top of page

নিউজলেটার | ভলিউম ১৩ | ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ২০২২


পরিবর্তনের জন্য সংলাপ

প্লাটফর্মস ফর ডায়লগ ত্রৈমাসিক হাইলাইটস


পিডিএফ ডাউনলোড করুন

Bangla Newsletter Vol 13 February - April 2022
.pdf
Download PDF • 2.93MB

জেলা পলিসি ফোরামের (ডিপিএফ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন

জেন্ডারভিত্তিক পক্ষপাতিত্ব ও বৈষম্য প্রতিরোধের লক্ষ্যে বৈষম্য মোকাবেলা করা এবং স্টেরিওটাইপগুলো সক্রিয়ভাবে ভাঙতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ডিপিএফগুলো বৈষম্য হ্রাস এবং জেন্ডার সমতা ত্বরাণ্বিতকরণের মতো বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে র‌্যালি এবং আলোচনা সভা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটিকে সন্মানিত করেছে।

বাগেরহাট, বান্দরবান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, কুষ্টিয়া, মৌলভীবাজার, মুন্সীগঞ্জ, নাটোর, পঞ্চগড় ও পটুয়াখালী জেলায় দিবসটি উদযাপন করা হয়। বেশিরভাগ ডিপিএফ দিবসটিতে শুধুমাত্র আলোচনা সভার আয়োজন করলেও, কেউ কেউ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা সমাবেশের মাধ্যমে বৃহত্তর জনগোষ্ঠিকে সম্পৃক্ত করেছে। আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসন কর্মকর্তাবৃন্দ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, ছাত্র, সাংবাদিক, শিক্ষক, নেতাকর্মী, সুশীল সমাজ সংগঠনের প্রতিনিধি, আইনজীবীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ৩৯৯ জন নারীসহ এই অনুষ্ঠানগুলোতে ৭২৬ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন।


সম্মিলিতভাবে, এই কমিউনিটিগুলো নারী ও মেয়েদের জন্য প্রযুক্তির অভিগম্যতা, অন্তর্ভুক্তি এবং নারীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ, বাল্যবিবাহ বন্ধ করা এবং জেন্ডার-ভিত্তিক স্টেরিওটাইপগুলো ভাঙ্গাসহ গুরুত্বপূর্ণ জেন্ডার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছে। ডিপিএফসমূহ একটি মূল প্রবন্ধও উপস্থাপন করে এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বাল্যবিবাহ বন্ধে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আইন বাস্তবায়ন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মতো সুপারিশমালাও পেশ করে।


বেশিরভাগ ডিপিএফ আলোচনাগুলো বিভিন্ন বিষয়ে কমিউনিটিকে সচেতন করে তোলে; যার মধ্যে রয়েছে বাড়িতে এবং কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রতি আরও মনোযোগী ও সচেতন হওয়া এবং সম্মান প্রদর্শন করা, বাল্যবিবাহ বন্ধ করা, মেয়েদের জন্য উন্নত শিক্ষা প্রদান, কর্মক্ষেত্রে সমান সুযোগ দেওয়া ইত্যাদি।


পরিবর্তন আনয়নকারীদের ধারনাগুলো একত্রিকরণ এবং তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা পদক্ষেপসমূহ মত বিনিময় করার ক্ষেত্রে ডিপিএফ এর আলোচনা প্লাটফর্মগুলো একটি মূল্যবান ক্ষেত্র এবং এটি স্পষ্ট যে, তারা জেন্ডার সমতাকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

“জেন্ডার সমতা যথেষ্টভাবে নিশ্চিত হচ্ছে না। আমাদের পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, সমাজ ইত্যাদি স্থান হতে এই উদ্যোগ শুরু করা উচিত।”-বাবুল সরদার, ডিপিএফ সভাপতি, বাগেরহাট
“বর্তমান সরকার নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, তাদের জন্য শিক্ষার প্রসার এবং জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠায় নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা রোধে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।” - কাজী কানিজ সুলতানা, মহিলা সংসদ সদস্য,পটুয়াখালী এবং ‍অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি

ডিপিএফ কার্যক্রম: নীতি সংলাপ এবং সামাজিক জবাবদিহি উপকরণ প্রশিক্ষণ


পিফরডি’র জেলা পলিসি ফোরাম (ডিপিএফ) আগামী ৬ মাসের জন্য তাদের কর্ম পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার জন্য পুরো ত্রৈমাসিক পর্বে বেশ কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তাসহ স্ব-স্ব স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের সাথে নীতি সংলাপ শেষে, সাতটি ডিপিএফ সংলাপে নেয়া সিদ্ধান্ত এবং প্রতিশ্রুতিগুলো ফলোআপ করার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যালোচনা সভা ও পরবর্তী কার্যক্রমগুলো আয়োজন করে। এই জেলার মধ্যে রয়েছে বাগেরহাট, পটুয়াখালী, মৌলভীবাজার, নীলফামারী, পঞ্চগড়, কুষ্টিয়া এবং মুন্সীগঞ্জ। পিফরডি’র অংশীদারি সুশীল সমাজ সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নির্বাচিত সুশীল সমাজের সদস্যরা অনুষ্ঠানগুলোতে উপস্থিত ছিলেন।


মার্চ এবং এপ্রিলে, বেশ কয়েকটি ডিপিএফ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের জন্য সামাজিক জবাবদিহি উপকরণ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। মার্চ মাসে বান্দরবান ও মুন্সীগঞ্জে এবং এপ্রিল মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার ও কিশোরগঞ্জে অনলাইনে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক জবাবদিহি উপকরণ বিষয়ে সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের জ্ঞান এবং বোঝাপড়ার উন্নয়ন ঘটানো এবং সামাজিক জবাবদিহি উপকরণগুলোকে আরও ঘন ঘন প্রচার ও ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা। প্রতিটি প্রশিক্ষণে প্রতি জেলা থেকে ৩০ জন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন, প্রশিক্ষণগুলো পিফরডি’র প্রকল্প পরিচালক এবং উপ- প্রকল্প পরিচালক কর্তৃক পরিচালনা করা হয়।


পৌরসভা প্রতিনিধিদের জন্য সামাজিক জবাবদিহি উপকরণ (এসএটি) প্রশিক্ষণের আয়োজন করে এনআইএলজি


পিফরডি এবং এনআইএলজি ২০২২ সালের মার্চ এবং এপ্রিল মাসে পৌরসভা প্রতিনিধিদের সাথে ১৭টি ব্যাচের সামাজিক জবাবদিহি উপকরণ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে। জামালপুর, মুন্সিগঞ্জ, নেত্রকোনা, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, বান্দরবান, নাটোর, পাবনা ও রাজশাহীসহ ১১ টি জেলা থেকে ১১৫টি পৌরসভাকে এনআইএলজি প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। প্রশিক্ষণে মোট ২৩৩ জন স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছিলেন, যাদের মধ্যে ২১% হলেন নারী।


অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন নবনির্বাচিত প্রতিনিধি, এবং এনআইএলজি’র নেতৃত্বে এটি ছিল তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ। অংশগ্রহণকারীরা প্রশিক্ষণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং কিছু অংশগ্রহণকারী এসএটি’র উপর একটি রিফ্রেশার কর্মশালায় যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।


এনআইএলজি’র সাথে আয়োজিত সকল এসএটি প্রশিক্ষণসমূহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং এনআইএলজি’র রিসোর্স পার্সন কর্তৃক প্রদান করা হয়েছে ৷ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব ও পিফরডি‘র প্রকল্প পরিচালক আয়েশা আক্তার, প্রতিটি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন এবং ’জাতীয় শুদ্ধাচার নীতিমালা’র অধিবেশনে নেতৃত্ব দেন। অংশগ্রহণকারীরা তার উপস্থাপনায় উৎসাহিত হন এবং দুর্নীতির বিরূদ্ধে ও সুশাসনের পক্ষে তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব, এবং পিফরডি’র সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান ‘অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা’র অধিবেশনটি পরিচালনা করেন। সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি এবং তথ্য অধিকার বিষয়ক বাকি অধিবেশনগুলো এনআইএলজি’র রিসোর্স পার্সন দ্বারা পরিচালিত হয়। এনআইএলজি-এর ডিজি, সালেহ আহমেদ মুজাফ্ফর ১৭টি প্রশিক্ষণের প্রতিটির উদ্বোধন করেন এবং পিফরডি টিম লিড আর্সেন স্টেপ্যানিয়ান, প্রতিটি অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।


পিফরডি ৫ম সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি প্রচারাভিযান চালু করেছে

