top of page

পরিবর্তনের জন্য সংলাপ I নিউজলেটার I ভলিউম ৮ I নভেম্বর ২০২০-জানুয়ারি ২০২১

সামাজিক জবাবদিহি নীতির বিশেষজ্ঞ কার্টুনচরিত্রগুলো নিয়ে ২০২০ সালের দূর্নীতি বিরোধী ক্যাম্পেইনের শেষে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়।

২য় দফার সামাজিক গণমাধ্যম প্রচারণার সমাপ্তি


চারটি সামাজিক জবাবদিহি উপকরণ নিয়ে সেপ্টেম্বরের শেষে এবং ডিসেম্বরের শুরুর দিকে পিফরডি সমাজিক গণমাধ্যমে প্রচারণা শুরু করে। এই প্রচারণায় উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক জবাবদিহির প্রতিটি উপকরণ কী, কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে মানুষের জীবনে এগুলো ইতিবাচক প্রভাব ফেলে তা বিস্তারিতভাবে জানানো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে পিফরডি সামাজিক জবাবদিহি উপকরণ বিষয়ে সম্পৃক্ততা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করার কাজ চালিয়ে যায়।


নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সামাজিক প্রচারণাতে পিফরডি উল্লেখযোগ্যভাবে সফল; এর প্রমাণ ফেসবুক পেজটি সর্বমোট ৫.৭ মিলিয়ন একাউন্টধারীর কাছে পৌঁছেছে। গড়ে ৪,৪৩,০০০ জনের অধিক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন। যে বিষয়গুলো সাধারণ মানুষকে জানাতে চাওয়া হয়েছিল সেগুলো সহজভাবে সাজানো হয়। সামাজিক জবাবদিহি নীতিগুলো বিনোদনের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় এবং এই উপকরণের বিশেষভাবে চারটি কার্টুন চরিত্র

ও একটি কাল্পনিক (বোকা দৈত্য) চরিত্রের মাধ্যমে বার্তা প্রচারে করা হয়। প্রতিটি চরিত্র যেন বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে উপস্থাপন করে সেভাবে চরিত্রায়ণ করা হয় এবং জবাবদিহি নীতির উপকারিতাকে কেন্দ্র করে বহুমুখী আলোচনাকে প্রাণবন্ত করতে বোকা দৈত্য হিসেবে কাল্পনিক চরিত্র নির্মাণ করা হয়।

প্রচারণার সময় প্রতিটি পোস্টের R.E.C.A -এর ভিত্তিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় পোস্টগুলোর রেকর্ড রাখা হয়। সামগ্রিকভাবে,কার্টুন চরিত্রগুলো বিপণন পদ্ধতির সঙ্গে আলোকচিত্র, তথ্যচিত্র ও ভিডিও পোস্টসমূহ ছিল খুবই আকর্ষণীয়। এই কার্টু্ন চরিত্রগুলো দিয়ে আলাদা আলাদা ভিডিও ও তথ্যচিত্রও তৈরি করা হয় এবং প্রতিটি ভিডিও-র কার্টুন চরিত্রগুলো সাধারণ মানুষকে নীতিমালা ব্যবহার করার কৌশল বুঝতে ও শিখতে সহায়তা করে। যেহেতু প্রতিদিনের সরকারি সেবা নি্য়ে মানুষের নানা প্রশ্ন ও তার উত্তর দেয়ার মাধ্যমে গল্পগুলো বলা হয়েছে তাই সাধারণ মানুষের জন্য সেগুলো সহজ ও বোধগম্য ছিল। বোকা দৈত্য চরিত্রটি গল্পগুলোকে দর্শকদের কাছে মজাদার ও আকর্ষণীয় করে তুলেছে যার ফলে দর্শক বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরেছে। আমাদের প্রত্যাশা এই নীতিগুলো ব্যবহার অধিক প্রগতিশীল ও আলোকিত নাগরিক উপহার দেবে।

আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০২০ এর ভিডিও

আমাদের সব ভিডিও দেখুন এখানে ক্লিক করে

R.E.C.A-এর সার্বিক ফলাফল আমাদের প্রত্যাশা থেকে অনেক বেশি ছিল। জনগণ তাদের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টির পক্ষে কথা বলেছে ও তুলে ধরেছে, যা নভেম্বর মাসের আগের প্রচারণার চেয়ে ৪ গুণ বেশি মানুষের কাছে প্রচারিত হয়েছে। বাংলাদেশে আনুমানিক ৩৪ মিলিয়ন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সঙ্গে এই প্লাটফর্মে শিক্ষা ও বিনোদনমূলক পোস্টিংয়ের মাধ্যমে জাবাবদিহি উপকরণ কীভাবে ব্যবহার করা যাবে তা অধিক সংখ্যক নাগরিককে বোঝাতে সাহায্য করেছে। সামাজিক জবাবদিহি নীতি বিশেষ কার্টুন চরিত্রগুলো প্রচারের জন্য ফেসবুক ও অন্যান্য মিডিয়া প্লাটফর্মের ব্যবহার প্রকল্পের সামগ্রিক প্রভাবকে বাড়িয়ে তুলবে। ব্যক্তিগতভাবে ও স্থানীয়ভাবে অনুষ্ঠানগুলো আকারে সীমাবদ্ধ থাকায় বিশেষ করে শারীরিক দূরত্বের স্বাস্থ্যবিধি বিদ্যমান থাকার কারণে এই পদ্ধতিটি বিশেষভাবে কার্যকর হয়েছে।


সার্বিকভাবে প্রচারণার সাফল্যের জন্য অধিক সংখ্যক নাগরিক যারা সক্রিয়ভাবে এই উপকরণগুলো যারা ব্যবহার করবেন এবং নিজ নিজ কমিউনিটিতে এগুলোর ব্যবহারে সাড়া দেবেন তাঁদের কাছে পৌঁছানো খুব জরুরি। সামাজিক জবাবদিহি উপকরণ (SAT) অনলাইনে কার্যকরভাবে প্রচার করা যেতে পারে এবং প্রকল্পের সমাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে উপকরণগুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ এবং ব্যবহারের মাধ্যমে অধিকতর প্রগতিশীল ও আলোকিত নাগরিক পাওয়া যাবে।


জেলা পলিসি ফোরাম (DPFs) গঠনে মাঠ পর্যায়ে আলোচনা

পিফরডি প্রকল্পের পরবর্তী পর্যায়ের একটি প্রধান কাজ হচ্ছে ১২টি জেলায় পলিসি ফোরাম (DPFs) গঠন করা। এই পলিসি ফোরাম নীতি নির্ধারকদের সাথে সংলাপের জন্য প্লাটফর্ম হিসেবে স্বাধীনভাবে কাজ করবে।


এই লক্ষ্যে প্রকল্প এলাকায় ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরামের সদস্য শনাক্তকরণের কাজ শুরু করা হয়। এই শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পিফরডি-এর মাঠকর্মীরা ২০২০ সালের ডিসেম্বরের শেষ থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রকল্পের কর্মীরা স্থানীয় বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের সদস্য এবং স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পিফরডি সিএসও পার্টনারদের সঙ্গে পরামর্শ করে সম্ভাব্য ডিপিএফ সদস্যদের একটি দীর্ঘ তালিকা প্রস্তুত করা হয়। পিফরডি সিনিয়ার ম্যানেজমেন্ট এই দীর্ঘ তালিকা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত করবেন।


সিএসও গুণগত মানদন্ড নির্ধারণ বিষয়ক কর্মশালা


প্রকল্প বাস্তবায়নের তৃতীয় বছরে পিফরডি ২১টি জেলায় ৬৩টি সিএসও-এর গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাইলটিং করেছে। ২০২০ সালের নভেম্বরে গুণগত মানদণ্ডের পাইলটিংয়ের মূল্যায়ন করা হয়। ২০২০ সালের মার্চে মূল্যায়নের পরিকল্পনা করা হলেও কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে স্থগিত করা হয়েছিল। ২০২০ সালের নভেম্বরে মূল্যায়ন কাজটি শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।


মূল্যায়নের অংশ হিসেবে ডেস্কভিত্তিক নথিপত্র পর্যালোচনা, আঞ্চলিক সমন্বয়কারী (RC) ও জেলা ফ্যাসিলেটেটর (DF)-এর সাথে অনলাইনে ফোকাস গ্রুপের মাধ্যমে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও পিফরডি-এর সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের সঙ্গে পর্যায়ক্রমিক সাক্ষাৎকার ও সিএসও নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ১২জন সিএসও প্রতিনিধি এই ভার্চুয়াল কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে।


