগ আমাদের ফেসবুক অনুসারীদেরকে একটি রচনা প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে দূর্নীতি -বিরোধের গুরুত্ব বিষয়ে তাদের মতামত শেয়ার করার আহবান জানায়।

আমরা তাদেরকে একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলি, “আপনার কমিউনিটিতে দূর্নীতি দমনে আপনি কি করবেন?” আমাদের আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের সকল স্থান থেকে ভাবনাসমৃদ্ধ অসংখ্য রচনা জমা পড়ে। প্রকল্প কর্মীদের উপর বিচারের দায়িত্ব না ছেড়ে আমরা আরেকটিধাপ যুক্ত করি, যা সংক্ষিপ্ত তালিকাবদ্ধ প্রতিযোগীদেরকে তাদের রচনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে উৎসাহিত করে। যে রচনাটি সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ত হয়েছে,সেটি বিজয়ী হয়েছে।

প্রথম স্থান অধিকার করেন রংপুর থেকে মো: জুলফিকার রহমান তাঁর ”দূর্নীতি প্রতিরোধে ‘প্লাটফর্মস ফর ডায়ালগ প্রকল্প’-এর সামাজিক সেবা কার্যক্রম” শীর্ষক রচনার জন্য। নাটোর থেকে মো: ফারুক আহমেদ খান  ”বাংলাদেশেরপ্রেক্ষাপটে দূর্নীতি-বিরোধী পদক্ষেপের উপর প্রতিবেদন” শীর্ষক রচনার জন্য দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।  তৃতীয় হন মুন্সিগঞ্জ থেকে ফাহিম শেখ  এবং চতুর্থ স্থান অধিকার করেন  শ্রীমঙ্গল থেকে আগত নাহিদ সুলতান। সকল বিজয়ীর জন্য রইলো অভিনন্দন!

প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ: কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক কর্মশালা

বাংলাদেশের জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট এর অংশিদারিত্বে, ব্রিটিশ গভার্নমেন্ট কমিউনিকেশনস র্ভিস ইন্টারন্যাশনাল -এর সহায়তায়  গত ৯-১৩ জানুয়ারী, ২০২০ তারিখে, পিফরডি  একটি কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।

২০১৯-এর জুলাই মাসে গভার্নমেন্ট কমিউনিকেশনস সার্ভিস ইন্টারন্যাশনাল -এর প্রাথমিক পরিদর্শনের পর, সকল অংশিগণ একত্রিত হয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রণয়ণ করেন। ৩০ জন সরকারি কর্মকর্তা  যার  মধ্যে ২১ জন জেলা তথ্য কর্মকর্তা, প্রশিক্ষণ পদ্ধতি, যোগাযোগ কৌশল, এবং সাংবাদিকদের জন্য

সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরনের উপর বার্তা তৈরীর কৌশল শিখার লক্ষ্যে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণটি পিফরডি এর প্রাথমিক ৪টি ফোকাল পয়েন্ট: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, নাগরিক সনদ ,তথ্য অধিকার আইন, এবং অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা -এর উপর কেন্দ্রীভূত ছিল, যাতে করে প্রশিক্ষবৃন্দ তাদের জেলায় সাংবাদিকদের ভবিষ্যতে সামাজিক জবাবদিহিতা বিষয়ে প্রতিবেদন করার ক্ষেত্রে ধারণা ও উপকরণ দিয়ে সহায়তা করতে পারে।

প্রকল্পক্ত ২১ জেলার প্রতিটিতে ২৫জন সাংবাদিকের জন্য যোগাযোগ কৌশল ও বার্তা প্রণয়ন কৌশল -এর উপর অংশগ্রহণকারীবৃন্দ স্থানীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণ আয়োজন করবে। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহায়তায় জেলা তথ্য কর্মকর্তা কর্তৃক সংশ্লিষ্ট জেলার সাংবাদিকগণ নির্বাচিত হবেন। স্থানীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণসমূহ ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে শুরু হবে বলে আশা করা যায় এবং তা দুদিন ব্যাপী হবে।

6 views0 comments
bottom of page