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পর, পিফরডি জনসাধারণের কাছে মূল সামাজিক জবাবদিহি উপকরণগুলোকে তুলে ধরার জন্য অনলাইনে ৫ম সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি প্রচারাভিযান শুরু করেছে ৷ প্রচারাভিযানটি চারটি মূল সামাজিক জবাবদিহি উপকরণ পুনঃপ্রবর্তন করবে এবং ‘প্রতিটি উপকরণ কী, কীভাবে, এবং কেন’ সে সম্পর্কে তথ্য রিলে করা সহ সামাজিক জবাবদিহি নীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার জন্য নাগরিকদের নাগরিক কর্তব্যের উপর কার্যক্রম চলমান রাখবে। আমাদের কর্মরত জেলাগুলোতে বাংলা পোস্টগুলি প্রচারের মাধ্যমে আমরা জনসাধারণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির প্রত্যাশা করি এবং জবাবদিহি উপকরণগুলোর উপর চারটি সংক্ষিপ্ত অ্যানিমেশন ভিডিও (মিনি-পিএসএ) সহ আমাদের নতুন তথ্য সামগ্রী থেকে ইতিবাচক সাড়া পাবার আশা রাখি। এ পর্যন্ত, প্রচারাভিযানটি তথ্য অধিকার (আরটিআই) এবং সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি (সিসি) এর অংশগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। প্রতিটি প্রচারাভিযান ফেসবুকে ৩.১ মিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছেছে। এই প্রচারণা জুনের শুরুতে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। চূড়ান্ত প্রকল্প পর্বে একটি শক্তিশালী সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির কৌশল তৈরিতে চলমান সমীক্ষা (কেএপি) বিশ্লেষণসহ এই প্রচারাভিযানের মূল পদক্ষেপগুলো ব্যবহার করা হবে।


চূড়ান্ত প্রশিক্ষণসমূহ সম্পন্ন করেছে বিসিএসএএ


২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনটি চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ ব্যাচ সম্পন্ন করেছে বিসিএসএএ। সেই সাথে, বিসিএসএএ তাদের চুক্তিবদ্ধ কার্যাবলী সম্পন্ন করেছে এবং ১০৬ জন নারী এবং ২৯৮ জন বেসামরিক পুরুষ কর্মচারী সহ ৪০৪ জন মধ্য ও উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। জুন ২০২২-এ দশটি ব্যাচের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সরাসরিভাবে চূড়ান্ত প্রতিফলন সেশন আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছে বিসিএসএএ । এই দলে জাতীয়/মন্ত্রণালয়-স্তরের কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।


বিসিএসএএ রেক্টর, মমিনুর রশিদ আমিন, পিফরডি কর্মীদের জানান যে, তারা একটি চাহিদা মূল্যায়ন পরিচালনা এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার সুযোগ-সম্ভাবনাগুলো অন্বেষণ করতে যুক্তরাজ্যের সিভিল সার্ভিস কলেজের (সিএসসি) সাথে কাজ করছেন। পিফরডি’র টিম লিড, আরসেন স্টেপ্যানিয়ান সিএসসি’র সাথে, কোভিড সম্পর্কিত কম বিধিনিষেধের মধ্যে সহযোগিতা এবং সমর্থন সম্ভব- এমন একটি সম্ভাব্য অংশীদারিত্ব খুঁজে বের করার জন্য ফলোআপ করবেন।


জেলা-পর্যায়ের কর্মশালা শুরু করেছে বিপিএটিসি


ফেব্রুয়ারিতে, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি) জেলা পর্যায়ের কর্মশালা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। ২০২২ এর ফেব্রুয়ারী এবং এপ্রিল মাসের মধ্যে, বিপিএটিসি ৫টি জেলায় (মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, কুষ্টিয়া এবং মুন্সীগঞ্জ) সামাজিক জবাবদিহি উপকরণের উপর ৫টি ব্যাচের প্রশিক্ষণ আয়োজন করে। জেলা পর্যায়ের মোট ২২৮ জন সরকারি কর্মচারীকে তারা প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।

এনআইএমসি ‘র কৌশলগত যোগাযোগের উপর সাংবাদিক প্রশিক্ষণ অব্যাহত


এই ত্রৈমাসে, এনআইএমসি জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের জন্য আটটি প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেছে। এর মধ্য দিয়ে, প্রতিষ্ঠানটি নির্ধারিত ২১টি জেলা পর্যায়ের সাংবাদিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে, যার মধ্যে সর্বশেষটি এপ্রিলে নীলফামারীতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।


উপরন্ত, বাজেট বৃদ্ধি না করে, এনআইএমসি নারী সাংবাদিকদের জন্য দুটি প্রশিক্ষণ এবং অডিও (রেডিও) সম্প্রচারকারীদের জন্য চারটি প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অতিরিক্ত কার্যক্রম চালানোর অনুরোধ করেছে।