নতুন আঙ্গিকে পিফরডি'র ওয়েবসাইট চালু


ডিসেম্বর ২০২০ সালে পিফরডি নতুন আঙ্গিকে একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। ওয়েবপেইজে পিফরডি-র এখন পর্যন্ত সকল কার্যক্রমের বিশদ বিবরণ প্রদান করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে সামাজিক জবাবদিহি নীতির ওপর তৈরিকৃত ব্রোশিউর,স্টিকার, ভিডিও ও পোস্টারসমৃদ্ধ রিসোর্স হাবসহ অনেক উপাদান যুক্ত করা হয়েছে যেগুলো দেখা ও ডাউনলোড করা যাবে। এই সাইটে সম্প্রতি প্রণীত ম্যাপ সদস্যদের মানচিত্র (M4M) অন্তর্ভুক্ত আছে, এই ইন্টার‍্যাকটিভ গুগল মানচিত্রের মাধ্যমে দর্শকরা সিএসও পার্টনারদের অবস্থান ও তাদের সহযোগী ম্যাপসমূহের অবস্থান দেখতে পাবে। ম্যাপ সদস্যদের মানচিত্র (M4M) সোস্যাল অ্যাকশন প্রজেক্ট তুলে ধরেছে এবং ইতোমধ্যে সম্পাদিত কার্যক্রমের ছবিও সংযুক্ত করেছে। ওয়েবসাইটে একটি ফলাফল বিভাগ সংযুক্ত করা হয়েছে যেখানে সংবাদ এবং সাফল্যের গল্পগুলি নিয়মিত প্রকাশিত হবে। আরও বিস্তারিতভাবে জানতে ও ত্রৈমাসিক ই-নিউজলেটার সাইন-আপ করতে ভিজিট করুন: www.p4dbd.org


২০২১ পিফরডি ক্যালেন্ডার


২০২০ সালের শেষ দিকে ২০২১ সালের জন্য একটি নতুন ডেস্ক ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়। নতুন ক্যালেন্ডারে ৪টি সামাজিক জবাবদিহি উপকরণ এবং সামাজিক গণমাধ্যম প্রচারণার ৪টি কার্টুন চরিত্রকে তুলে ধরা হয়। ক্যালেন্ডারটি ছাপানো হয়েছে এবং আমাদের পার্টনার সিএসও, প্রকল্প এলাকার সরকারি কর্মকর্তা, প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদার এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সদস্য, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন প্রতিনিধি এবং ঢাকাস্থ ব্রিটিশ কাউন্সিল সদর দপ্তরে বিতরণ করা হয়েছে। সুশাসন চর্চা বৃদ্ধি এবং জনগণ ও সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সামাজিক জবাবদিহির উপকরণসমূহ প্রচারের মাধ্যমে সম্মিলিত কাজকে চলমান রাখতে এই ক্যালেন্ডারটি একটি অনুস্মারক হিসেবে কাজ করবে।


ম্যাপ সদস্যের আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস পুরস্কার লাভ


স্থানীয় পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রচেষ্টাকে সম্মান প্রদর্শনে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস (আইভিডি) উদযাপন করা হয়। এই বছর, কোভিড-১৯ এ সচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাময়কে কেন্দ্র করে ‘২০২০ আইভিডি বাংলাদেশ’ পুরস্কারের জন্য সারা দেশ থেকে ৪০০-এর বেশি মনোনয়ন আসে। শীর্ষ বিজয়ীদের মধ্যে পিফরডি মাল্টি অ্যাকশন পার্টনারশীপ (ম্যাপ) সদস্য,ফাহিম শেখ এই সম্মান লাভ করেন।


কোভিড-১৯-এর বিস্তার হ্রাসে কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকারকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে তার অসামান্য অর্জনের জন্য ‘আইভিডি বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার এওয়ার্ড ২০২০’ -এ ৬ষ্ঠ স্থান লাভ করেন মুন্সিগঞ্জের কুসুমপুরের সিএসও জাগরণী সংসদের সদস্য ফাহিম শেখ। তিনি ও তার অনুসারী স্বেচ্ছাসেবকগণ স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক সঠিক তথ্য ও চর্চা প্রচারের জন্য ডিজিটাল উপকরণ ও পোস্টার ব্যবহার করেন।


কোভিড-১৯ বিস্তার নিরসনে তাঁর এ প্রচেষ্টার আগে তিনি সামাজিক জবাবদিহিতা উপকরণ যেমন-তথ্য অধিকার, সিটিজেনস চার্টার, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা এবং জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ২০১৮ সাল থেকে তাঁর কমিউনিটিতে কাজ করছেন।



সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম

২০২১ এর ২২-২৩ জানুয়ারি, কিশোরগঞ্জে সাংবাদিকদের জন্য ‘সুশাসনের জন্য কৌশলগত যোগাযোগ’ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়


জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট এর অধীনে সাংবাদিকদের জন্য কৌশলগত যোগাযোগ প্রশিক্ষণ চলমান


৯-১৩ই জানুয়ারি জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি) ৩০ জন অংশগ্রহণকারীসহ (যাদের অধিকাংশই এনআইএমসি ফ্যাকাল্টি সদস্য) ‘সুশাসনের জন্য কৌশলগত যোগাযোগ’ বিষয়ক একটি প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করে। তারা স্থানীয় সাংবাদিকদের জন্যও একটি ম্যানুয়াল তৈরি করে এবং ২২৫জন অংশগ্রহণকারীর সাথে জেলায় ৯টি সরাসরি প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে। ভ্রমণ বিধি-নিষেধের কারণে তারা আরও ১০ জেলায় ২৫০জন অংশগ্রহণকারীর সাথে ১০টি অনলাইন প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে। এ যাবত তারা সর্বমোট ৪৭৫জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে ১৯টি সাংবাদিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়। ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত দুটি প্রশিক্ষণ ছাড়া এনআইএমসি তাদের প্রায় সকল সাংবাদিক প্রশিক্ষণ প্রদান শেষ করা হয়েছে।


বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) ৬০০ কর্মকর্তার জন্য প্রশিক্ষণ সমাপ্ত


সামাজিক জবাবদিহি উপকরণগুলোর ওপর সরকারি দক্ষতা ও সংবেদনশীলতা উন্নয়নে বিপিএটিসি তাদের কাজ চলমান রেখেছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে বিপিএটিসি ৩২ জন অংশগ্রহণকারী নিয়ে সামাজিক জবাবদিহি উপকরণের ওপর একটি প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করে যাদের অধিকাংশই ছিল বিপিএটিসি ফ্যাকাল্টি সদস্য। পরবর্তীতে, প্রশিক্ষকবৃন্দ ৪০১জন সরকারি কর্মকর্তা বিপিএটিসিতে ৮টি সরাসরি এবং ২০০জন সরকারি কর্মকর্তা নিয়ে খুলনা, রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রামে ৪টি আঞ্চলিক বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করেন।


বিপিএটিসি বাংলাদেশে জনপ্রশাসনে সুশাসন ও উন্নত সরকারি সেবাপ্রদান নিশ্চিতকরণে তথ্য অধিকার, সিটিজেনস চার্টার, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের জ্ঞান ও সক্ষমতা মূল্যায়ন’ শীর্ষক একটি গবেষণাও পরিচালনা করে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি প্রতিবেদনটি তৈরি হয় এবং দেখা যায় যে, সকল সামাজিক জবাবদিহি উপরকরণ অতিমাত্রায় আন্তঃসম্পর্কিত ও পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। গবেষণা ফলাফল এটা নিশ্চিত করেছে যে, মানসম্মত সরকারি সেবাপ্রদানে জবাবদিহি উপকরণসমূহের জ্ঞানের পরিমাপ একটি কার্যকরী মেট্রিক। একটি গভীর মূল্যায়নে এটাও দেখা যায় যে, সেবার গুণগত মান উন্নয়নে SAT-সমূহের ওপর সরকারি কর্মকর্তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি প্রয়োজন।



REVE সিস্টেম GRS প্রশিক্ষণ


পিফরডি-এর জিআরএস কার্যাবলিকে সহায়তা প্রদানে বিগত কোয়ার্টারে REVE সিস্টেম মোট ৬টি কোর্স পরিচালনা করে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১১জন প্রতিনিধিসহ ১টি প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ, ৬৩জন অংশগ্রহণকারী নিয়ে ২১টি জেলা পর্যায়ের জিআরএস কর্মকর্তাদের জন্য ৩টি প্রশিক্ষন,এবং ৬৩জন সরকারি কর্মকর্তা নিয়ে ২টি রিফ্রেসার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য তারা একটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালও করেছে। ফেব্রুয়ারিতে তারা একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রদান করবেন এবং এ সময়ের মধ্যে তারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে সহায়তা প্রদানে সফ্টওয়্যার আপডেট কার্যক্রম চলবে।


বিশেষ সংবাদ: মধ্যমেয়াদি প্রতিবেদনে ব্যাপক উন্নতির ইঙ্গিত


গত নভেম্বর মাসে পিফরডি মধ্যমেয়াদি গবেষণা প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করে যা পিফরডি-এর কর্মসূচির প্রভাব মূল্যায়ন ও ফলাফলকৃত পরিবর্তনকে পরিমাপ করে। প্রকল্পের লজিক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক সূচকগুলোর (লগফ্রেম) জন্য বেইজলাইন মান প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের শুরুতে প্রকল্পের জন্য একটি বেইজলাইন গবেষণা করে, যার ভিত্তিতে উন্নয়ন পরিমাপ করা হয়েছে। অতিমারির কারণে সরাসরি তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে নানা অসুবিধা থাকার কারণে জরিপে ৬০০ জন অংশগ্রহণকারীর টেলিফোন সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। পিফরডির সক্রিয় অংশীদার রয়েছে এমন উপজেলা থেকে ৪০০জন এবং আশপাশের উপজেলা থেকে ২০০জন এই জরিপে অংশগ্রহণ করেন। জরিপে সর্বমোট ৬০০ উত্তরদাতা (৮% প্রত্যাখ্যান হার), KIIs-এর জন্য ৪৮জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি (৫% প্রত্যাখ্যান হার) এবং ৬৩ জন সিএসও নেতা এই মধ্যমেয়াদি জরিপে অংশ নেন।


সামগ্রিক সূচকসমূহে বেইস লাইন গবেষণা থেকে একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি প্রতিফলিত হয়েছে। সামাজিক জবাবদিহি উপকরণ বিষয়ে জনগণের জ্ঞান ও বোঝার সাথে সম্পর্কিত অনেক সূচকেরই উন্নতি ঘটেছে যা প্রতীয়মান হয় যে, পিফরডি-এর কার্যক্রম স্থানীয় পর্যায়ে (ইউনিয়ন) কমিউনিটি ও অন্যান্য সুশীল সমাজের নের্তৃবৃন্দের মাঝে SAT(সামাজিক জবাবদিহি উপকরণ) বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সক্ষম। ম্যাপসমূহ গঠন ও পরিচালনা, সিএসও মানদণ্ড পাইলটিং ও সিআরসিগুলো ব্যবহারকারীর সংখ্যা নির্বাচনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা অর্জিত হয়েছে। প্রকল্পটি, জবাবদিহি ও সাড়া প্রদানে সরকারি কর্মকর্তাদের সক্ষমতা ও সংবেদনশীলতা তৈরিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে মধ্যমেয়াদি প্রতিবেদনটিতে, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে জবাবদিহি উপকরণ তথ্য অধিকার, সিটিজেনস চার্টার, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বিষয়ে কমিউনিটির সচেতনতার হার ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।


সামাজিক জবাবদিহি উপকরণ - তথ্য অধিকার, সিটিজেনস চার্টার, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বিষয়ে কমিউনিটির সচেতনতার হার

আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে পিফরডি ফোরাম গঠনের কাজ শুরু হয়নি-যা এখনও পরিমাপ করা বাকি রয়েছে। আগামী মাসগুলিতে নিম্নলিখিত প্রচেষ্টা সমূহে জোড় প্রদান করা হবে:

পিফরডি'র ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা:

  • আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে ফোরাম গঠন ও পরিচালনায় আরও মনোনিবেশ করা হবে;

  • লগ ফ্রেম পর্যালোচনা করা। আমাদের বেশ কিছু আউটপুট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাওয়ায় পরবর্তী পর্বে আমরা নতুন লক্ষ্যমাত্রা পূণ:নির্ধারণ করবে;

  • ইতোমধ্যে চিহ্নিত স্থানীয় বিষয়াবলি নিয়ে জেলা পর্যায়ে কাজ করা এবং অভিজ্ঞতাসমূহ বিনিময়ের মাধ্যমে পিফরডি-এর কর্ম এলাকায় গণতান্ত্রিক শাসনের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে;

  • যেসব বিষযের ওপর সার সংক্ষেপ প্রস্তুত করা হয়েছে সেগুলোর সমাধানে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে সংলাপের ওপর আরও মনোনিবেশ করবে;

  • স্থায়িত্ব সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিতকরণের প্রক্রিয়াসমূহ আরও জানতে কমিউনিটি ব্যবস্থাপনায় সিআরসিগুলো হস্তান্তরের পর সেগুলো কীভাবে কাজ করছে তার প্রতিবেদন তৈরি করবে;

  • যে সমস্ত জেলায় জবাবদিহি উপকরণ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেই, পিফরডি সেগুলোর প্রভাব মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সেগুলোকে বিবেচনায় রাখবে


লক্ষ্য:

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া জোরদারকরণ এবং জবাবদিহি প্রক্রিয়ার উন্নয়ন


44 views0 comments
bottom of page