এনআইএমসি’র কাজের এই সংশোধনীটি বিভিন্ন প্রকল্প জেলা থেকে ৬০ জন অংশগ্রহণকারী নিয়ে নারী সাংবাদিকদের জন্য দুটি ২-দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে শুরু হয়েছে। পরবর্তীকালে, বাংলাদেশ বেতার এবং কমিউনিটি রেডিও থেকে অডিও সম্প্রচারকারীদের জন্য দুটি প্রশিক্ষণ অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়, প্রতিটি সেশনে ৬০ জন সম্প্রচারকারী অংশগ্রহণ করে ছিলেন। বাকি দুটি প্রশিক্ষণ সেশন মে মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, একটি সেশন বান্দরবানে সরাসরি অনুষ্ঠিত হবে।


পিফরডি প্রকল্প বর্ধিতকরণ

মে মাসে, প্লাটফর্মস ফর ডায়ালগ প্রকল্পের অর্থায়ন চুক্তি সংশোধন করতে এবং এর বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বর্ধিত করতে সম্মত হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল এবং বাংলাদেশ সরকার (অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রতিনিধিত্বে)। প্রকল্পের সম্প্রসারণ সরকারের পরবর্তী অর্থবছরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে যার লক্ষ্য হবে ১) জাতীয় পর্যায়ের নীতি সংলাপ এগিয়ে নেয়া, ২) প্রমাণ-ভিত্তিক নীতিনির্ধারণের জন্য ফলাফল ৩-এর কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করা এবং ৩) প্রকল্পের ফলাফলের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা। প্রকল্পের অন্যান্য কার্যক্রম, যেগুলি তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে তা ২০২২ সালের জুনের পর পর্যায়ক্রমে শেষ করা হবে। পরবর্তী ত্রৈমাসিকে প্রকল্প বর্ধিতকরনের বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।


GRS Operations Support

জিআরএস চালুকরণ সহায়তা

পিফরডি’র প্রযুক্তিগত সহায়তায়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জাতীয় আইসিটি অবকাঠামোর সাথে আত্তীকরণ নিশ্চিত করতে জাতীয় ডেটা সেন্টার (এনডিসি) সার্ভারের সাথে জিআরএস সিস্টেমকে সফলভাবে একীভূত করেছে। সমস্ত উপাদানগুলো কাজ করছে কিনা তা নিরীক্ষণে প্রযুক্তিগত সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।


উপরন্ত, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০২২ সালের মার্চ মাসে জিআরএস ফোকাল পয়েন্টগুলোর জন্য প্রশিক্ষণ শুরু করে এবং তিনটি প্রশিক্ষণ ব্যাচে ৫০টি জিআরএস ফোকাল পয়েন্ট অংশ নেয়। প্রথমটি প্রশিক্ষণটি ৬-৭ মার্চ, দ্বিতীয়টি ৩০-৩১ মার্চ এবং তৃতীয়টি ৩-৪ এপ্রিল ২০২২ -এ পরিচালিত হয়েছে।


শিখন পর্যালোচনা রিপোর্ট


২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে, পিফরডি প্রকল্পের বিগত ৫ বছরের চলমান কার্যক্রম বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা সংগ্রহের জন্য একটি শিখন পর্যালোচনা অনুশীলন পরিচালনা করে। একটি অনলাইন সমীক্ষা, গভীর সাক্ষাৎকার এবং পিফরডি কর্মীদের সাথে ফোকাস গ্রুপ আলোচনার প্রেক্ষিতে ফলাফলসমূহ তৈরি করা হয়েছে। প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, কোভিড মহামারী দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হওয়া সত্ত্বেও, প্রকল্প, সরকার এবং দাতাদের মধ্যে বিদ্যমান মূল অংশীদারিত্ব সুদৃঢ় রয়েছে এবং স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ে সরকার এবং সিএসও-দের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক স্তরে বেশ কয়েকটি নিয়োগ পরিবর্তন চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিলেও আইসিটিতে ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট অংশীদারদের মধ্যে দ্রুত এবং বিস্তৃত দক্ষতা উন্নয়ন দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলি প্রশমিত করতে সাহায্য করেছে। প্রকল্পের ভবিষ্যত কার্যক্রমকে সুসংহত করতে শিখন পর্যালোচনা স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী সুপারিশসহ শিখন পাঠগুলো (কী ভালোভাবে কাজ করেছে এবং কী করেনি) ভুমিকা রাখবে। এই প্রতিবেদনটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক বার্ষিক প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং প্রকল্পের নেতৃত্ব প্রতিবেদনের মূল শিক্ষার উপর ভিত্তি করে প্রকল্পের কার্যক্রমের ফলাফল উন্নয়নে কাজ করছেন।


This publication was produced with the financial support of the European Union. Its contents are the sole responsibility of Platforms for Dialogue and do not necessarily reflect the views of the European Union.


39 views0 comments
bottom of page